কলকাতা: আমরা অনেকেই বেশিরভাগ সময়ে লিফট ব্যবহার করি। অনেক সময় এমন হতে পারে যে লাইট নিভে গিয়ে কেউ লিফটে আটকে গিয়েছেন। এমন সময় হঠাৎ ভয় লাগা স্বাভাবিক।
অনেকেই হয়তো কল্পনা করেননি যে, নিচে নামার পরিবর্তে একটি লিফট উপরে যেতে শুরু করে এবং রকেটের গতিতে ছুটে ছাদে ধাক্কা খায়, তাহলে কী হবে? এটি এমন একটি বিষয় যা মনে মারাত্মক ভয় সৃষ্টি করে। একই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা সেক্টর-১৩৭-এ।
এখানে পারস টায়রা সোসাইটির টাওয়ার-৫-এর লিফট হঠাৎ করে চতুর্থ তলায় খারাপ হয়ে যায় এবং ব্রেক ফেল করায় লিফটটি নিচে নামার পরিবর্তে দ্রুত গতিতে উঠে ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন- সিলিং ফ্যান কোন উচ্চতায় ব্যবহার করলে ঘর হবে বরফের মতো ঠান্ডা! আসল কায়দা জানুন
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা প্রায় প্রতিদিনই লিফট ব্যবহার করেন। কিন্তু লিফটে যদি কখনও কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে কী কী বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হয়তো জানেন না।
আতঙ্কিত না হওয়া- লিফটে আটকে যাওয়া আতঙ্কের কারণ হতে পারে। লিফটে লোকের সংখ্যার উপর নির্ভর করে, সবাই যদি আতঙ্কে প্রবল ভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে, তবে অস্বস্তি বাড়বে। শান্ত থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে এবং লিফটে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
অ্যালার্ম বাজানো- লিফটে অ্যালার্ম টিপে কারও সাড়া দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হব। প্রয়োজনে লিফটের বোতাম টিপে ফোন করা যেতে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে এমন কাউকে কথা বলতে দিতে হবে।
লিফট বা অ্যালার্ম কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, লিফটের পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। যাতে লিফট কোম্পানি বা কেউ যখন দরজা খোলার চেষ্টা করে, তাদের ভিতরে প্রবেশের জন্য একটি জায়গা থাকে।
কারও লাফ দেওয়া উচিত নয়- যখন লিফট ভেঙে যায়, তখন কিছু মানুষ ঘাবড়ে যায় এবং লাফিয়ে লিফট চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এতে লিফটের স্টেবিলাইজার সিস্টেম প্রভাবিত হয় এবং এটিকে স্থির রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন- অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন হারালেও আর চিন্তা নেই, কোথায় আছে বলে দেবে জি-মেল আইডি
দরজা খোলার চেষ্টা না করা– কেউ যখন লিফটে আটকে থাকবেন, তখন অনেকেই দরজা খুলতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন, এটাই স্বাভাবিক। দরজা খোলা থাকা অবস্থায় লিফট চলতে শুরু করলে লিফট থেকে মানুষের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কখনই লিফটের দরজা নিজে খোলার চেষ্টা না করাই ভাল।