লাইফস্টাইল Blood Sugar Control: সামান্য টাকায় অসামান্য ফল! সস্তার সবজিতেই দমবন্ধ সুগার-কোলেস্টেরলের, পালাবার পথ পাবে না মধুমেহ Gallery December 11, 2023 Bangla Digital Desk সরষে বাটা দিয়ে সিম-বেগুনের তরকারি হোক কিংবা বেগুনের সাধারণ বাটি চচ্চড়ি৷ মাঝের ঝোলে কয়েক ফালি বেগুন ফেলে দিতে তরকারির স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ৷ বেগুন খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি যে, বহু রোগীর ক্ষেত্রেই কালো বেগুন খাওয়া নিষেধ করে দেন চিকিৎসকেরা৷ এ বিষয়ে কিন্তু দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে সাদা বেগুন৷ বাড়িতে কালো বেগুন রান্না অনেকেই করে থাকেন৷ কিন্তু, বাঙালি ঘরে সাদা বেগুন খাওয়ার প্রচলন এখনও তেমন নেই৷ কিন্তু, জানেন কি, স্বাদে ভাল হওয়ার পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আসলে, সাদা বেগুন হল পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি-এর মতো পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার। খাদ্যতালিকায় সাদা বেগুন রাখলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া, এতে থাকে ফাইবার এবং ম্যাগনেশিয়াম৷ যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লখনউ-এর সেন্ট্রাল কম্যান্ড হাসপাতালের ডায়াবেটিশিয়ান রোহিত যাদব এই সাদা বেগুনের অলৌকিক উপকারিতার কথা জানাচ্ছেন৷ যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা সাদা বেগুন খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সাদা বেগুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। সাদা বেগুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। সাদা বেগুন খেলে দীর্ঘদিন হার্ট সুস্থ থাকে৷ সাদা বেগুনে দারুণ মাত্রায় ফাইবার থাকে৷ যা ওজনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাদা বেগুন খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে ভাব হয় না। ফলে ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস দূর হয়৷ সাদা বেগুনে উপস্থিত ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। সাদা বেগুন নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে যায়। সাদা বেগুনে বিপুল পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে দুর্দান্ত। এটি আপনার সারা শরীরে এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। মস্তিষ্কে ভাল রক্ত প্রবাহের কারণে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মানসিক সমস্যাও দূরে থাকে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ ইন্টারনেটে প্রাপ্ত প্রচলিত সূত্র থেকে এই খবর সংগৃহীত৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ )
লাইফস্টাইল Nuts Benefits For Men: রোজ ঘুম থেকে উঠে খান ২টো করে বাদাম! পুরুষদের জন্য লুকিয়ে থাকে বিরাট ৫ উপকার Gallery December 8, 2023 Bangla Digital Desk আপনার খাদ্যভ্যাসে পুষ্টি না নিলে অনেক সমস্যা হতে পারে। পুষ্টির অভাবে যে কোনও কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করে। কিন্তু, চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানদের মতে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করা যায়। (প্রতীকী ছবি) এ জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বাদাম, কাজু, কিশমিশ এবং পাইন বাদাম ইত্যাদি শুধু আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে না বরং ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতেও সাহায্য করে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পুরুষদের পাইন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) এতে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, বি কমপ্লেক্স, জিঙ্ক, কপার এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। পুরুষদের জন্য পাইন বাদাম কতটা উপকারি তা জানেন ডায়েটিশিয়ান শিবালি গুপ্তা।পাইন বাদামে জিঙ্ক পাওয়া যায়, যা পুরুষদের টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সহায়ক। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) ডায়েটিশিয়ানের মতে, টেস্টোস্টেরন পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে, বাদাম খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।পুষ্টির প্রধান উৎস পাইন বাদাম প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এতে বিশেষ করে ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) এই খনিজগুলি ইমিউন সিস্টেম, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশী বিকাশ সহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে সমর্থন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব পুরুষ দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ করেন তারা তাদের খাদ্যতালিকায় পাইন বাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) সুস্থ থাকতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। ছোট আকারের সত্ত্বেও, বাদামে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। উপরন্তু, এটি ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত বোধ থেকে বিরত রাখে। যার কারণে বারবার খাওয়ার অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) এতে ক্যালরির পরিমাণ কমে যায় এবং পুরুষদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুরুষদের বেশিরভাগই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটা হতে শুরু করে। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এর একটি বড় কারণ হতে পারে। কিন্তু, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, আপনি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারেন। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইন বাদামে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। বাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় বাদাম পুরুষদের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাইন বাদামে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম পুরুষদের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পেশীর কার্যকারিতাও উন্নত করে। এর নিয়মিত সেবনে আপনি পুরুষরা ক্লান্ত হবেন না। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay) রাতে ভিজিয়ে রেখে, আপনি সকালে খালি পেটে বাদাম খেতে পারেন। আপনি দিনে ২-৩টি পাইন বাদাম খেতে পারেন। এটি বেশি খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। (এই প্রতিবেদনের বিশেষজ্ঞের তথ্য নির্ভর। নিউজ ১৮ বাংলা এর কোনও তথ্য নিশ্চিত করে না।)(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
পাঁচমিশালি গপগপ করে ভাত! মচমচ করে মুড়ি, খেতে দেখলেই মাথায় জ্বলে ওঠে আগুন, মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এই মহিলা Gallery December 8, 2023 Bangla Digital Desk : কাউকে খাবার খেতে দেখলে বেশ ভালই লাগে । নিজে খেলে তো কথাই নেই৷ কিন্তু জানেন কি এমন একজন মহিলা রয়েছেন, যিনি নিজেও কোনও ক্রমে খাবার গিলে নেন খাওয়া নিয়ে কোনও বিলাসিতা যাঁর নেই৷ কারণ খাবার খাওয়ার আওয়াজে তাঁর অতিষ্ঠ লাগে৷ এই বিরল রোগে আক্রান্ত রোগী কাউকে খেতে দেখতে সহ্য করতে পারে না। খাবার চিবানোর সময় মুখ থেকে বের হওয়া শব্দ সে সহ্য করতে পারে না। সে এতটাই রেগে যায় যে সে দেখে চিৎকার করতে থাকে। এখন পরিস্থিতি এমন যে তিনি পার্টিতে যান না। এমনকি বাড়িতেও কখনই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি খাবার খেতে পারেন না। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে তারপর খাবার খেতে বসেন৷ Photo- Representative মিরর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাউদাম্পটনের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী লুইস মিসোফোনিয়া নামক বিরল রোগে ভুগছেন। এটি একটি মানসিক রোগ৷ এই রোগে আক্রান্ত হলে যে কোনও নির্দিষ্ট শব্দের প্রতি অত্যন্ত বেশিমাত্রা সংবেদনশীল হন। কারোর ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার সময়ের চেবানোর শব্দ, ঝাঁকুনি, হাঁচি, শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ, পেনে ঢাকা বন্ধ করার শব্দ, হাত ঘড়ির টিকটিক শব্দ হতে পারে৷ এই ধরণের এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের রাগিয়ে দেয়। এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে তাঁদেরকে প্রায় পাগল করে তোলে। Photo- Representative তাঁরা নানাধরণের শব্দ সহ্য করতে পারে না। এই ধরণের লোকেরা পার্টিতে যেতে পারেন না বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে খাবার খেতে পারেন না। যাঁরা নাক ডাকে তাঁদের পাশে ঘুমানোর কথা তো ছাড়ুন, তাঁরা সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও ঘর করতে পারেন না৷ ‘সব ধরনের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে’লুইস বলেন, ‘‘আমি সাধারণত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার খেয়ে নিই। তারপর আমি আমার রুমে চলে যাই যাতে অন্যদের খেতে না দেখতে হয়। সবসময় একটা ভয় কাজ করতে থাকে যে কাউকে দেখে রাগ হয়ে আক্রমণ করতে পারি। সব ধরণের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে। তবে কিছু শব্দ থেকে নিজেকে বাঁচতে শিখেছি।’’ লুইস বলেন, ‘‘আমার শ্রবণ ক্ষমতা খুব সংবেদনশীল। আমি কিছু শব্দ অন্যদের চেয়ে জোরে শুনতে পাই। আমি যখন রেগে যাই, আমি বাচ্চাদের মতো আচরণ করতে শুরু করি। আমি কেউ তাড়াতাড়ি খাবার খায় পছন্দ করি না। মনে হয় আমি আক্রমণ করি, নয়তো আমি চুপচাপ আমার ঘরে পালিয়ে যাই। আমি সেখানেই থাকি, আমি সব রকম ভাবে মানুষের সঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলি।’’ লুইস জানিয়েছেন কখনও কখনও বিরক্তিকর শব্দগুলি বন্ধ করতে কানের ফানেল এবং রাবার ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করেন। তিনি বিহেভেরিয়াল থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷ রাতে ঘুমানোর সময় বৃদ্ধি, মানসিক চাপ কমানো, প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং সুষম খাবার খেয়ে এই রোগের চিকিৎসার পথ৷ প্রতীকী ছবি ৷
লাইফস্টাইল Cauliflower and Cabbage: এদের জন্য ‘বিষ’ ফুলকপি আর বাঁধাকপি! না জেনেই দেদার খাবেন না…শেষে বিরাট রোগ বাঁধিয়ে বসবেন Gallery December 7, 2023 Bangla Digital Desk শীত পড়তে শুরু করলেই বাজারে গুটি গুটি আসতে শুরু করে ফুলকপি৷ তার কিছুদিন পরেই আনাগোনা বাড়ে বাঁধাকপির৷ সঙ্গে কড়াইশুটি, বিট, গাজর…রঙ বেরঙের তরতাজা সব শীতের ফসল৷ সকাল সকাল বাজার করতে গেলেই মনটা ভাল হয়ে যায়৷ তারপর বাড়িতে এসে সে ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝোল হোক কী নিরামিষ ফুলকপির তরকারি৷ মাছের মাথা দিয়ে বাঁধাকপিও…দুর্দান্ত৷ কিন্তু, শুধু লোভে পড়লে কী হবে? তার আগে জানা দরকার, কাদের জন্য ফুলকপি, বাঁধাকপি খাওয়া একেবারেই চলে না৷ থাইরয়েডের হরমোনের সমস্যা কারও কাছেই আজকাল তেমন অপরিচিত নয়। প্রতি বাড়িতেই কোনও না কোনও মানুষ থায়রয়েডের সমস্যায় ভোগেন। পুরুষদের চেয়েও মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই অসুখ। এক বার ধরলে সহজে সঙ্গও ছাড়ে না। বিশেষ করে যাঁদের ক্ষেত্রে অসুখ অনেকটা বেড়ে যায়, তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় থাইরয়েড। থাইরয়েড থাকলে খাওয়া দাওয়া, জীবনযাপন কড়া নিয়মে বেঁধে দেন চিকিৎসকেরা। সাধারণত, থাইরয়েডের ক্ষেত্রে দুই ধরনের সমস্যা৷ হাইপোথাইরয়েডিজম, যেক্ষেত্রে, পরিমাণের তুলনায় কম থাইরক্সিন হরমোন তৈরি হয় এবং হাইপার থাইরয়েডিজম, যেখানে পরিমাণের তুলনায় বেশি থাইরক্সিন হরমোন তৈরি হয়৷ পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, কারও যদি হাইপো থাইরয়েডিজমের সমস্যা থাকে তাঁদের কখনওই বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এঁদের ছাড়াও সর্ষে, মুলো, রাঙা আলু, চিনে বাদাম এড়িয়ে চলাই ভাল। থাইরয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ ডায়েট থেকে বাদ দিলেই ভাল হয়।
লাইফস্টাইল Skin Care Tips: দামি ক্রিমে নয়, শীতেও চুঁইয়ে পড়বে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, শরীর রোগমুক্ত, রইল ৫ টি ঘরোয়া টিপস Gallery December 5, 2023 Bangla Digital Desk শীত পড়ছে। এই সময় নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। আসলে শীতকালে আবহাওয়ায় হঠাৎ পরিবর্তন হয়। এই সময় দিনের দৈর্ঘ্য কমে যায়। রাত দীর্ঘায়িত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আলস্য বাড়ে। তার ফলে ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। শীতের সময় সারাদিন সক্রিয় ও সুস্থ থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস মেনে চলা প্রয়োজন— ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা:ঘুমের সমস্যা থেকে নানা রকমের রোগ হতে পারে। সুস্থ শরীরের জন্য খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস রাখা প্রয়োজন। আবার পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন শরীরের জন্য। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে নিজের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন ব্যায়াম করা:শীতের সময় সকালের ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খোলা হাওয়ায় শরীরচর্চা করাই সব থেকে ভাল। তবে যেসব শহরে বায়ুদূষণের পরিমাণ খুব বেশি সেখানে খোলা হাওয়ায় শরীরচর্চা না করাই ভাল। সেক্ষেত্রে ঘরের ভিতরই শরীর চর্চা করা যেতে পারে। নিয়মিত খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি:শীতকালে হালকা খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ফল, শাকসবজি, মটরশুটি এবং ডিম খাওয়া দরকার। বাদ দিতে হবে তৈলাক্ত খাবার। খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। বেশিরভাগ ফল, শস্য, শাকসবজি এবং শুকনো ফলের মধ্যে ফাইবার পাওয়া যায়। যা হজমের সমস্যা কমায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শুকনো আদা ও তুলসীর ব্যবহার:শীতকালে সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে শুকনো আদা বা তুলসীর সঙ্গে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা বা এক চা চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো এক চা চামচ মধু সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। পর্যাপ্ত জল পান:শীতকালে মানুষ একটু কম জল পান করেন। কিন্তু এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়মিত জল পান করা উচিত।এতে ত্বকও ভাল থাকবে।
লাইফস্টাইল General Knowledge: কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম কী, আর সেই নামের মানে জানলে বুঝবেন কারা খান কলা Gallery December 4, 2023 Bangla Digital Desk পৃথিবীর নানা প্রান্তে গরীব থেকে বড়লোক সকলেই এই ফলটি খেয়ে থাকেন৷ আসলে খুব বেশি দাম না হওয়ায় কলার জনপ্রিয়তা চরম৷ কিন্তু এত স্বল্প দামী ফল হয়েও কেন কলার এত জনপ্রিয়তা৷ কারণ কলা খেলে খুব তাড়াতাড়ি শক্তি দেয়৷ পাশাপাশি এই খাবার পেট ভরা খাবারও৷ এই সত্যি বহু যুগ আগেও সত্যি ছিল৷ যা আগের প্রজন্মের মানুষরাও জেনেছিলেন৷ কলা খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। কলায় পিউরিনের পরিমাণ খুবই কম। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা এটিকে আরও ভাল খাবার করে তোলে। এর ব্যবহার গাউটের সমস্যা কমায়। এছাড়াও, কলায় আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা অনেক উপকার দেয়। ব্লটিং ও ক্র্যাম্পিং নিয়ন্ত্রণে কলা খুবই কার্যকর। ভিটামিন বি ৬ ও পটাশিয়াম পাওয়া যায় কলায়। যে কোনও বিজ্ঞানসম্মত নামই আসলে ল্যাটিন নাম৷ তার থেকেই বোঝা যায় কতদিন আগে থেকেই কলার গুরুত্ব বুঝেই এই নাম দিয়েছিলেন৷ যে কোনও প্রদেশেরই হোন , কলা খেয়েই থাকেন, কিন্তু কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম কি জানেন৷ সেটা বোঝা যায় কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম থেকে কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম Musa Sapientum-যার মানে ইংরাজিতে‘ fruit of the wise men’- অর্থাৎ বুদ্ধিমানদের ফল ৷ এদিকে কাঁচা কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম Musa Paradisiaca – আসলে কলা গাছগুলিকে মূলত লিনিয়াস দ্বারা দুটি প্রজাতিতে ভাগ করা হয়েছিল, যেগুলিকে তিনি মুসা প্যারাডিসিয়াকা নামে অভিহিত করেছিল সেগুলি কাঁচা কলা বা যে কলা রান্না করে তবে ব্যবহার করা হয় এবং Musa Sapientum কলা বা মিষ্টি কলা। যা সরাসরি ব্যবহার করা হয়।
লাইফস্টাইল How to lose Weight: একমাস আলু না খেলে কী হবে?…আপনি যা ভাবছেন একেবারেই তা নয়! জানুন বিশেষজ্ঞদের ‘আসল’ মত Gallery December 2, 2023 Bangla Digital Desk যে কোনও ভারতীয় পরিবারে আলু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সব্জি৷ আলু সেদ্ধ থেকে শুরু করে আলু ভাজা, যে কোনও তরকারি হোক কী পরোটা, সব রান্নাতেই অবলীলায় ব্যবহার করা যায় এই আলু৷ কিন্তু, জনমানসে ধারণা রয়েছে, এই আলু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর৷ এর সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঘোরতর যোগ সূত্র রয়েছে৷ এমনকি, আলু খেলে মোটা হয় হয় বলেও বেশ প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে৷ সেগুলো ঠিক কতটা সত্যি? কী হবে যদি আমরা খাদ্য তালিকা থেকে আলু সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিই.. একমাস টানা আলু না খেলে কী প্রভাব পড়তে পারে আমাদের শরীরে? সবটাই কি ভাল, না আলু খাওয়া বন্ধ করে দিলে কিছু ক্ষতিও হতে পারে..আসুন জেনে নিই পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে৷ প্রাচী জৈন, চিফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট এবং এইচওডি (নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স), সি কে বিড়লা হাসপাতাল, গুরুগ্রাম৷ তাঁর মতে, আলুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে৷ তাছাড়া, সাধারণত তা রান্না করতেও বেশ অনেকটাই তেল ব্যবহার করা হয়। তাই আলু খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে৷ যাতে প্রাথমিক ভাবে ওজন কমতে শুরু করবে৷ অর্থাৎ, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ এই বিষয়ে একমত, ডায়েটিশিয়ান শিবানি অরোরাও৷ তিনি জানাচ্ছেন, এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে আলু বাদ দিলে শরীরে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে ডায়েট চার্টে কী ভাবে সামঞ্জস্য বজায় রাখছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ আলুর পরিবর্তে যদি কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে শুরু করেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন কমবে৷ কিন্তু, তার পরিবর্তে বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে থাকলে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ ’’ শিবানি জানাচ্ছেন, আলুতে থাকা স্টার্চ রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, তাই তা বাদ দিলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়৷ বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। ফর্টিস এসকর্টস হাসপাতাল, ফরিদাবাদের প্রধান ডায়েটিশিয়ান ডক্টর কিরণ দালালের মতে, আলু দিয়ে তৈরি উচ্চ প্রক্রিয়াজাত পণ্য, যেমন আলুর চিপস এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ (সোডিয়াম) থাকে। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তবে, এই সব সত্ত্বেও আলু খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা৷ আলুতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগত উপাদান থাকে। তাই আলু বাদ দিলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷ জানিয়েছেন, শিবানি অরোরা। এছাড়া, আলুতে খাদ্য তালিকাগত ফাইবারও রয়েছে, যা হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই খাবার থেকে আলু বাদ দিলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে৷ আলুতে থাকা সেফ স্টার্চে যে ফাইবার থাকে, তা অন্ত্রে প্রি বায়োটিক হিসাবে কাজ করে৷ অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ তাই আলু খাওয়া বন্ধ করে দিলে অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে৷ সুতরাং, বিশেষজ্ঞদের মতে, আলু একেবারে বাদ দেওয়ার পরিবর্তে আলু খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন৷ সেটাই বেশি লাভদায়ক৷ আলুর পরিবর্তে ফুলকপি, রাঙালু বা মিষ্টি আলু ব্যবহার করতে পারেন৷
লাইফস্টাইল lifestyle News: ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোলে শরীরে এই বিশাল পরিবর্তন, দেখে নিয়ে এখনই সাবধান হন অনেকটা Gallery November 30, 2023 Bangla Digital Desk এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকেরই প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা ভাল ঘুমের প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্যহানী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখানে ঘুমিয় কাতুরেরা কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় তা দেখুন। (প্রতীকী ছবি) ঘুম একটি প্রাকৃতিক ওষুধ: ঘুম আপনাকে আপনার সমস্ত উদ্বেগ ভুলিয়ে দিতে পারে। জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন, রাতের ভাল ঘুমের মাধ্যমে সেগুলি সমাধান করা যায়। কিন্তু আজকাল অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন এবং মধ্যরাত পেরিয়েও টিভি দেখছেন। ফলস্বরূপ, বেশিরভাগ মানুষ দিনে সাত ঘন্টা ঘুমের নিয়ম লঙ্ঘন করেন। অনেকেই বুঝতে পারেন না, যে সঠিকভাবে না ঘুমালে অনেক স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। এখন দেখা যাক যারা প্রতিদিন ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাণদের মধ্যে কী ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। (প্রতীকী ছবি) কেন ৭ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন? এই ৭ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে। আপনাকে ফ্রেশ করে তোলে। ঘুম আমাদের জ্ঞানের ক্ষমতা, স্মৃতি একত্রিত করা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য অপরিহার্য। ঘুমও আপনার মস্তিষ্কের শক্তিকে সর্বদা সতর্ক থাকার জন্য উদ্দীপিত করে। আপনার ইমিউন সিস্টেম ভালভাবে কাজ করতে হলে সঠিক ঘুম অপরিহার্য। ৭ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ঠিকমতো ঘুম না হলে আপনি বিরক্ত, রাগান্বিত এবং মানসিক চাপ অনুভব করবেন। (প্রতীকী ছবি) ক্লান্তি: আপনার যদি ৭ ঘন্টার কম ঘুম হয়, পান তবে আপনি গভীর ঘুম পাচ্ছেন না। ফলস্বরূপ, সকালে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। এই ক্লান্তি সারাদিন থাকে। এ কারণে কোনও কাজে মন দিতে পারেন না। আপনার শরীরের অপর্যাপ্ত বিশ্রামের কারণে আপনি কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। (প্রতীকী ছবি) ওজন বৃদ্ধি: ঘুম শরীরের ওজনের সঙ্গে অতপ্রোতভাবে জড়িত। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া আপনার শরীরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে, জেরেলিন এবং লেপটিন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কার্নালের মাত্রা বেড়ে যায় এবং আপনি আরও ক্ষুধার্ত বোধ করেন। একই সময়ে, লেপটিনের মাত্রা হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ, আপনি বেশি ক্যালোরি এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা রাখেন। অবশেষে আপনার ওজন বাড়তে শুরু করবে। (প্রতীকী ছবি) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: আপনার ইমিউন সিস্টেম ভালভাবে কাজ করার জন্য ভাল ঘুম অপরিহার্য। রাতে গভীর ঘুমের সময় আমাদের শরীর সাইটোকাইন তৈরি করে এবং নিঃসরণ করে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি ৭ ঘন্টার কম ঘুমান তবে এই সাইটোকাইনগুলি সঠিক পরিমাণে উৎপাদিত হবে না। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি দেখা দেয়। (প্রতীকী ছবি) মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব: ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রায়ই আপনার মেজাজ পরিবর্তন। বেশি রাগ ও মানসিক অস্থিরতা দেখা যায়। এটা দিনের পর দিন মানসিক চাপ নিয়ে আসে। ক্রমাগত ঘুমের অভাব মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা হতে পারে। (প্রতীকী ছবি) আপনার মস্তিষ্ক ভালভাবে কাজ করতে হলে ভাল ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্মৃতিকে একত্রিত করতে, সমস্যা সমাধান করতে ও যে কোনও নতুন কিছু শেখার জন্য ভাল ঘুম অপরিহার্য। আপনি যদি ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান তবে আপনার জ্ঞামের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনি কোনও কিছুতে মনোনিবেশ করতে পারবেন না; কিছু জিনিস সহজে ভুলে যায়; নতুন কিছু শিখতে নাও পারে। (প্রতীকী ছবি)
লাইফস্টাইল Men Mistake in Morning: ঘুম থেকে উঠেই এই ভুলগুলি করেন পুরুষেরা, ফল ভুগতে হয় সারাজীবন Gallery November 30, 2023 Bangla Digital Desk সৌন্দর্য নাকি শুধু মহিলাদেরই জন্য। এমন ধারণা ভেঙে গিয়েছে। এখন পুরুষও সচেতন তাঁর চেহারা নিয়ে। বিশেষত ত্বকের যত্নে এখন পুরুষেরাও যথেষ্ট সময় ব্যয় করছেন।কিন্তু মুখের ত্বকে পুরুষের প্রধান সমস্যা দাড়ি। শেভ করার সময় কয়েকটি ভুল মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে ত্বকে। সেই কারণেই পুরুষের মুখের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এমনকী অকাল বার্ধক্যও দেখা দিতে শুরু করে। এই সাধারণ ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার—১. পুরুষেরা প্রায়ই শেভ করার সময় রেজার বেছে নিতে ভুল করেন। দ্বিতীয়ত, শেভ করার আগে দাড়ি নরম না করেই শেভিং ক্রিম বা ফোম লাগিয়ে ফেলেন। এতে ত্বক ও দাড়ি দুটোই শক্ত হয়ে যায়। ফলে ভাল মতো দাড়ি কাটা যায় না, এমনকী ত্বকও কেটে যায়। একটি ব্লেড একাধিকবার ব্যবহার করলেও সমস্যা হয়। ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। ত্বক শক্ত হয়ে যায়। দাড়ি কাটার করার আগে হালকা গরম জলে ভিজিয়ে নেওয়া দরকার। ভাল রেজারও ব্যবহার করতে হবে। ২. অনেকে আবার মনে করেন শেভিং ক্রিম বা ফোম লাগানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমনটা করলে ক্রমাগত দাড়ি এবং ত্বক শক্ত হয়ে যায়। তাই শেভ করার আগে দাড়ি নরম করা জরুরি। পুরুষদের ত্বকেও আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে মুখে ক্রিম লাগানও জরুরি। ৩. পুরুষের মুখের ত্বকেও ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে আর্দ্রতার অভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার এবং রিঙ্কেল ক্রিম নারী ও পুরুষ উভয়েরই ত্বকের জন্য অপরিহার্য। ৩০ বছরের পর প্রত্যেক পুরুষকেই ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। ৪. অনেকেই দাড়ি কাটার পর আফটারশেভের লাগান। বেশিরভাগ আফটার শেভে অ্যালকোহল থাকে। তাই বরং আফটারশেভের বদলে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫. বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর প্রতিবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ৩০ বছর বয়সের পর সানস্ক্রিন লাগানোও প্রয়োজন। রেটিনল, ভিটামিন সি এবং নিয়াসিনমাইনযুক্ত পণ্য মুখের রেখা ও বলিরেখা দূর করতে খুবই উপকারী। তাই ভারী ক্রিমের পরিবর্তে পুরুষদের জন্য সেরাম বেশি উপকারী হবে।
লাইফস্টাইল Lifestyle News: বার্ধক্যেও থাকবেন টগবগে তারুণ! পুরুষের ‘মেনোপজ’ এড়াতে এই ব্যবস্থা নিলে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো Gallery November 30, 2023 Bangla Digital Desk যে কেউ বিবাহ এবং প্রজনন সম্পর্কিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলি জানেন, তাঁদের অবশ্যই জানেন যে মহিলাদের জন্য মেনোপজ কী। মেনোপজ হল সেই পর্যায় যখন ৫০ বছরের কাছাকাছি বয়সের মহিলারা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। (প্রতীকী ছবি) মেনোপজকালীন মহিলাদের, যদিও বৈবাহিক জীবনে যথারীতি জড়িত হতে কোনও বাধা নেই, তবে নানারকম অস্বস্তি হতে পারে। একই সময়ে, আমরা শুনেছি যে পুরুষরা একটি সুখের বিবাহিত জীবন পেতে পারে এবং তাদের জীবনের শেষ অবধি যৌনক্ষম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে, আমরা বলতে পারি যে, পুরুষদের যদি মেনোপজের মতো অবস্থা থাকে, সেটাও সত্যি৷(প্রতীকী ছবি) পুরুষদের জন্য এই ধরনের একটি পর্যায়কে ‘অ্যান্ড্রোপজ’ বলা হয়। পুরুষরা সাধারণত ৪০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে এই পর্যায়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুরুষরা সম্পূর্ণভাবে নারীদের মতো পরিস্থিতি তে পৌঁছন না। একই সময়ে, অ্যান্ড্রোপজে পৌঁছেছে এমন পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এই পরিবেশে পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়।(প্রতীকী ছবি) এই বিষয়ে ডাঃ মুকেশ বাত্রা বলেন, “যারা এন্ড্রোপজে পৌঁছেছেন তারা পেশী শক্তি হ্রাস অনুভব করবেন। পুরুষত্বহীনতা, চিন্তার ব্যাধি, বিরক্তি এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি পুরুষদের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে।(প্রতীকী ছবি) একই সঙ্গে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার এমন দিক রয়েছে যা অ্যান্ড্রোফেজ দ্বারা সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে পারে। খিটখিটে মানসিকতা, মানসিক বিভ্রান্তি, অনিদ্রার মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।(প্রতীকী ছবি) একইভাবে পুরুষত্বহীনতা, দীর্ঘস্থায়ী সহবাসে শারীরিক শক্তির অভাবের মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারেন৷ সর্বোত্তম ফলাফল পেতে, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং ব্যক্তির সমস্যা অনুসারে অনন্য ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন।(প্রতীকী ছবি) এছাড়াও, প্রতিদিনের ব্যায়াম, একটি সুষম, পুষ্টিকর খাদ্য, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং পর্যাপ্ত ঘুম এন্ড্রোপজ চলাকালীন জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে আপনি বার্ধক্যেও তারুণ্যময় জীবন উপভোগ করতে পারেন।(প্রতীকী ছবি)