Tag Archives: Justin Trudeau

Canada News: পড়াশোনা করতে কানাডা যাওয়ার প্ল্যান করছেন? কঠিন সিদ্ধান্ত নিল ট্রুডোর সরকার

ওট্টাওয়া: কানাডা সরকারের তরফ থেকে বিশেষ ঘোষণা। জানানো হয়েছে এবার তারা কানাডায় পড়াশোনা করতে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার হার আরও কমিয়ে দেবে৷ অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমাতে ওয়ার্ক পারমিটের ব্যাপারটিও আরও কঠিন হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে খবর।

দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন৷ জানা গিয়েছে, দেশে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে৷ যার মধ্যে অন্যতম বিদেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া৷ বুধবার যে পরিবর্তনগুলির কথা ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল থেকেই কার্যকর হবে৷ আন্তর্জাতিক স্টাডি পারমিটের সংখ্যা কমিয়ে ৪৩৭,০০০-এ নামিয়ে দেওয়া হবে। কানাডায় ২০২৩ সালে স্টাডি পারমিটের সংখ্যা ছিল ৫০৯,৩৯০। অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০৪ সালের প্রথম সাত মাসে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে আছে ১৭৫,৯২০-তে।

আরও পড়ুন : ‘ফল ভুগতে হবে’…পেজারের পর ওয়াকি-টকি, পর পর বিস্ফোরণে হুঙ্কার হিজবুল্লার,হামলার নেপথ্যে কী ইজরায়েল? ভাইরাল ভিডিও

ট্রুডো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, “আমরা এই বছর ৩৫% কম আন্তর্জাতিক ছাত্রদের অনুমতি দিচ্ছি। পরের বছর, এই সংখ্যা আরও ১০% কমিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের অর্থনীতির জন্য অভিবাসনের ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে অনেকেই আমাদের সিস্টেমের সুযোগ নিয়ে অনেক খারার কাজ করছে৷ বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখানে বেশি৷ তাই আমরা সিস্টেমে এবার বদল আনছি, কারণ এটা না করলে দেশের ক্ষতি হতে পারে।”

আরও পড়ুন : লেবাননে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা! কী এই ‘Pager’ বিষ্ফোরণ, জেনে নিন

কানাডায় এই সিস্টেমে আমূল পরিবর্তনের প্রভাব এবার পড়তে চলেছে বিদেশী কর্মীদের ক্ষেত্রেও৷ স্বামী-স্ত্রীর ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থাকেও এবার সীমিত করা হবে৷ ইমিগ্রেশন মিনিস্টার মার্ক মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এমন অনেকেই আছে যারা কানাডায় ঘুরতে আসতে চান৷ তাদের ক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা তেমন কিছু হবে না৷ তবে যারা এখানে কাজ করতে বা পাকাপাকিভাবে থাকতে আসছিলেন তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম বদলাচ্ছে৷ সবাই আর সেই সুযোগ পাবেন না৷” সরকার ইতিমধ্যেই অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশে এ নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এপ্রিলে এটি ছিল ৬.৮ শতাংশ।

মিলার আরও জানিয়েছেন, অভিবাসনের সংখ্যা কমালেই যে কানাডার আর্থিক -সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে, তা নয়৷ যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা প্রত্যেকে সমান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না সেটাও দেখার৷ এবং সেটা সম্ভব শুধুমাত্র প্রত্যেককে পাকাপাকিভাবে দেশে থেকে কাজ করার সুবিধা দেওয়া হলে৷ কানাডার অর্থনীতিবিদ আরমাইন ইয়ালনিঝেয়ান জানিয়েছেন, দেশে অভিবাসন ব্যবস্থায় কাটছাট করলে সেটা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রভাব ফেলবে৷ তাই ব্যাপারটা নিয়ে তরিঘরি সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই৷ কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সেটাও ভাবতে হবে৷

কানাডা সরকারের তরফে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে আরও একটি কারণের কথা বলা হয়েছে৷ এটাই যে, বাইরে থেকে প্রচুর স্টুডেন্ট বা চাকরীপ্রার্থীরা আসায় সেটা দেশের সামাজিক পরিকাঠামোকেও কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলছে৷ স্থানীয় মানুষের হাতে সেই ভাবে অর্থ বা কাজ নেই, কিন্তু জীবনধারণের খরচ বেড়ে গিয়ে একধাক্কায় অনেকটা৷

Khalistani Slogan during Justin Trudeau’s speech: ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানি স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ ভারতের

আবার ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হল। সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সামনেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে খালিস্তানি স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার জন্য কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত।

আরও পড়ুন: ফ্লাইং কিস দিতে গিয়ে থামলেন হর্ষিত রানা, সেলিব্রেশনের পথে বাধা বিসিসিআইয়ের শাস্তি?

রবিবার টরন্টোতে খালসা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়াও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা পিয়ের পয়েলিভর এবং জগমীত সিং। সেই সভায় জাস্টিন ট্রুডোর বক্তৃতা করার সময়েই স্বাধীন এবং সর্বভৌম খালিস্তানি রাষ্ট্রের দাবিতে স্লোগান উঠল। কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করল ভারত।  শুধু তাই নয়, বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘এই ঘটনা ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে’।

আরও পড়ুন: পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল, রামদেবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, বাতিলের তালিকায় কী কী?

ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন এখানেই নতুন নয়, প্রায় সাত মাস আগে কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের জন্য ভারতকে নিশানা করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেই নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। সম্পর্কের সেই টানাপোড়েনের রেশ এসে পড়ে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেদ জারি করে ভারত। পরে অবশ্য দু’দেশই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ব্যবস্থা নেয়। সাত মাস পরে খালিস্তানি স্লোগান নিয়ে ফের টানাপোড়েন তৈরি হল। নতুন এই বিতর্কে ভারত-কানাডার সম্পর্ক কোথায় দাঁড়ায় সেটাই দেখার।