প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল Curd: থকথকে-নিখুঁত দই বসাতে চান…? ভরসা রাখুন রান্নাঘরের এই ৫ গ্যাজেটে! ম্যাজিকের মতো হবে ‘পারফেক্ট’ দই! বিনা ঝঞ্ঝাটে ছুমন্তর Gallery May 5, 2024 Bangla Digital Desk গরমকাল মানেই দই খাওয়ার হিড়িক পরে যায় ঘরে ঘরে। দই এর মতো শরীর ঠান্ডা রাখতে পারেই বা আর কোন খাবার। তার উপর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট-এ ভরপুর। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাড়িতে ভাল করে দই তৈরি করা একটু কঠিন। সেক্ষেত্রে আসলে পারফেক্ট দই বসাতে গেলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন দই ঠিকমতো বসাতে হলে দুধের তাপমাত্রা ঠিক হওয়া প্রয়োজন। এটি সেট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখাও প্রয়োজন। তবে এতো কিছু বুঝে ঠিকঠাক দই বসানোর এই ঝামেলা সামলাতে এবার বাজারে এসে গিয়েছে কিছু মুশকিল আসান। এমন কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে যার সাহায্যে আপনি এই প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ এবং দ্রুত করতে পারেন এবং অল্প সময়েই আপনি বাড়িতে দই তৈরি করতে পারেন। ঘরে বসে সহজেই দই তৈরি করার সেরা যন্ত্র হল কার্ড-মেকার! এই ছোট মেশিনটি নিজের ভিতরে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখে (108°F-112°F) যা দই সেট করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে শুধু দুধ এবং দইতে কিছু দই (স্টার্টার কালচার) যোগ করুন, টাইমার সেট করুন এবং টাটকা দই ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। এই ডিভাইসটি অনলাইন এবং অফলাইন স্টোরে মাত্র ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মাইক্রোওয়েভ বা ইলেকট্রিক ওভেন:মাইক্রোওয়েভ বা ইলেকট্রিক ওভেনও আপনার জন্য নিখুঁত দই তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল ওভেনের ‘কিপ ওয়ার্ম’ ফাংশনটি ব্যবহার করুন এবং পাত্রটিকে রাতভর বা কমপক্ষে কয়েক ঘণ্টা ওভেনে রাখুন। এই ক্ষেত্রে এই মাইক্রোওয়েভ ওভেন দই সেট করার জন্য সঠিক উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করবে, যা ঘন দই সেট করার জন্য প্রয়োজনীয়। কিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেন এমনকি দই সেট করার জন্য আলাদা সেটিং দিয়েও থাকে যাতে সহজেই দই বসে যায় বিনা পরিশ্রমেই। স্লো কুকার:স্লো কুকারও দই তৈরি করতে দারুণ সহায়ক হয়। এটি এক ধরণের বৈদ্যুতিক প্রেসার কুকার যাতে অনেক ধরণের খাবার রান্না করার জন্য পূর্বনির্ধারিত বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। কম আঁচে রান্না করলে খাবারের সমস্ত পুষ্টি বজায় থাকে। দই সেট করার জন্য এটিতে একটি বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে। এই মোডে, দই সেট করার জন্য সঠিক তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেট হয়ে যায় এক্ষেত্রে। আপনাকে কেবল পাত্রে দইয়ের মিশ্রণটি রেখে দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। বৈদ্যুতিক থার্মোমিটারআপনি যদি ট্র্যাডিশনাল উপায়ে দই বসাতে পছন্দ করেন, তাহলে একটি ইলেকট্রনিক থার্মোমিটার আপনাকে দারুণ ভাবে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনাকে দুধের সঠিক তাপমাত্রা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে যাতে দই সঠিক তাপমাত্রায় সেট করা যায়। ফ্রিজ থেকেবাজারে কিছু রেফ্রিজারেটর পাওয়া যায় যেগুলোতে দই সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। এই বক্সটি আপনাকে দুর্দান্ত চাক ধরা হিমায়িত দই দেওয়ারও দাবি করে। সেই ধরণের ফ্রিজও দই বানাতে দুর্দান্ত কার্যকরী।
প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল Fridge: সিঙ্গল ডোর ফ্রিজের ‘ডিপ ফ্রিজারে’ কেন জমে যায় বরফ? আসল কারণ কী? ছোট্ট কাজেই সমস্যা গায়েব! জানুন দুর্দান্ত উপায় Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk ফ্রিজ প্রায় সব বাড়িতেই আছে আজকাল। এই ফ্রিজ নিয়ে অনেককেই একটি সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কী শীত কী গ্রীষ্ম। কারণ দেখা যায় ওয়ান ডোর ফ্রিজের ডিপ ফ্রিজারে প্রায়ই বরফ জমে যায়। এর আসল কারণ কী..? এটি এড়ানোর উপায়ই বা কী? জেনে নিন আজ এই প্রতিবেদনে। সাধারণত যদি জল পরিষ্কার করে এমন জলের ফিল্টারটি ভেঙে যায় তবে ফ্রিজে আচমকা অতিরিক্ত বরফ তৈরি হতে শুরু করতে পারে। আপনি ফ্রিজে যা কিছু রাখেন সবই বরফে ঢাকা থাকে। সমাধান হল জলের ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা। যাদের বাড়িতে একটি দরজাবিশিষ্ট্য ফ্রিজ আছে তারা প্রায়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। দেখা যায় আপনি যতবারই ডিপ ফ্রিজার পরিষ্কার করুন না কেন, ফ্রিজারটি বরফের পাহাড়ের মতো ভরে যাবে। এর কারণ কি..? সাধারণত ফ্রিজের দরজা বা ফ্রিজ ডোরের গ্যাসকেট নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ এগুলি প্রভাবিত হওয়ার ফলে ফ্রিজে বাতাস ঢুকে যায় এবং এভাবে সঞ্চালিত হয়। তাই যদি দরজা বা গ্যাসকেট একটু ভেঙে যায় বা সেটি কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সমাধান একটিই, গাসকেটটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ইভাপোরেটর কয়েল নষ্ট হলে এই সমস্যা হয়। এই কয়েল ফ্রিজ থেকে অতিরিক্ত জল অপসারণের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে কয়েল নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে এই সমস্যা হয় না। যদি জল পরিষ্কার করে এমন জলের ফিল্টারটি ভেঙে যায় তবে বরফ তৈরি হতে পারে। আপনি ডিপ ফ্রিজে যা কিছু রাখেন সবই বরফে ঢাকা হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। সমাধান হল জলের ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা। তাই আদর্শ সমাধান হল, ফ্রিজ দীর্ঘদিন হয়ে গিয়ে থাকলে বছরে অন্তত একবার মেরামত করা। কারণ তবেই এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। বাড়িতে সপ্তাহে একবার বা মাসে দুইবার ফ্রিজ পরিষ্কার করার অভ্যাস অনুসরণ করা ভাল।