লাইফস্টাইল Jaggery in Summer Diet: গরমে সুপারকুল! দূর পেটের রোগ! শুধু আখের গুড়, তেঁতুলের ক্বাত্থে এই দানা মিশিয়ে খান ঘরোয়া শরবত! Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk গুড়ের কথা বললেই আমাদের মনে আসে শীতকালের কথা। পাটালি ও নলেনের গুণে লোভনীয় হয়ে ওঠে শীতকাল। কিন্তু জানেন কি গরমেও সুস্থ থাকার হাতিয়ার গুড়। এ সময় খেতে হয় আখের গুড় এবং তালপাটালি। গরমে শরীরকে শীতল রাখে গুড়ের গুণ। পাশাপাশি আরও স্বাস্থ্যগুণ ও উপকারিতা আছে গুড়ের। বলছেন পুষ্টিবিদ স্মিতা বরোদে। গুড়ের শরবত পান করলে গরমে শরীর সুশীতল থাকে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে। গুড় নিজে তাপ তৈরি করে। কিন্তু তা শরীরকে গরম করে না। ডিহাইড্রেশনের ভয় কমায়। গরমকালে নিয়ম না মেনে ঠান্ডা জিনিস খাওয়ার ফলে সর্দিগর্মিতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মরশুমি জ্বরজারি সারিয়ে দেয় গুড়ের গুণ। গুড়ের ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, পটাশিয়ামরোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে। জলশূন্যতার জন্য পেশিতে টান বা ক্র্যাম্প হয় না। গুড়ের ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম গরমে গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়। গুড়ের শরবতের গুণে নিয়ন্ত্রণে থাকে পেটের সমস্যাও। রক্তাল্পতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে গুড়ের শরবত। গরমে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতাও দূর হয়। জলে গুড়ের সঙ্গে তেঁতুলের ক্বাত্থ মিশিয়ে তৈরি করুন শরবত। সঙ্গে দিন সবজা দানা বা তুলসির বীজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন লেবুর রস ও পুদিনাপাতা। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ডিটক্সিফাই করে এই শরবত। তবে ব্লাড সুগারের রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই পানীয় রাখবেন ডায়েটে। তবে শরীর সুশীতল করতে কোল্ড ড্রিঙ্কের তুলনায় এই শরবত ডায়াবেটিসে অনেক বেশি উপকারী।
কোচবিহার, লাইফস্টাইল Gur Health Benefit: একদম নিয়ম মেনে জীবন, চিনির বদলে এই ছোট্ট জিনিস আনুন খাবারে, জীবন হবে মাখন Gallery March 25, 2024 Bangla Digital Desk ঘুমিয়ে ওঠা থেকে শুতে যাওয়ায় আগে পর্যন্ত হয়তো অনেক কাজই রুটিন মেনে করেন। কিন্তু, সেই রুটিনেই যদি আর কয়েকটা অভ্যাস যোগ করা যায়। তবে অনেকটা উপকার পাওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞ চিকিৎসক তুহিন শর্মা জানেন, রাতে শুতে যাওয়ার আগে রোজ গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে গুড় খাওয়া সত্যিই উপকারী। গুড়ে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে তাই গুড় অনেকটাই স্বাস্থ্যকর। রক্তশূন্যতা থাকলে গুড় খাওয়া উপকারী। সন্তান যদি ঠিকমতো সবজি না খেতে চায়। তবে সবজিতে চিনি না দিয়ে সামান্য গুড় দিন। সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার জন্য প্রতিদিন গুড় খাওয়ার অভ্যাস করানো বেশ ভাল। যে কোনও জিনিসেই চিনি বাদ রাখুন। চিনির বদলে গুড় মিশিয়ে খান। তবে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে অনেকটাই। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, তামা এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ থাকে। গুড় প্রতিদিন খেলে শরীরে এই সকল খনিজ পদার্থের ঘাটতি হয় না। দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণে গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়তে সহায়তা করে। ফলে দেহের রক্তাল্পতার সমস্যায় দূরে থাকে। রোজ এক কাপ দুধে গুড় মিশিয়ে খাওয়া উচিত। সকালের খাবারে পাউরুটি ও মাখনের সঙ্গে চিনি না খেয়ে গুড় মিশিয়ে খান। যেসব শিশুর উচ্চতা বাড়ছে না বা ওজন বাড়ছে না। তাঁদের প্রতিদিন গুড় খাওয়া বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত। যেসব জায়গায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। এমনকী যারা কারখানায় বা ধুলোবালিতে কাজ করেন। সেই মানুষেরা দিনের শুরুতে সকালে কিছুটা গুড় খেয়ে নিতে পারেন। এতে ফুসফুসের ক্ষতি হয় না।