কোচবিহার: সদর শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। আর এই তোর্ষা নদীর ধার ঘেঁষে রয়েছে বসবাসের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় দু’বছর আগে কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকার মানুষরা দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে তাঁদের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে যেতে বসেছিল। তাই তো সময় পাল্টালেও ঝড়ের সময় এলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এখানকার বাসিন্দারা।
দু’বছর আগের স্মৃতি আজও ভাবিয়ে তোলে কোচবিহার শহরের এই মানুষদের। চলতি বছরে ঝড়ের সময় একেবারেই দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। আর তাতেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সোকিনা বিবি বলেন, শেষবারের কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ঝড়ে বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছিল। সেই সময় আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। কোনও মতে তাঁরা আবারও ঘর বাড়ি ঠিক করেছেন। তবে পাকা বাড়ি করতে পারেননি। টিনের ছাউনি দিয়েই বাড়ি করতে হয়েছে। তাই এবার আবার ঝড়ের মরশুমে অতীতের কথা ভেবে ভয় পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই বুথ! ঘরে বসে দিব্যি ভোট দিলেন এই জেলার ভোটাররা
এলাকার আরও দুই বাসিন্দা জানামাদ মিঁয়া এবং রাজিয়া বেওয়া জানান, এই এলাকায় নদীর বাঁধের অবস্থাও একেবারেই খারাপ। যেই কারণে সমস্যার মুখে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। কালবৈশাখীর ঝড় এলে সেই বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস এই মানুষগুলোর আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সার্থক পণ্ডিত