লাইফস্টাইল Low Pressure Prevention Tips: লো প্রেশারে মাথা বনবন করে ঘোরে? এই খাবারগুলি খেলেই ম্যাজিক! কমবে রক্তচাপের সমস্যা Gallery October 31, 2024 Bangla Digital Desk নিয়ম মেনে ঠিকমতো খাবার খেলে লো প্রেশার জনিত জটিলতা ঠিক হয়ে যায়। কোন কোন খাবারে দূর হয় লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা, দেখে নেওয়া যাক। বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল। নুন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। যাঁদের লো ব্লাড প্রেশার আছে তাঁদের একটু একটু করে খাবারে নুন বা সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।ব্লাড প্রেশার থাকলে বেশি করে জল বা যে কোনও পানীয় পান করা উচিত। জল কম পান করলে শরীরে ব্লাড ভলিয়্যুম কমে যায় এবং রক্তচাপ কমতে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন যাঁদের রক্তচাপ কম তাঁদের সারাদিনে অন্তত আট কাপ জল পান করা উচিত। এঁদের মদ্যপান না করাই ভাল, কারণ এতে শরীর আরও শুষ্ক হয়ে যায়। সামান্য কিছু সময়ের জন্য হলেও রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম ক্যাফেইন। কারণ কফি বা ক্যাফেইন মিশ্রিত যে কোনও পানীয় কার্ডিয়োভাস্কুলার রেট বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে। শরীরে ভিটামিন বি ১২’-এর ঘাটতি থাকলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। আর তার থেকেও হতে পারে লো ব্লাড প্রেশার। তাই বি-১২ যুক্ত শস্য, মাংস এবং ইস্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শরীরে ফোলেট কম হলেও রক্তাল্পতা হতে পারে। অ্যাসপারাগাস, বিনস, ডাল, সিট্রাস ফল, সবুজপাতাযুক্ত সবজি, ডিম ও লিভার খেতে হবে।
লাইফস্টাইল Ratan Tata: কোন রোগে মৃত্যু হল রতন টাটার, জানেন? খুব কমন সমস্যা কিন্তু, সাবধান না হলেই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনায় বেশিরভাগ সময়েই প্রাধান্য পায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা। এর সঙ্গে একই ভাবে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেশারের ফলেও কিন্তু মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপকে বলা হয় হাইপোটেনশন। ফের হাইপোটেনশন নিয়ে আলোচনা হল রতন টাটার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। হৃদ্রোগ চিকিৎসক শাহরুখ আসপি গোলওয়ালা রতন টাটার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানান, রতন টাটা নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনের সমস্যায় ভুগছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। এই রোগের কারণেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাইপোটেনশনের কারণে তাঁর শরীরের অন্য অঙ্গগুলির কার্যকারিতাও নষ্ট হতে শুরু করে। এর পাশাপাশি শেষের দিকে তাঁর শরীরে জলের মাত্রাও কমতে শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কী এই হাইপোটেনশন? এক ধাক্কায় রক্তচাপের মাত্রা অনেকটা নেমে গেলেই শুরু হয় সমস্যা। এমনকি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জিনগত কারণের পাশাপাশি ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জল কমে যাওয়া এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কী কী লক্ষণ দেখা যায়? হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে অসম্ভব দুর্বলতা দেখা দেবে। মাথা ঘোরানো, ঝিম ধরা ভাব, কোনও কিছুর সাপোর্ট ছাড়া ২-৩ স্টেপ হাঁটতেও সমস্যা হতে পারে। সবসময়ই মনে হতে পারে শরীরে কোনও শক্তি নেই, যখন তখন আপনি পড়ে যেতে পারেন। প্রেশার আচমকা কমে গেলে কিংবা যাঁরা হাইপোটেনশনের রোগী, তাঁরা যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। সবসময়ই মাথায় একটা ঝিম ধরা ভাব থাকতে পারে। মাথা ঘোরাতে পারে। রক্তচাপ কমে গেলে আপনি জল তেষ্টা অনুভব করবেন। অর্থাৎ মনে হবে আপনার ভীষণ জল তেষ্টা বা জল পিপাসা পেয়েছে, যেন অনেকক্ষণ জল খাননি। ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপের কারণে চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। সামনের সবকিছুই কেমন যেন অন্ধকার, ঝাপসা, ধোঁয়াশা মতো লাগতে পারে। অর্থাৎ চোখের ক্লিয়ার ফোকাসের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন? বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না। অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। সোডিয়াম যুক্ত খাবান খান। টোম্যাটোর রস খেতে পারেন রোজ। বিছানা থেকে ওঠার আগে পা মাটিতে দিন। একটু অপেক্ষা করে তারপর উঠুন।