Tag Archives: Lata Mangeshkar

Indian Singer Life Story: সিনেমায় মাত্র দু’টি গান… তাতেই লতা-রফি-কিশোরের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি পারিশ্রমিক! পাকিস্তানে চলে যেতে হয় কিংবদন্তি শিল্পীকে, কে বলুন তো

ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক সময়ে প্লেব্যাক গায়কদের বিশেষ পারিশ্রমিক দেওয়া হত না। এক এক জন কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে এক একটি গানের জন্য আসত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। আজকের সময়ে এ আর রহমানের মতো নামজাদা শিল্পী গানপ্রতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক সময়ে প্লেব্যাক গায়কদের বিশেষ পারিশ্রমিক দেওয়া হত না। এক এক জন কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে এক একটি গানের জন্য আসত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। আজকের সময়ে এ আর রহমানের মতো নামজাদা শিল্পী গানপ্রতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
কিন্তু সেই যুগে একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির শিল্পীরা যথাযোগ্য পারিশ্রমিক পেতেন না। কথা হচ্ছে ৬০ বছর আগের। লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, এবং কিশোর কুমারের মতো শিল্পীরা এই পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন। এই তালিকায় আরও একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু সেই যুগে একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির শিল্পীরা যথাযোগ্য পারিশ্রমিক পেতেন না। কথা হচ্ছে ৬০ বছর আগের। লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, এবং কিশোর কুমারের মতো শিল্পীরা এই পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন। এই তালিকায় আরও একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তিনি হলেন, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান। ভারতের সবথেকে বেশি প্রশংসিত, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সেই সময়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। ১৯৫০-এর দশকে, পরিচালক কে আসিফ তার বিখ্যাত ছবি মুঘল-ই-আজম-এর কাজ করছিলেন।
তিনি হলেন, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান। ভারতের সবথেকে বেশি প্রশংসিত, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সেই সময়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। ১৯৫০-এর দশকে, পরিচালক কে আসিফ তার বিখ্যাত ছবি মুঘল-ই-আজম-এর কাজ করছিলেন।
ভারতের যে কাল্ট ছবির সাউন্ডট্র্যাকও কাল্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরকার নওশাদকে ৩০০০ টাকা (আজকের দিনে যা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা) দেওয়া হয়েছিল মোট ২০টি গান রচনা করার জন্য। সাউন্ডট্র্যাকটিতে তানসেনের চরিত্রে দু’টি ধ্রুপদী গান ছিল।
ভারতের যে কাল্ট ছবির সাউন্ডট্র্যাকও কাল্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরকার নওশাদকে ৩০০০ টাকা (আজকের দিনে যা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা) দেওয়া হয়েছিল মোট ২০টি গান রচনা করার জন্য। সাউন্ডট্র্যাকটিতে তানসেনের চরিত্রে দু’টি ধ্রুপদী গান ছিল।
আসিফ এবং নওশাদ জানতেন যে তাঁদের গান গাওয়ানোর জন্য হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর দখল থাকা কণ্ঠের প্রয়োজন। নিয়মিত প্লেব্যাক গায়কদের কথা বিবেচনা না করে সোজা শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে যান।
আসিফ এবং নওশাদ জানতেন যে তাঁদের গান গাওয়ানোর জন্য হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর দখল থাকা কণ্ঠের প্রয়োজন। নিয়মিত প্লেব্যাক গায়কদের কথা বিবেচনা না করে সোজা শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে যান।
কিন্তু শিল্পীর কাছে সিনেমার গানে প্লেব্যাক করাটা অপমানজনক বলে মনে হওয়ায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এদিকে নির্মাতারা জেদ ধরে বসেছিলেন। তাঁদের নিরুৎসাহিত করার জন্য উস্তাদ খান প্রতি গানের জন্য ২৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক হেঁকে বসেন।
কিন্তু শিল্পীর কাছে সিনেমার গানে প্লেব্যাক করাটা অপমানজনক বলে মনে হওয়ায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এদিকে নির্মাতারা জেদ ধরে বসেছিলেন। তাঁদের নিরুৎসাহিত করার জন্য উস্তাদ খান প্রতি গানের জন্য ২৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক হেঁকে বসেন।
শিল্পী ভেবেছিলেন তাঁরা হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, আসিফ শুধু রাজি হয়েছিলেন তা-ই নয়, তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছিলেন।
শিল্পী ভেবেছিলেন তাঁরা হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, আসিফ শুধু রাজি হয়েছিলেন তা-ই নয়, তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছিলেন।
এভাবেই উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান মুঘল-ই-আজম-এ মাত্র দু’টি গান গেয়ে সেই সময়ে ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। আজকের দিনে যা ৫০ লাখ টাকারও বেশি। এমনকি আজকের প্রথম সারির শিল্পী যেমন সুনিধি চৌহান এবং অরিজিৎ সিংও গানপ্রতি এত বেশি চার্জ করতে পারেন না।
এভাবেই উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান মুঘল-ই-আজম-এ মাত্র দু’টি গান গেয়ে সেই সময়ে ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। আজকের দিনে যা ৫০ লাখ টাকারও বেশি। এমনকি আজকের প্রথম সারির শিল্পী যেমন সুনিধি চৌহান এবং অরিজিৎ সিংও গানপ্রতি এত বেশি চার্জ করতে পারেন না।
প্রকৃতপক্ষে, সেই দিনগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা মহম্মদ রফি এবং লতা মঙ্গেশকরও প্রতি গানের জন্য ২৫০-৩০০ টাকা নিতেন বলে শোনা গিয়েছে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান তার প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করেছিলেন, যা আজও অকল্পনীয়।
প্রকৃতপক্ষে, সেই দিনগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা মহম্মদ রফি এবং লতা মঙ্গেশকরও প্রতি গানের জন্য ২৫০-৩০০ টাকা নিতেন বলে শোনা গিয়েছে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান তার প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করেছিলেন, যা আজও অকল্পনীয়।
উস্তাদ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাসুর ঘরানার সঙ্গীতশিল্পীর পরিবারে জন্ম নেন ১৯০২ সালে। অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবই তাঁর জন্মস্থান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর জন্মস্থান কাসুর পাকিস্তানে পড়ে এবং কণ্ঠশিল্পী সেখানে চলে আসেন।
উস্তাদ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাসুর ঘরানার সঙ্গীতশিল্পীর পরিবারে জন্ম নেন ১৯০২ সালে। অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবই তাঁর জন্মস্থান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর জন্মস্থান কাসুর পাকিস্তানে পড়ে এবং কণ্ঠশিল্পী সেখানে চলে আসেন।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
১৯৬৮ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান উস্তাদ। ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে একটি ডাকটিকিটও জারি করে। আজ জানা যায়, তাঁর প্রতিভা কেবল গানের জগতেই ছিল না, তিনি রাঁধতেন ভাল. মানুষের নকলও করতেন দারুণ।
১৯৬৮ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান উস্তাদ। ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে একটি ডাকটিকিটও জারি করে। আজ জানা যায়, তাঁর প্রতিভা কেবল গানের জগতেই ছিল না, তিনি রাঁধতেন ভাল. মানুষের নকলও করতেন দারুণ।

Lata Mangeshkar: গান তো শোনেন হামেশাই! জানেন, লতা মঙ্গেশকরের ‘আসল নাম’ কী…? কিশোর কুমারকে দেখে কেন ভয় পেয়েছিলেন ‘কোকিলকণ্ঠী’? মৃত‍্যুদিনে গায়িকার অজানা গল্প

দেশের সেরা শিল্পীদের তালিকায় আজও উজ্জ্বল নাম লতা মঙ্গেশকর। ‘কোকিল কন্ঠী’ লতা সূরের জগতে অমলিন নাম। লতা মঙ্গেশকরের জীবন নিয়ে আজও ভক্তদের সমান উত্‍সাহ। কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের সম্পর্কে আজও অনেক তথ‍্য অনেকের কাছেই অজানা। জানেন কি, লতা মঙ্গেশকরের নাম আসলে লতা ছিল না। পরবর্তীকালে একটি ঘটনার পর তাঁর নাম বদলে যায়।
দেশের সেরা শিল্পীদের তালিকায় আজও উজ্জ্বল নাম লতা মঙ্গেশকর। ‘কোকিল কন্ঠী’ লতা সূরের জগতে অমলিন নাম। লতা মঙ্গেশকরের জীবন নিয়ে আজও ভক্তদের সমান উত্‍সাহ। কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের সম্পর্কে আজও অনেক তথ‍্য অনেকের কাছেই অজানা। জানেন কি, লতা মঙ্গেশকরের নাম আসলে লতা ছিল না। পরবর্তীকালে একটি ঘটনার পর তাঁর নাম বদলে যায়।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত লতা মঙ্গেশকর। গোটা দেশ জুড়ে এমনকী দেশের বাইরেও তাঁর ভক্তসংখ‍্যা অগুণতি। ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গায়িকা বলা হয় তাঁকে। আজ লতা মঙ্গেশকরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা-সহ ৩৬টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত লতা মঙ্গেশকর। গোটা দেশ জুড়ে এমনকী দেশের বাইরেও তাঁর ভক্তসংখ‍্যা অগুণতি। ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গায়িকা বলা হয় তাঁকে। আজ লতা মঙ্গেশকরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা-সহ ৩৬টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
তাঁর কন্ঠের জাদু আজও ছড়িয়ে আছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতার। ছোট থেকেই সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন একজন মারাঠি সঙ্গীতশিল্পী, শাস্ত্রীয় গায়ক এবং থিয়েটার অভিনেতা।
তাঁর কন্ঠের জাদু আজও ছড়িয়ে আছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতার। ছোট থেকেই সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন একজন মারাঠি সঙ্গীতশিল্পী, শাস্ত্রীয় গায়ক এবং থিয়েটার অভিনেতা।
গানের পরিবেশেই বেড়ে ওঠেন লতা এবং তাঁর অন‍্যান‍্য ভাই বোনেরা। গানের জগতের লতার মতোই প্রতিষ্ঠিত নাম তাঁর বোন আশা ভোঁসলের।
গানের পরিবেশেই বেড়ে ওঠেন লতা এবং তাঁর অন‍্যান‍্য ভাই বোনেরা। গানের জগতের লতার মতোই প্রতিষ্ঠিত নাম তাঁর বোন আশা ভোঁসলের।
লতা তার বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লতার বাবার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দীননাথের থিয়েটার কোম্পানিও বন্ধ হয়ে যায় এবং তাঁর অনেক ঋণ ছিল। বাবা দীননাথ অল্প বয়সে মারা গেলে, কন্যা লতা হঠাৎ করে পরিবারের অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
লতা তার বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লতার বাবার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দীননাথের থিয়েটার কোম্পানিও বন্ধ হয়ে যায় এবং তাঁর অনেক ঋণ ছিল। বাবা দীননাথ অল্প বয়সে মারা গেলে, কন্যা লতা হঠাৎ করে পরিবারের অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
এই নামটি সারা বিশ্বে লতা মঙ্গেশকরকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছিল, কিন্তু জানলে অবাক হবেন লতা নামটি তার আসল নাম ছিল না। জন্মের পর তাঁর বাবা-মা প্রথমে তার নাম রাখেন হেমা।
এই নামটি সারা বিশ্বে লতা মঙ্গেশকরকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছিল, কিন্তু জানলে অবাক হবেন লতা নামটি তার আসল নাম ছিল না। জন্মের পর তাঁর বাবা-মা প্রথমে তার নাম রাখেন হেমা।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পরে লতার বাবা, তাঁর ভাব বন্ধন নাটকের প্রধান মহিলা চরিত্র লতিকা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁর নাম রাখেন লতা এবং তারপর সবাই তাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পরে লতার বাবা, তাঁর ভাব বন্ধন নাটকের প্রধান মহিলা চরিত্র লতিকা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁর নাম রাখেন লতা এবং তারপর সবাই তাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে।
একজন প্রবীণ গায়ক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি সারাজীবন একটি বিষয়ে অনুতপ্ত ছিলেন। কিশোর কুমারকে দেখে তিনি দৌড়তে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি নিজেও বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন। আসলে লতা মঙ্গেশকর এবং কিশোর কুমারের আলাপ ছিল বেশ মজার।
একজন প্রবীণ গায়ক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি সারাজীবন একটি বিষয়ে অনুতপ্ত ছিলেন। কিশোর কুমারকে দেখে তিনি দৌড়তে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি নিজেও বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন। আসলে লতা মঙ্গেশকর এবং কিশোর কুমারের আলাপ ছিল বেশ মজার।
আসলে মুম্বইয়ে কেরিয়ার শুরুর দিনগুলিতে লতা মঙ্গেশকর লোকাল ট্রেন ধরে স্টুডিওতে যেতেন। একদিন, মহালক্ষ্মী স্টেশনে, কুর্তা-পাজামা পরে এবং একটি লাঠি নিয়ে তার বগিতে প্রবেশ করল এক ব্যক্তি। লোকটিকে লতার খানিকটা চেনা চেনা মনে হয়েছিল কিন্ত কোথায় দেখেছিলেন তা তিনি মনে করতে পারেননি।
আসলে মুম্বইয়ে কেরিয়ার শুরুর দিনগুলিতে লতা মঙ্গেশকর লোকাল ট্রেন ধরে স্টুডিওতে যেতেন। একদিন, মহালক্ষ্মী স্টেশনে, কুর্তা-পাজামা পরে এবং একটি লাঠি নিয়ে তার বগিতে প্রবেশ করল এক ব্যক্তি। লোকটিকে লতার খানিকটা চেনা চেনা মনে হয়েছিল কিন্ত কোথায় দেখেছিলেন তা তিনি মনে করতে পারেননি।
ট্রেন থেকে নেমে তিনি গাড়ি ধরলেন। দেখা গেল কুর্তা পরা লোকটিও গাড়ি নিয়ে তাঁর পিছু নিতে শুরু করেছে। এসব দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান লতা। তিনি ছুটতে ছুটতে স্টুডিওতে পৌঁছান।
ট্রেন থেকে নেমে তিনি গাড়ি ধরলেন। দেখা গেল কুর্তা পরা লোকটিও গাড়ি নিয়ে তাঁর পিছু নিতে শুরু করেছে। এসব দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান লতা। তিনি ছুটতে ছুটতে স্টুডিওতে পৌঁছান।
কাছে পরিচিত মনে হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তিকে কোথায় দেখেছিলেন তা তিনি মনে করতে পারেননি। ট্রেন থেকে নেমে আমরা একটা গাড়ি নিলাম এবং সেই লোকটাও গাড়িতে করে পিছু নিল।
কাছে পরিচিত মনে হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তিকে কোথায় দেখেছিলেন তা তিনি মনে করতে পারেননি। ট্রেন থেকে নেমে আমরা একটা গাড়ি নিলাম এবং সেই লোকটাও গাড়িতে করে পিছু নিল।
স্টুডিওতে পৌঁছে তিনি সঙ্গীতজ্ঞ খেমচাঁদকে জিজ্ঞেস করলেন- 'ইনি কে যে আমাকে অনুসরণ করছে?' খেমচন্দ্র পিছন ফিরে তাকাতেই হাসতে লাগলেন এবং বললেন- 'ইনি কিশোরকুমার, অশোক কুমারের ভাই।'
স্টুডিওতে পৌঁছে তিনি সঙ্গীতজ্ঞ খেমচাঁদকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘ইনি কে যিনি আমাকে অনুসরণ করছেন?’ খেমচন্দ্র পিছন ফিরে তাকাতেই হাসতে লাগলেন এবং বললেন- ‘ইনি কিশোরকুমার, অশোক কুমারের ভাই।’’

Fact Check: লতা মঙ্গেশকরের মরদেহে থুতু ছিটিয়েছেন শাহরুখ? জানুন সত্যিটা কী ঘটেছিল

#মুম্বই: শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে, সুর সম্রাজ্ঞীর মরদেহে ‘থুতু’ দেওয়ার অভিযোগে শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশবাসীর একাংশ । কিন্তু আদৌ কি সেদিন তেমনটাই ঘটেছিল ? জানুন সত্যিটা (Fact Check)৷

‘কুইন অফ মেলোডি’ লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি ইহলোক ত্যাগ করেন। লতার স্বাস্থ্যের অবনতি এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের জটিলতা তাঁর মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা (Did Shah Rukh Khan ‘spit’ on Lata Mangeshkar’s mortal remains)।

আরও পড়ুন-Weather Update: আগামিকাল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

এরপর গায়িকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), আমির খান ( Aamir Khan), রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor), সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) থেকে শুরু করে আরও অনেকেই লতা মঙ্গেশকরকে তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

কিন্তু ইতিমধ্যে অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে, যেখানে শাহরুখকে তাঁর ম্যানেজার পূজা দাদলানির (Pooja Dadlani) সঙ্গে প্রার্থনা করতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিওটি একই সঙ্গে দু’ধরণের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। একদল নেটিজেনদের কাছ থেকে এই ভিডিও যেমন অনেক ভালোবাসা পেয়েছে, তেমনি আরেক দলের মতে এসআরকে লতা মঙ্গেশকরের মরদেহের উপর থুতু ছিটিয়ে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

শাহরুখের ভক্তরা অভিনেতার স্বপক্ষে জবাব দিয়েছেন যে, “শাহরুখ থুতু ফেলেননি, তিনি তাঁর ধর্ম অনুসারে লতা মঙ্গেশকরকে মৃত্যুর পর মন্দ থেকে বাঁচাতে ফুঁ দিয়েছিলেন।”

অন্য একজন লিখেছেন, “শাহরুখ খান আসলে দোয়া পড়ছেন এবং পরবর্তী জীবনে সুরক্ষা ও আশীর্বাদের জন্য লতাজির মৃতদেহের উপর ফুঁ দিচ্ছেন।”

শাহরুখ খান পরবর্তী জীবনে সুরক্ষা এবং আশীর্বাদের জন্য লতাজির মৃতদেহের উপর দোয়া পাঠ করছেন এবং ফুঁ দিচ্ছেন। যাঁরা থুতু দিচ্ছেন বলছেন, তাঁদের তিক্ততার মাত্রা বোঝা যাচ্ছে না, লিখেছেন আরেকজন।

এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কিছু নেটিজেন এর জন্য শাহরুখের তীব্র নিন্দা করছেন, আবার অনেকেই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছেন যে নায়ক কেবল “বাতাস উড়িয়ে দিচ্ছেন।”

Lata Mangeshkar as Photographer: ছায়াসঙ্গী ছিল ক্যামেরা, আলোকচিত্রী হিসেবেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন কিন্নরকণ্ঠী লতা

আমরা মনের অনুভূতির যেখানেই পা রাখি না কেন, লতা মঙ্গশকরের গান আমাদের সঙ্গী হয় ছায়ার মতোই৷ আমরা অনেকেই জানি না, স্বয়ং সুরসম্রাজ্ঞীকেও অনুসরণ করত আলো ও ছায়া৷ শুধু সুর নয়৷ তিনি ছিলেন আলোছায়ার কারিগরও৷ ছবি তোলা ছিল তাঁর প্যাশন৷ তিনি যেখানেই যেতেন, তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিল রোলেইফ্লেক্স ক্যামেরা৷(Lata Mangeshkar as Photographer)

সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে কিন্নরকণ্ঠী বলেছিলেন, ‘‘আমি ফোটোগ্রাফি খুব ভালবাসতাম৷ সর্বত্র আমার সব সময়ের সঙ্গী ছিল আমার ক্যামেরা৷ আমি স্টুডিওতে ক্যামেরা নিয়ে যেতাম৷ কাজে ব্যস্ত সহকর্মীদের ছবি তুলতাম৷ বাড়িতে মা, ভাইবোনদের ছবি তুলতাম৷ বাড়ির বাইরে ছবি তুলতে আমি খুব ভালবাসতাম৷’’

তিনি ছবি তুলতে এতটাই দক্ষ ছিলেন যে এক সময়ে ফোটোগ্রাফিকেই বিকল্প পেশা হিসবে ভেবেছিলেন৷ ‘‘আমি জানি না শিল্পী না হলে আমি কী হতাম৷ তবে ফোটোগ্রাফি নিশ্চয়ই একটা সম্ভাবনা ছিল৷’’ ছবি তোলার দুনিয়ায় ডিজিটাল শাসনে আশাহত হয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী৷ বলেছিলেন, ‘‘ এখন সকলে তাঁদের ফোনেই ছবি তোলেন৷ ক্যামেরার লেন্সে মুহূর্তদের বন্দি করার সেই পুরনো আনন্দই চলে গিয়েছে৷’’ আক্ষেপ ঝরে পড়ত সুরেলা কণ্ঠে৷

আরও পড়ুন : সম্রাজ্ঞী হয়েও এই কারণেই উজ্জ্বল প্রসাধনী ছেড়ে আপন করেছিলেন সাদা শাড়িতে হিরের দ্যুতিকে

আরও পড়ুন : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে

তাঁর বাড়িতে রয়েছে তাঁর তোলা অসংখ্য ছবি৷ প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পীর এই শখের কথা তাঁর ঘনিষ্ঠবৃত্তের বাইরে খুব কম লোকই জানেন৷ হেমন্তকন্যা রাণু স্মৃতিচারণায় বলেছেন লতার ছবি তোলার শখের কথা৷ প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর এই শৌখিনতার কথা মনে পড়েছে গায়িকা চিন্ময়ী শ্রীপদার স্মৃতিতেও৷ তিনি ট্যুইট করেছেন যখন ‘রং দে বসন্তী’-র সেটে লতা মঙ্গেশকর তাঁর শখের কথা প্রকাশ করেছিলেন৷ বলেছিলেন তাঁর কাছে পেশাদার ক্যামেরার বড় সংগ্রহ আছে৷ এমনকি, যে দিনের কথা, সেদিনও শিল্পী একটি নতুন ক্যামেরা কেনার কথা বলেছিলেন৷

Bollywood on Lata Mangeshkar: ‘মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়’, লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে বাকরুদ্ধ বলিউড…

#মুম্বই: সরস্বতী পুজোর পরদিনই চিরবিদায় নিলেন বলিউডের নাইটিঙ্গল লতা মঙ্গেশকর। তাঁকে বলিউড চিরকাল পুজো করেছে মানবরূপে দেবী সরস্বতী মেনে। ৩০-৫০ হাজারের মতো গান রেকর্ড করেছেন কিংবদন্তী এই গায়িকা। মোট ৩৬টি ভাষায় নিখুঁত উচ্চারণে গান গাওয়া তো আর সহজ কথা নয়, তাই বোধহয় তিনি সুরসম্রাজ্ঞী। রবিবার সমস্ত কিছু রেখে অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন লতা মঙ্গেশকর। এদিন তাঁর প্রয়াণে বাকরুদ্ধ বলিউড (Bollywood on Lata Mangeshkar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মনের কথা জানিয়েছেন সঙ্গীত ও অভিনয়জগতের শিল্পীরা (Bollywood on Lata Mangeshkar)।

এ আর রহমান, শ্রেয়া ঘোষাল, সোনু নিগম, বিশাস দাদলানিরা যেমন নিজেদের শোকবার্তা দিয়েছেন, তেমনই বলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ট্যুইট করে হৃদয় ভেঙে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন (Bollywood on Lata Mangeshkar)। অক্ষয় কুমার লিখেছেন, ‘মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়, গর ইয়াদ রহে… এবং কী ভাবে এমন কণ্ঠকে ভুলব!’ এ আর রহমান লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর নিজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা’। শ্রেয়া ঘোষাল দীর্ঘ পোস্টে নিজের মন খারাপের কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘ঠিক নেহি হ্যায়’ থেকে ‘ইয়ে হসিন রাত’, লতা মঙ্গেশকরের মুক্তি না পাওয়া গানগুলি…

 

View this post on Instagram

 

A post shared by shreyaghoshal (@shreyaghoshal)

 

View this post on Instagram

 

A post shared by ARR (@arrahman)

শ্রেয়ার কথা, ‘কাল সরস্বতী পুজো ছিল এবং আজ মা তাঁর সবচেয়ে প্রিয়কে নিজের কাছে নিলেন। কেন জানি আজ পাখি, গাছপালা ও বাতালে বিষণ্ণতা…’। অনুষ্কা শর্মা লিখেছেন, ‘ঈশ্বর কথা বলেন এমন সুমধুর কণ্ঠে’। করণ জোহরের মন্তব্য, আজ স্বর্গলোক প্রকৃত অর্থেই এক সুরের পরীকে দেখল। শৈশবে লতাজির গান শুনে বড় হয়েছি, আজ ওঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গিয়ে বলব, এমন সমধুর কণ্ঠে দেশকে গর্বিত কররা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন: বাংলার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল লতা মঙ্গেশকরের, শিক্ষক রেখেছিলেন বাংলা শিখবেন বলে!

সুভাষ ঘাই বলছেন, ‘সবসময়ে ওঁর ভালবাসা-আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য। ১৯৭৫ সালে আমার পরিচালক হিসেবে ডেবিউ ছবি কালীচরণ-এর যা রে যা ও হরজাই গানটির রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে শেষ দেখা, যখন হুইসলিংউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে লতা মঙ্গেশকর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড চালু হয়, পুরোটাই স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি। এই শতাব্দী তাঁকে মনে রাখবে। শান্তিতে ঘুমোন লতা দিদি। আপনি আমাদের সাথেই থাকবেন সবসময়ে।’ শোকপ্রকাশ করলেন অরিজিৎ সিং। লতাজি একবার বলেছিলেন, ‘আমি কখনও গান গাওয়া থামাব না। যেদিন আমার মৃত্যু হবে, সেদিন আমার গানও আমার সঙ্গে বিদায় নেবে…’ কিংবদন্তী শিল্পীর সেই মন্তব্য শেয়ার করে অরিজিৎ বললেন, ‘আপনি আমাদের মধ্যে চিরকাল থাকবেন।’

Lata Mangeshkar Demise: লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকে ডুবে ক্রিকেট দুনিয়া, বিরাট থেকে জয় শাহ সকলেই করলেন ট্যুইট

#মুম্বই:  ভারত রত্ন লতা মঙ্গেশকর  (Lata Mangeshkar Death) ৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ একদিন আগেই তাঁর শরীর বেশ খানিকটা ঠিক হয়েছে খবর পেয়ে খুশি হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের সব ফ্যানরা৷ কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হল না৷ কোকিলকণ্ঠী নশ্বর দেহ ছেড়ে পরমাত্মায় বিলীন হয়ে গেলেন৷ লতা মঙ্গেশকর নিজেও ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত ছিলেন এ খবর কারোর অজানা নয়, তাই সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকে মূহ্যমান গোটা ক্রিকেট দুনিয়া৷ ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যাচ থাকলে তিনি কখনও তা দেখতে ভুলতেন না৷ তাঁর মৃত্যুতে (Lata Mangeshkar death)  ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli ) তাঁকে ট্যুইট বার্তায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন৷

বিরাট কোহলি নিজের শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘‘ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে (Lata Mangeshkar Demise) গভীরভাবে শোকাহত৷ তাঁর মধুর সঙ্গীত ক্ষ লক্ষ মানুষকে ছুঁয়েছে৷ আপনার সমস্ত সঙ্গীত ও স্মৃতির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷ পরিবারের মানুষের জন্য আমার গভীর সমবেদনা৷ ’’

আরও পড়ুন – U19 World Cup জয়ী দলের সদস্যদের ৪০ লক্ষ টাকা করে দেবে BCCI, ঘোষণা Sourav-র

লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে (Lata Mangeshkar Demise) দেখে নিন বিরাট কোহলির সেই ট্যুইট

লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে (Lata Mangeshkar death) হরভজন সিংও দুঃখ প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন৷ প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং লিখেছেন, ‘‘

তিনি লিখেছেন, ‘‘লতাজী-র প্রয়াণের বিষয়ে শুনে খুব দুঃখ হয়েছে৷ আপনার আওয়াজ আমাদের হৃদয়ে সবসময় বেঁচে থাকবে৷ কোটি কোটি প্রণাম৷৷

লতামঙ্গেশকরজী -র প্রয়াণে (Lata Mangeshkar Death) শোকস্তব্ধ গৌতম গম্ভীর৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘লেজেন্ডস অনন্তকাল বেঁচে থাকেন৷ কেউ ওঁনার মতো কখনই হবে না৷’’

গৌতম গম্ভীরের ট্যুইট

এদিকে বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহও সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে (Lata Mangeshkar Demise)  শোকস্তব্ধ৷ তিনিও নিজের ট্যুইটবার্তায় জানিয়েছেন, ‘‘লতা দিদি নিজের সুরেলা আওয়াজে সকলকে প্রভাবিত করেছেন৷ তিনি বিভিন্নরকমের ভাবনা নিয়ে আসতে পারেন৷ তাঁর এমনই শক্তি৷ তাঁর ক্রিকেটে গভীর আকর্ষণ ছিল৷ তিনি নিজের মতো করে ক্রিকেটে যোগদান দিয়েছেন৷ উনি আর আমাদের মধ্যে নেই এই খবর হৃদয় ভেঙে দেয়৷ এটা একটা অপূরণীয় ক্ষতি৷’’

আরও পড়ুন- U19 World Cup Final: ভারতের দুই পেসার লুটে নিলেন ৯ উইকেট! ‘রবি-রাজ’ অ্যান্টিগায়

জয় শাহের ট্যুইট

লতা মঙ্গেশকর ২৮ দিন ধরে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷ কিছুদিন আগে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কিন্তু হঠাৎ করেই দিন দুয়েক আগে তাঁর স্বাস্থ্য আবার খারাপ হয় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু সব লড়াইকে ব্যর্থ করে দিয়ে ৯২ বছরের তা মঙ্গেশকর ৬ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হলেন৷

লতা মঙ্গেশকরকে ‘ওভাররেটেড গায়িকা’ বলে আক্রমণ! মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া

#মুম্বই: সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর নাকি ওভাররেটেড গায়িকা। এরকমই একটি মন্তব্য ঘিরে সরগরম টুইটার। এমনিতেই টুইটারে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই বলা বাহুল্য লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে এমন মন্তব্য এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কী প্রভাব ফেলেছে। ভারতবাসীর চিরকালীন কোকিলকণ্ঠী গায়িকা হিসেবে যিনি পরিচিত, যাঁর গলায় স্বয়ং দেবী স্বরস্বতী বিরাজ করেন বলে মানুষ বিশ্বাস করে, তাঁর সম্পর্কে এমন মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে টুইটারে।

কাবেরী নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী এমন টুইট করেন। তিনি লেখেন, “ভারতীয়দের মগজ ধোলাই হয়ে রয়েছে, তাই তারা লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ পছন্দ করে।” এখানেই তিনি থেমে যাননি। নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তিও দিয়ে গিয়েছেন।

কাবেরী লিখেছেন, “যতটা সময় গান গাওয়া উচিত ছিল, তার থেকেও অনেক বেশি সময় ধরে গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।” আবার এও লিখেছেন, “উমরাও জান ছবিতে তিনি গাননি বলে আমি খুশি। পাকিজা ছবি পর্যন্ত তাঁর গান অতটাও খারাপ লাগত না।”

কাবেরীর সঙ্গে সহমত হয়ে প্রিয়ঙ্কা সাচার নামে আর এক নেটিজেন লিখেছেন, “অনুরাধা পড়োয়াল সহ বহু শিল্পীর কেরিয়ার একা হাতে তিনি ধ্বংস করেছিলেন।”

কাবেরীর এই টুইট মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ১৫০০ বার তাঁর টুইটটি শেয়ার হয়েছে। ৬৮০০ জন পোস্টটি লাইক করেছেন। কিন্তু এই টুইটের বিরুদ্ধে সরবও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গায়ক আদনান সামি লিখেছেন, “বান্দর কেয়া জানে আদরাক কা স্বাদ। নিজের মুখ খুলে নিজেকে বোকা প্রমাণ করার চেয়ে চুপ থাকুন।”

পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও এই টুইটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মা স্বরস্বতীকে মানি শুধুমাত্র লতা মঙ্গেশকরের জন্য। আর তাঁর নিন্দুকদের জন্যই শয়তানকে বিশ্বাস করি।” এছাড়াও বহু নেটিজেন এই টুইটের বিরুদ্ধে নিজের মতামত জানিয়েছে।

সৌরভের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন, ডোনাকে ফোন সুরসম্রাজ্ঞী লতা-সচিনের

#কলকাতা: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। শনিবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই একে একে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোন আসতে শুরু করে। শুধু ক্রিকেট মহল নয়, অন্যান্য জগতের কিংবদন্তিদের ফোনও আসতে থাকে সৌরভের পরিবারের সদস্যদের কাছে। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে মহারাজের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।

যাঁর কণ্ঠে মন্ত্রমুগ্ধ হয় আট থেকে আশি, সেই লতা মঙ্গেশকর ফোন করে সৌরভের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। দাদার অসুস্থতার খবর ছড়াতেই গোটা দেশের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিনোদন মহলের প্রায় সকলেই জানতে চেয়েছেন মহারাজের শারীরিক অবস্থার কথা। সকলেই ট্যুইট করে মহারাজের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এই খারাপ খবর জানতে পেরেই ট্যুইট করেন সচিন তেন্ডুলকর। মহারাজকে খেলার মাঠে জড়িয়ে ধরে আছেন সচিন। এই ছবি শেয়ার করে তিনি লিখলেন, ‘এখুনি জানতে পারলাম সৌরভের অসুস্থতার কথা। তাড়াতাড়ি সেরে ওঠো। আশা করছি আগামী কয়েকদিনেই তুমি একদম সুস্থ হয়ে উঠবে।’ এমনকি ডোনাকে ফোন করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সৌরভের দীর্ঘদিনের সতীর্থ তথা বন্ধু সচিন।

‘দাদা’র আরোগ্য কামনা করছেন দেশ-বিদেশের বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারা। ট্যুইটারে বিরাট কোহলি লেখেন, ‘দাদা, তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করছি। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো।’ মেলবোর্ন থেকে ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর ট্যুইট করেন, ‘তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি, সৌরভ।’ দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন সৌরভের অধিনায়কত্বে তারকা হয়ে ওঠা দুই ক্রিকেটার— বীরেন্দ্র সহবাগ এবং হরভজন সিংহ। মহারাজের প্রিয় যুবরাজ সিংহ (যুবি) ট্যুইটে লেখেন, ‘দাদা, তুমি বরাবরের যোদ্ধা। তুমি আমাদের শিখিয়েছো কী ভাবে লড়াই করে জিততে হয়। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো। তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার জেসন গিলেসপি লেখেন, ‘’সৌরভ তোমাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে হবে।’

রবিবার সকালে উডল্যান্ডসের থেকে দেওয়া শেষ বুলেটিনে জানান হয়েছে, মহারাজ ভাল আছেন। বিপন্মুক্ত তিনি। চিকিৎসক সরজ মণ্ডল, সৌতিক পণ্ডা এবং চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু-সহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের তত্বাবধানে রয়েছেন। শনিবার দুপুরে করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে একটি ধমনীতে স্টেন্ট বসানোর পরে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। রাতে ভাল ঘুমিয়েছেন মহারাজ।

চিকিৎসকরা মনে করছেন সৌরভ বিপন্মুক্ত হয়েছেন সঠিক সময়ে শারীরিক অসুবিধে বুঝতে পেরে হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুর জানিয়েছেন, গোল্ডেন আওয়ারের তৎপরতাই কমিয়ে দিয়েছে মহারাজের প্রাণের ঝুঁকি। মহারাজের তিনটি আর্টারিতেই ব্লকেজ ছিল। অন্য দুটিতেও ব্লক রয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। ঝুঁকি না নিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ আর্টারিতে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। আপাতত কড়া পর্বেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। প্রেশার, পালস দুইই ভাল রয়েছে। বাকি দুটি ব্লকের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে, তার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার। তবে, সম্ভবত বাইপাস সার্জারি করা হবে না।