ভারতীয় রেল ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে মোট  ১০১৫.৬৬৯ এম টি  পণ্য বোঝাই করেছে,  যা গত বছরের একই সময় কালের তুলনায় ৩৬.৯৪৫ এম টি বেশি।  গত বছর একই সময়কালে ভারতীয় রেল ৯৭৮.৭২৪ এম টি পণ্য বোঝাই করেছিল। ভারতীয় রেল আলোচ্য সময়কালে আয় করেছে ১১০০০৭.৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়কালের ১০৫৯০৫.১ কোটি টাকা আয়ের থেকে ৪১০২.৪৪৫ কোটি টাকা বেশি।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ১২৮.৪১৯ এম টি পণ্য বোঝাই করেছে ভারতীয় রেল যা গত বছরের এই সময়কালের ১২৩.০৮৮ এম টি পণ্য বোঝাই এর তুলনায় ৪.৩৩ শতাংশ বেশি। পণ্য থেকে ভারতীয় রেল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আয় করেছে ১৪০৭৭.৯৪ কোটি টাকা যা গত বছরের নভেম্বর মাসের আয় ১৩৫৫৯.৮৩ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৮২ শতাংশ বেশি।

ভারতীয় রেল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ৬৫.৪৮ এম টি কয়লা , ১৪.৯৯ এম টি  আকরিক লোহা , ৫.২৫ এম টি  পিগ আয়রন এবং ফিনিশড স্টিল , ৫.৫৮ এম টি  সিমেন্ট (ঝামা ব্যতীত ) , ৪.৬১ এম টি  ঝামা , ৩.৮২ এম টি  খাদ্যশস্য , ৫.৯৭ এম টি  সার , ৪.১৭৬ এম টি খনিজ তেল; ৬.৯১ এম টি কন্টেইনার এবং ৮.৫৯ এম টি অন্যান্য পণ্য বোঝাই করেছে। কৌশিক মিত্র, পূর্ব রেলেরমুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, Hungry For Cargo মন্ত্রকে পাথেয় করে ভারতীয় রেল সুলভে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং উন্নত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিরন্তর সচেষ্ট। গ্রাহকদের উপযোগী দৃষ্টিভঙ্গি , বিজনেস  ডেভেলপমেন্ট ইউনিট – এর কর্মতৎপরতা এবং উপযুক্ত নীতি গ্রহণের ফলেই ভারতীয় রেল এই বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে।

ভারতীয় রেল নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ১০১৫.৬ এম টি পণ্য বোঝাই করেছে

• গত বছরের একই সময়কালের তুলনায় ৩৬.৯ এম টি পণ্য বেশি বোঝাই হয়েছে
• এপ্রিল থেকে নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে ভারতীয় রেলওয়ে পণ্য বোঝাই করে ১১০০০৭.৫ কোটি টাকা আয় করেছে
• গত বছরের একই সময়কালের তুলনায় পণ্য থেকে আয় বেড়েছে ৪১০২.৪ কোটি টাকা
• নভেম্বর ২০২৩ এ রেল ১২৮.৪ এম টি  পণ্য বোঝাই করেছে রেল – গত বছরের একই সময়কালের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি

KAVACH সিস্টেমের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূর্ব রেলওয়ে-রেল নিরাপত্তার জন্য একটি অসাধারণ প্রতিশ্রুতির নিদর্শন রেখেছে। ১৫ মার্চ, ২০২৩-এ তার কমিশনিং শুরু করে এবং একটি প্রশংসনীয় সময়সীমার মধ্যে এটি সম্পূর্ণ করে, রেলওয়ে এখন মোট ২২টি লোকোমোটিভকে সুরক্ষিত করেছে, যার মধ্যে হাওড়া থেকে রয়েছে ১৯টি লোকো শেড এবং শিয়ালদহ থেকে রয়েছে ৩টি লোকো শেড।

KAVACH দেশীয়ভাবে তৈরি ‘অটোমেটেড ট্রেন প্রোটেকশন’ (এটিপি) সিস্টেম রেল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। প্রাথমিকভাবে ‘ট্রেন সংঘর্ষ পরিহার ব্যবস্থা’ (Train Collision Avoidance System) নামে পরিচিত, এর উন্নয়ন  ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল এবং  রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) এর   নির্দেশনায় ২০২২ সালে শেষ হয়েছিল। সিস্টেমটি  সেফটি ইন্টিগ্রিটি লেভেল 4 (SIL-4) অপারেশনগুলির জন্য প্রত্যয়িত হয়েছে,  এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ব্যয়বহুল এটিপি সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: এ‌ যেন হুবহু বক্সিগঞ্জে পদ্মাপাড়ের হাট, রবীন্দ্রনাথের কবিতার আদলেই মণ্ডপ ভাবনা

পূর্ব রেলের সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি KAVACH-এর দ্রুত গ্রহণের মধ্যে স্পষ্ট, পূর্ব রেলের লোকো শেড/হাওড়া থেকে ৬টি এবং লোকো শেড /শিয়ালদহ  থেকে  ৩টি লোকোমোটিভ-সহ মোট ২২টি লোকোমোটিভ এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের  জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে ২,০০০ কিলোমিটার ট্র্যাকে Kavach দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তহবিল বরাদ্দ  করা হয়েছে। পূর্ব রেলওয়ের জন্য একটি নির্ণায়ক পদক্ষেপ হিসাবে, ২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে স্বর্ণালী  চতুর্ভুজ রুটের (Golden Quadrilateral) ৩৪,০০০ কিলোমিটার ট্র্যাকে KAVACH বাস্তবায়নের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।

বিদ্যমান সিস্টেমগুলি কেনার পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধিকে বেছে নিয়ে পূর্ব রেল উদ্ভাবন এবং স্বনির্ভরতার পরিচয় দিয়েছে। KAVACH সিস্টেমটি কেবল বিপদের মধ্যে সিগন্যাল পাসিংয়ের ঘটনা (এসপিএডি) প্রতিরোধ করে না, তবে সংঘর্ষ প্রতিরোধ, ইন-ক্যাব সিগন্যালিং,  লেভেল ক্রসিংয়ে স্বয়ংক্রিয় হুইসেল বাজানো এবং রিয়েল-টাইম স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণকেও সম্বোধন করে। এই বিস্তৃত পদ্ধতিটি ভারতীয় রেলের শূন্য দুর্ঘটনার হার অর্জনের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কবচ বাস্তবায়নে পূর্ব রেলের অসাধারণ পদক্ষেপগুলি যাত্রী এবং মালবাহী সুরক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। এই উন্নত এটিপি সিস্টেমের সফল কমিশনিং অন্যান্য রেলওয়ে নেটওয়ার্কগুলির জন্য একটি মান নির্ধারণ করে, উন্নত রেল সুরক্ষার জন্য দেশীয় প্রযুক্তিগত সমাধানগুলিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় রেলে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময় সুরক্ষার ফাঁক গলে নানান ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই অবস্থায় সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ৷ ভারতীয় রেলওয়ের সুরক্ষার দিকগুলি নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করলেন মাননীয় রেলমন্ত্রী।

রেলওয়ে মন্ত্রকের বোর্ড সদস্য, জোনাল, ডিভিশনাল এবং আরডিএসও আধিকারিকের মধ্যে আজ অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিভিন্ন সুরক্ষার দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং, ক্রু-দের দীর্ঘ সময়, ইয়ার্ড আধুনিকীকরণ এবং ইয়ার্ড পরিকাঠামোর সুরক্ষা, ডাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম-এর বিভিন্ন সুরক্ষার দিকগুলির উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

আরও পড়ুন: বেহালায় বিরাট চুরি! ২০ লক্ষ টাকার গয়না লোপাট, অর্ধেক আপেল খেয়ে টেবিলেই রেখে গেল চোর

এছাড়াও, তিনি একটি পাক্ষিক সুরক্ষা কার্য পরিকল্পনা ও নিয়মিত ভিত্তিতে এর পর্যালোচনায় নির্দেশ দেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ সুরক্ষা ব্যবস্থায় নজর দেওয়া হচ্ছে না। CAG রিপোর্ট হাতিয়ার করে তাদের বক্তব্য ছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকার ‘রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা কোষ’ গঠিত হয়। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ খরচ করা হয়নি।

উল্টে ট্র্যাক পুনর্নবীকরণের জন্য বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে, এমনই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। ২০২২ সালে সংসদে জমা দেওয়া রিপোর্টে ট্রেনের লাইনচ্যুত এবং সংঘর্ষ প্রতিরোধ করতে রেল মন্ত্রক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে ক্যাগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে মোট ১,১২৭ টি লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: কনকনে শীতেও পাবেন এঁচোড়! এই পিং কাঁঠালের কী জানেন

এর মধ্যে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট’-এর গাফিলতির জন্য ৪২২টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আবার সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা (১৭১ টি) ঘটেছে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের জন্য।’অপারেটিং ডিপার্টমেন্ট’-এর গাফিলতির জন্য ২৭৫ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ হয়েছে পয়েন্টের ভুল সেটিংয়ের জন্য।

৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেল বেলাইন হওয়ার রিপোর্টই জমা পড়েনি এবং ৪৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দ্বারা রিপোর্ট গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। মোট ৩৫০ জায়গায় তদন্ত হওয়ার দরকার থাকলেও তা হয়েছে মাত্র ১৬৯ জায়গায়। ১৮১টি ক্ষেত্রে কোনও তদন্ত রিপোর্টই জমা পড়েনি।

কলকাতা: যাত্রীদের সুবিধার্থে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েরদুটি স্পেশাল ট্রেনের চলাচলের সময় বৃদ্ধি করা হল।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ট্রেন নং. ০৫৬৩৮/০৫৬৩৭ (শিলচর-নাহরলhগুন-শিলচর) স্পেশাল এবং ট্রেন নং. ০৫৬২৮/০৫৬২৭ (আগরতলা-গুয়াহাটি-আগরতলা) স্পেশাল-এর পর্যায়ক্রমিক পরিষেবা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্পেশাল ট্রেনদুটির পরিষেবার বিশদ বিবরণ:

 ট্রেন নং. ০৫৬৩৮ (শিলচর-নাহরলগুন) স্পেশাল ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক সোমবার ।

 ট্রেন নং. ০৫৬৩৭ (নাহরলগুন-শিলচর) স্পেশাল ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক মঙ্গলবার। পূর্বের অধিসূচিত সময়সীমা অর্থাৎ যথাক্রমে ২৭ ও ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখ থেকে ট্রেন দুটির পরিষেবা আরও ১৩ ট্রিপের জন্য সম্প্রসারণ করা হবে।

 ট্রেন নং. ০৫৬২৮ (আগরতলা-গুয়াহাটি) স্পেশাল ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতিবার।

 ট্রেন নং. ০৫৬২৭ (গুয়াহাটি-আগরতলা) স্পেশাল ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ০১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবার করে নিজের পরিষেবা অব্যাহত রাখবে।

পূর্বের অধিসূচিত সময়সীমা অর্থাৎ যথাক্রমে ৩০ নভেম্বর ও ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ থেকে ট্রেন দুটির পরিষেবা আরও ১৩ ট্রিপের জন্য সম্প্রসারণ করা হবে।

এই ট্রেনগুলির পরিষেবা সম্প্রসারণের ফলে সংশ্লিষ্ট রুটগুলির অন্যান্য ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা উপকৃত হবেন।

এই ট্রেনগুলির স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে

বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সোসিয়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও থাকবে।

যাত্রার করার পূর্বে বিশদ বিবরণগুলি দেখে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।