দক্ষিণ ২৪ পরগনার: আর কয়েক মাস পরেই শীতের মরশুম। আর শীত মানেই জয়নগরের সুস্বাদু নলেন গুড়ের মোয়া। তবে এবারে শীতে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারকদের কাছে সুসংবাদ আসতে চলেছে। এই শীতেই জয়নগরের বুকে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের স্বপ্নের ‘মোয়া হাব’। এখন যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে জয়নগরে ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ। জয়নগরের প্রাণ কেন্দ্রেই পুরসভার পাশের মাঠের ধারে পাঁচিল ঘেরা জায়গায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে মোয়া হাবের দোতলা বাড়ি। এই মোয়া হাব তৈরি হলে এখানকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন। কেননা এখানকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জড়িয়ে রয়েছেন মোয়া ব্যবসায়। কেউ প্রস্তুতকারক, তো কেউ ব্যবসায়ী। আবার কেউ শিউলি।
আরও পড়ুন: গরু দৌড়ের প্রাচীন প্রথা মইছাড়া আজও চলে কুলতলিতে
কয়েক বছর আগেই জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। জানুয়ারি মাসে জয়নগরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে এসে এখানকার মোয়ার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকদিন আগে বারুইপুরে সভায় এসেও জয়নগরের মোয়ার উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি মোয়া ব্যবসায়ী, মোয়া প্রস্তুতকারক ও শিউলিদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ‘মোয়া হাব’ তৈরি করার কথাও বলেন। ইতিমধ্যেই ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্যের খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। মোট ৮ কোটি টাকা প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পতিত জমিতে পুকুর কেটে করুন মাছ চাষ! সহযোগিতা করবে মৎস্য দফতর
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে জানান মোয়া হাব তৈরির দায়িত্বে থাকা খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ডের এক আধিকারিক। মোয়া হাবের দোতলা বাড়িতে থাকছে মোয়াকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র। পাশাপাশি মোয়া নিয়ে গবেষণা ও প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা। বহড়ুর মোয়া ব্যবসায়ী গনেশ দাস বলেন, মোয়া হাব আত্মপ্রকাশ পেলে নিঃসন্দেহে এখানকার মোয়া প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী এবং মোয়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার উপকার হবে। জয়নগরের মোয়া ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা