আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এবং প্রচণ্ড গরমের কারণে মশার উপদ্রবও দেখা দিতে শুরু করেছে। তাই মরশুমি রোগের পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিও বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতাই প্রতিরোধের সর্বোত্তম সমাধান। মরশুমি রোগে আক্রান্তদের পাশাপাশি রাজস্থানের করৌলি জেনারেল হাসপাতালে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।গ্রীষ্মের মরশুমে নোংরা জায়গায় মশারা বেশি বংশবৃদ্ধি করে। এই কারণে প্রতিদিন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত অসংখ্য রোগী চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুরা। আর সবথেকে বড় কথা হল, এরাই বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সময়মতো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য করৌলিতেও একটি কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। যা আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত চলবে। এই বছরের থিম হল – বৃহত্তর বিশ্বের জন্য ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইকে ত্বরান্বিত করা।চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডা. দীনেশ চাঁদ মীনা জানান, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের দল সাধারণ মানুষকে মশার কারণে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করছে। আসলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি।সিএমএইচও বলেন, ম্যালেরিয়া ও মশার কারণে সৃষ্ট ডেঙ্গির মতো অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে ঘুমোনোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত। বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের পর থেকে আশার দল গঠন করা হয়েছে এবং এএনএম ও সিএইচও-রা দোরে দোরে ঘুরে সমীক্ষা চালাচ্ছে। এছাড়াও তাঁরা জনসাধারণকে মশাবাহিত রোগের উপদ্রব থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য নানা ভাবে সাহায্য করছেন।কুলার, ফ্রিজের ট্রে, আবর্জনা বা ময়লার বালতি, হাঁড়ির নিচের ট্রে ইত্যাদি জায়গায় জল জমা হতে দেওয়া যাবে না। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। ডেপুটি সিএমএইচও ডা. ও. পি. মীনা বলেন যে, ম্যালেরিয়া সাধারণত স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে ছড়ায়।ডেপুটি সিএমএইচও বলেন, ম্যালেরিয়ার কিছু গুরুতর লক্ষণ রয়েছে। ম্যালেরিয়ার প্রধান উপসর্গ হল – হঠাৎ করে জ্বর আসা, তারপরে প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগা, ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাওয়া, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতাল যোগাযোগ করা উচিত বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।আর এই মশা নোংরা জলে বংশবিস্তার করতে সক্ষম। এটি এড়াতে চাইলে বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেওয়া যাবে না। রাতে ঘুমোনোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।
