Tag Archives: Maldives

Maldives: ভোট চলছে ভারতে, কিন্তু ভারতের সব নজর অন্য এক ভোটের ফলে! কোথাকার? কেন এত জরুরি সেই ভোট?

মলদ্বীপ: মলদ্বীপের পার্লামেন্ট পিপলস মজলিসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ণয়ে আজ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির ৯৩টি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩ জন ভোটার ভোট দিচ্ছেন আজ। আর ভারতে লোকসভা ভোট চলার মধ্যেই গোটা দেশের রাজনৈতিক কুশিলবদের নজর রয়েছে মলদ্বীপের ভোটের দিকেও। কিন্তু কেন? ভারতের বিরোধিতা করলে কি মুইজ্জু তার আসন হারাবেন? মলদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট শুরু।

এই ভোটের দিকে কড়া নজর রয়েছে চিনেরও। নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে মূলত দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)-এর সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল এমডিপি-র। মলদ্বীপের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তার জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নির্বাচনের ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত ও চিন।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বহুতলের ১৪ তলা থেকে কী পড়ল ওটা! কাছে যেতেই দেখা গেল, রক্তে মাখা যুবতী!

গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে চিনপন্থী মুইজ্জু। এবারের নির্বাচনের প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে ‘বিতাড়ন’ করার সিদ্ধান্ত নেন এই নেতা। মলদ্বীপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো গড়তে বরাত দেন চিনা সংস্থাগুলোকেও। মুইজ্জুকে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে বেজিং, একথা কার্যত দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। তাই ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপ নির্বাচনের দিকেও নজর রাখছে কারণ উভয় দেশই দ্বীপপুঞ্জে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। যার কারণে ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। গত বছর, রাষ্ট্রপতি হিসাবে, মুইজ্জু চীনপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এবং দেশের একটি দ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সৈন্যদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে নির্দিষ্ট ডেডলাইনও দিয়েছিলেন। তবে, মুইজ্জুর পক্ষে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ তার কিছু মিত্র দলত্যাগ করেছে এবং আরও দল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। ছয়টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র দল সংসদের ৯৩টি আসনে ৩৬৮ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিয়েছে।

Dolly Chaiwala : বিল গেটসের সঙ্গে সাক্ষাৎ! ডলি চাওয়ালা ছুটিতে মলদ্বীপে, সঙ্গে কোন বলিউড তারকার

মলদ্বীপ:  নাগপুরে থাকাকালীন, যে কেউ ডলির জনপ্রিয় চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই, হলুদ সানগ্লাস, সোনার চেন এবং একটি অদ্ভুত হেয়ার-স্টাইল সহ একটি মজাদার পোশাক পরিহিত লোকটিকে দেখতে পারেন। ডলি চাওয়ালা, যিনি সম্প্রতি বিলিওনিয়ার বিল গেটসের সঙ্গে একটি অপ্রত্যাশিত ভিডিওর জন্য ভাইরাল হয়েছিলেন, তিনি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন। কারণ বিল গেটসের সঙ্গে দেখা করার পর, ডলি চাওয়ালা মলদ্বীপে সোহেল খানের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। শুনতে অবাক লাগলেও তাঁর এই সকল ভাইরাল ছবিতেই এখন কাঁপছে সোশ্যাল মিডিয়া।

বলিউড তারকার সঙ্গে পোজ দেওয়ার পাশাপাশি ডলি চাওয়ালাকে স্থানীয়দের সঙ্গে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে সোহেলের সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে ডলি লিখেছেন, “মলদ্বীপে দেখা মিলল সোহেল খান স্যারের। খুব ভাল লাগল তাঁর সঙ্গে দেখা করে।” পরবর্তীতে, অন্যান্য অনেক ছবিও ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখানো হয়েছে যে তিনি দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

আরও পড়ুন : জোর টক্কর অরিজিৎ-অনুপমের, ফিল্মফেয়ারে মনোনীত সৌমিতৃষাও! দেখে নিন ফিল্মফেয়ারে মনোনয়নের চমক লাগানো তালিকা

মলদ্বীপের বাসিন্দা সুজাউ হুসেন, X হ্যান্ডলে ডলি চাওয়ালার সঙ্গে তাঁর ছবিও শেয়ার করেছেন এবং তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ডলিকে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশতে এবং দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাণবন্ত পরিবেশে আনন্দ করতে দেখা যাচ্ছে। এরপর অনেকেই তাঁদের পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ ডলিকে তাঁর সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানালেও, কেউ কেউ ছবিটি নিয়ে হাস্যকর মন্তব্যও করেছেন। একজন ইউজার লিখেছেন, “এবার তো ডলি ফিল্মেও আসবে।” আরেকজন লিখেছেন, “ডলি চাওয়ালা হল বিল গেটসের বন্ধু।” একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, “ভগবান আপনাকে আরও সাফল্য দিক, ভাই।” আবার অন্য একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, “আমি ডলির জন্য খুব খুশি। যখন একজন ছোট বিক্রেতা সফল হয়, তখন আমি এটা দেখে খুব খুশি হই। একজন ইউজার যোগ করেছেন, “ভাল যাচ্ছে, ডলি, ভাই। তোমাকে দেখে গর্বিত।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by D🫖LLY (@dolly_ki_tapri_nagpur)

আরও পড়ুন : বিয়ের পর সলমনের প্রাক্তন ভগ্নীপতির প্রথম হোলি! ভালবাসার রঙে মাখামাখি হলেন পুলকিত-কৃতী

 

View this post on Instagram
কিছুদিন আগেই মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ডলি চাওয়ালার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। গেটসের ভারত সফরের সময় তিনি ডলির চা স্টল থেকে এক কাপ চা উপভোগ করতে কিছু সময় নিয়েছিলেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় যে, গেটস ডলির চায়ের স্টল থেকে এক কাপ গরম চা পান করছেন, যা ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। পরে, ডলিও স্বীকার করেন যে, তিনি চা তৈরির সময় গেটসের আসল পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন ডলি। এবার মলদ্বীপে সোহেল খানের সঙ্গে ছবি তুলে আরও একবার ভাইরাল ডলি চাওয়ালা।

Maldives: মলদ্বীপে চাপে মুইজ্জু, ইমপিচমেন্ট আনল বিরোধীরা, সরকার কি পড়ে যাবে? সংখ্যা কি বলছে?

মলদ্বীপে মুইজ্জু সরকারের পতন কি সময়ের অপেক্ষা মাত্র? না, এখনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দল মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইতিমধ্যেই মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট এনেছে। তাদের দাবি, ‘সরকার ফেলে দেওয়ার মতো সংখ্যাও আমাদের কাছে রয়েছে’।

মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের অনুমোদন দেওয়া নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বিরোধী দল বেঁকে বসেছে। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টও এনেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে মুইজ্জু সরকার। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মুইজ্জু। তারপর থেকেই নানা বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর সরকার।

মলদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) এবং ডেমোক্র্যাটস সংসদীয় গ্রুপ রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাল্টা ক্ষমতাসীন দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাংসদরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।

দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোমবার মলদ্বীপের সংসদ মুইজ্জুর ১৯ মন্ত্রীর অনুমোদন দেয়। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল আহমেদ উশাম, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী মহাম্মদ শাহিম আলি সইদ এবং আবাসন মন্ত্রী আলি হায়দারের অনুমোদন বাতিল করে। অল্পের জন্য মন্ত্রী পদ রক্ষা পান অর্থমন্ত্রী মহম্মদ সাইদের।

এমডিপি-র এক সাংসদ নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘মুইজ্জু গদি বাঁচাতে গতবারের মতো সাংসদদের ঘুষ দিতে পারে’। তাঁকে এবং তাঁর দলের সাংসদদের হয়রানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন, এবার জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে চালু হবে কন্ট্রোল রুম, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ নবান্নের

মলদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের জন্য এক তৃতীয়াংশের সাংসদের স্বাক্ষর সহ প্রস্তাব পেশ করতে হবে। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন পেতে হবে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের। এখন মলদ্বীপের ক্ষমতাসীন প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিপিএম/পিএনসি) জোটকে চ্যালেঞ্জ করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধী দল তথা মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রয়েছে।\

মলদ্বীপের সংসদ ‘মজলিস’-এর সদস্য সংখ্যা ৮৭। বর্তমানে ৮০ সাংসদ রয়েছেন। এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটদের ৫৬ জন সাংসদ ইমপিচমেন্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এখনও তা পেশ হয়নি। সংসদ সদস্যরা যদি প্রস্তাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে। ১৪তম দিনে মলদ্বীপের পার্লামেন্টে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১ ঘণ্টা সময় পাবেন মুইজ্জু। এরপর ভোট হবে। যদি ৫৪ জন সাংসদ ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন তাহলে মুইজ্জুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।

Maldives: ‘মলদ্বীপের জন্য ক্ষতিকর’, সরকারের ভারত-বিরোধী অবস্থানকে দুষল দুই প্রধান বিরোধী দল

মুইজ্জু সরকারের ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল মলদ্বীপের দুই প্রধান বিরোধী দল। চিনের প্রতি অত্যধিক নির্ভরশীলতায় উদ্বিগ্ন তারা। নয়াদিল্লিকে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মন্তব্য, ‘মলদ্বীপের ক্ষতি হচ্ছে’। মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং দ্য ডেমোক্র্যাট’দের দাবি, উন্নয়ন সহযোগীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মিত্রের বিরুদ্ধাচারণ মলদ্বীপের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’।

বর্তমান সরকারের বিদেশনীতির বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। তাদের কথায়, ‘দেশের জনগণের সুবিধার কথা সবার আগে ভাবা উচিত সরকারের। সঙ্গে মলদ্বীপের উন্নয়নে যে সব দেশ এগিয়ে এসেছে তাদের প্রত্যেককে নিয়ে চলা উচিত’। ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চিন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই বিষয়ও উঠে এসেছে, ‘ভারত মহাসাগরের স্থিতি ও নিরাপত্তা মলদ্বীপের স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক’।

আরও পড়ুন: আরও পারদপতন! ঠান্ডায় কাঁপছে বাংলার জেলা, হাড়হিম শীত কি গোটা মাসই? জানা গেল আবহাওয়ার বড় খবর

যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন মন্ত্রী ফৈয়জ ইসমাইল, সংসদের ডেপুটি স্পিকার এমপি আহমেদ সেলিম, ডেমোক্র্যাট পার্টির সভাপতি এমপি হাসান লতিফ এবং সংসদীয় গ্রুপের নেতা এমপি আলি আজিম। দুই দলই একাধিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি নেন। বিদেশনীতি এবং সরকারি কাজে স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৮৭ সদস্যের সংসদে দুই দলের মোট সাংসদ সংখ্যা ৫৫।

সাংবাদিক সম্মেলনের পর দুই প্রধান বিরোধী দল যৌথ বিবৃতিও জারি করে। তাতে দেশের আর্থিক অবস্থা এবং সরকার স্বাক্ষরিত মউ এবং চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব-সহ অন্যান্য বিষয়ে মুইজ্জু সরকারকে আক্রমণ করেন তাঁরা। বিদেশনীতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যদিও বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। তবে বলে রাখা ভাল, গবেষণা ও জরিপের জন্য মলদ্বীপে চিনা জাহাজের নোঙর করার খবর সামনে আসার পর দুই প্রধান বিরোধী দলই প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু মুইজ্জু সরকারের কট্টর ভারত বিরোধী অবস্থানে পরিস্থিতি বদলে যায়।

Maldives: মলদ্বীপের ভারত ‘বিরোধী’ মনোভাব! মাসুল দিতে গিয়ে মৃত্যু ১৩ বছরের কিশোরের, তুমুল বিতর্ক

মলদ্বীপ: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝেই ফের খবরে মলদ্বীপ। মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার মলদ্বীপ সরকারের ‘একগুঁয়ে’ মনোভাবের জেরেই কার্যত বিনা চিকিত্‍সায় মৃত‍্যু হল এক কিশোর।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৩ বছরের এক কিশোরেরর মৃত‍্যু কারণ সঠিক সময়ে চিকিত্‍সার অভাব। মলদ্বীপের ভিলিঙ্গিলি দ্বীপের বাসিন্দা ওই কিশোরের মস্তিস্কে টিউমার হয়েছিল। শনিবার স্ট্রোকও হয়। কিশোরের স্বাস্থ‍্যের অবস্থার কথা বিবেচনা করে চিকিত্‍সকরা তাকে মলদ্বিপের রাজধানী মালেতে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‍সার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড, আগুন ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ধোঁয়া ওঠা কফি! দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও

চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী, কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আবেদন জানানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। ভারতের দেওয়া একটি বিমানে ওই কিশোরকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের দেওয়া হেলিকপ্টার ব‍্যবহারে অনীহা প্রকাশ করে মলদ্বীপ সরকার। পরে অসুস্থ ছাত্রকে মালে চিকিত্‍সা জন‍্য নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

সংবাদমাধ‍্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার ১৩ বছরের ওই ছাত্রের মৃত‍্যু হয়। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃত‍্যুর সঠিক কারণ হিসেবে কিছু জানানো যায়নি। তবে, ছাত্রের পরিবারের দাবি চিকিত্‍সায় দেরী হওয়াতেই মৃত‍্যু হয় ছাত্রের। মলদ্বীপ কর্তৃপক্ষ যদিও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত করতে দেরি হওয়ার এই কারণ স্বীকার করেনি।

Maldives: ‘১৫ মার্চের মধ্যে সরাতে হবে ভারতীয় সেনাকে,’ ‘ডেডলাইন’ মলদ্বীপের

মালে: মলদ্বীপের বিশেষ দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক এলাকায় আকাশপথে সুরক্ষার ব্যবস্থা করে ভারতীয় সেনা। এবার সরাসরি সেই সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানালেন মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। গত কয়েকদিন ধরে চলা চাপা-কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যেই মুইজ্জু ভারতকে সময় দিয়েছেন ১৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত। তারই মধ্যে সেদেশ থেকে সরিয়ে আনতে হবে সামরিক কর্মীদের। চিনের হাই-প্রোফাইল রাষ্ট্রীয় সফর সেরে দেশে ফেরার পরই মুইজ্জুর সুর কড়া হয়েছে।

তথ্য বলছে সে দেশে মোট ৮৮ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন। মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির তরফে পাবলিক পলিসি সেক্রেটারি, আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম সংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় সামরিক কর্মীরা মলদ্বীপে থাকতে পারবে না। এটি রাষ্ট্রপতি ড. মহম্মদ মুইজ্জুর এবং এই প্রশাসনের নীতি।’

এরপরেই আলোচনার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের দল গত রবিবার সকালে মালে-তে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সদর দফতরে প্রথম বৈঠক করে। বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ারও উপস্থিত ছিলেন। নাজিম ইব্রাহিনম জানিয়েছেন, সেখানেই ১৫ মার্চ দিনটি স্থির হয়েছে।

এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উভয় পক্ষই চলমান উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং অংশীদারিত্ব বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত করে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।

জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই পথ খুঁজছে যাতে মলদ্বীপের জনগণকে মানবিক নানা পরিষেবা এবং ‘মেডভ্যাক’ পরিষেবা প্রদানকারী ভারতীয় বিমান চলাচল অব্যাহত রাখা যায়। এজন্য ভারতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করার চেষ্টাও চলছে।

মুইজ্জু প্রথম থেকেই চিনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, মলদ্বীপের জনগণই তাঁকে এই ‘কড়া আদেশ’ দিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুইজ্জু সরকারের তিন প্রতিমন্ত্রীর পোস্ট করা অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দু’দেশের দ্বন্দ্ব উসকেছে। তারপরই ভারতীয় সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়।  যদিও প্রাথমিক ভাবে মুইজ্জু সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্টের জন্য তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে। তারপর ভারতে শুরু হয় মলদ্বীপ বয়কটের আহ্বান।

আরও পড়ুন, অনুপম হাজরা রাজনীতি ছাড়ছেন…? ২২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের লাইভে ‘বিস্ফোরক’ বিজেপি নেতা

আরও পড়ুন, শ্রীনিধিকে ২-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বিতেই ফয়সালা হবে সুপার কাপের সেমিতে কোন দল

মলদ্বীপে পর্যটক হিসেবে সব থেকে বেশি যান ভারতীয়রা। তারপর রাশিয়ান, তৃতীয় স্থানে চিনারা। সম্প্রতি চিন সফর সেরে দেশে ফিরে শনিবারই মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘আমরা ছোট হতে পারি, কিন্তু আমাদের ধমক দেওয়ার অনুমতি নেই কারও।’ খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ, ভোগ্যপণ্য, নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত-নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনাও করছেন মুইজ্জু।

মুইজ্জুর দাবি, তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন, মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও বাহ্যিক প্রভাব পড়তে দেবেন না। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের স্বাক্ষরিত ১০০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করে দেখছে মালে।

Maldives: ‘ছোট দেশ বলে ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারোর নেই,’ তোপ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

মালে: চিন সফর সেরে দেশে ফিরেই ফের সুর চড়ালেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। বর্তমানে ভারত এবং মলদ্বীপের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এরই মধ্যে ভারত এবং মলদ্বীপের মধ্যে তিক্ততা যে এখনও কমেনি তা এদিন ফের আন্দাজ করা গেল, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের নয়া বয়ানে।

চিন সফর সেরে মলদ্বীপে ফিরেই মহম্মদ মুইজ্জু বলেন, ‘আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু এটা তাদের আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স দেয় না।’ চিনে পাঁচ দিনের সফর শেষ করে মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে শনিবার মালেতে কড়া ভাষায় বিবৃতি দেন মইজ্জু।

চিনে পাঁচ দিনের সফর শেষ করে দেশে ফিরে শনিবার মালেতে গণমাধ্যমের কাছে তার কড়া ভাষায় বক্তব্যে মুইজু বলেন। তিনি বলেন, “ভারত মহাসাগর কোনও নির্দিষ্ট দেশের অংশ নয়। যদিও আমাদের এই সাগরে ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, আমাদের রয়েছে ৯,০০,০০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল। আমরা কারোর এলাকার মধ্যে নেই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।”

আরও পড়ুন, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে কে? মমতা, অখিলেশদের অনুপস্থিতিতেই হয়ে গেল সিদ্ধান্ত

আরও পড়ুন, নবান্ন-রাজভবন সংঘাতের নতুন মোড়! রাজ্যপালকে কড়া চিঠি রাজ্যের…

চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক নিয়ে মইজ্জু বলেন, মলদ্বীপের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চিন তার প্রভাব বিস্তার করবে না। কোভিডের আগে চিন ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। আমার অনুরোধ হল আমরা চিনকে এই অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার প্রচেষ্টা জোরদার করব। সম্প্রতি মলদ্বীপ বয়কট ট্রেন্ডের জেরে প্রচুর ভারতীয় মলদ্বীপে যাচ্ছেন না কিংবা বুকিং বাতিল করেছেন। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় চিনা সরকারের কাছে মলদ্বীপে পর্যটক বেশি পাঠানোর জন্য আবেদন করেছেন মইজ্জু।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপের ছবিকে ঘিরে অবমানকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। তার জেরে শোরগোল পড়ে যায়। কড়া ভাষায় বিবৃতি দেয় ভারত। শেষ পর্যন্ত ওই তিন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয় মলদ্বীপ সরকার। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। সোশ্যাল মিডিয়া মলদ্বীপকে বয়কট করার আহবান দেওয়া হয়েছে। তার বদলে লাক্ষাদ্বীপকে বেছে নিতে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশে ফিরে বকলমে ভারত বিরোধীতা অবস্থানই ধরে রাখলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের মহম্মদ মুইজ্জু একসময়ে ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি চালিয়েছিলেন।

মলদ্বীপ বিতর্কে আদর পুনাওয়ালা; ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন করলেন, জানেন এটা কোথায়?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর হঠাৎই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মলদ্বীপের কিছু নেতা-মন্ত্রী ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। আর তারপরেই ক্ষোভে ফুটছে গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বলিউড তারকা— সকলেই এক বাক্যে প্রধানমন্ত্রী ও লাক্ষাদ্বীপের প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর হঠাৎই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মলদ্বীপের কিছু নেতা-মন্ত্রী ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। আর তারপরেই ক্ষোভে ফুটছে গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বলিউড তারকা— সকলেই এক বাক্যে প্রধানমন্ত্রী ও লাক্ষাদ্বীপের প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
দেশের সুপরিচিত ভ্যাকসিন নির্মাতা আদর পুনাওয়ালাও এই বিতর্কে নাম জড়িয়ে ফেললেন। আদর পুনাওয়ালা Serum Institute of India-র সিইও। এই সংস্থার পক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্যুইট করে আদর বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে যেগুলি এখনও খুঁজে বের করা বাকি।’
দেশের সুপরিচিত ভ্যাকসিন নির্মাতা আদর পুনাওয়ালাও এই বিতর্কে নাম জড়িয়ে ফেললেন। আদর পুনাওয়ালা Serum Institute of India-র সিইও। এই সংস্থার পক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্যুইট করে আদর বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে যেগুলি এখনও খুঁজে বের করা বাকি।’
এরই পাশাপাশি তিনি দু’টি ছবিও শেয়ার করেছেন। সরাসরি ফলোয়ারদের প্রশ্ন করেছেন, ‘কেউ কি বলতে পারবেন এটি কোন পর্যটন স্থল?’ পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও।
এরই পাশাপাশি তিনি দু’টি ছবিও শেয়ার করেছেন। সরাসরি ফলোয়ারদের প্রশ্ন করেছেন, ‘কেউ কি বলতে পারবেন এটি কোন পর্যটন স্থল?’ পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও।
খরচ করে মলদ্বীপ কেন?- Edelweiss মিউচুয়াল ফান্ডের এমডি এবং সিইও রাধিকা গুপ্তাও এই একই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভারতীয় পর্যটনের সম্ভাবনা দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ। বুঝতে পারছি না কেন আমরা এত টাকা খরচ করে মলদ্বীপে যাই, আমাদের লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামান রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফর এই পর্যটন কেন্দ্রকে পাদপ্রদীপের তলায় এনেছে। আমাদের হোটেল ব্র্যান্ডগুলি সর্বদা দেখিয়েছে যে আমাদের চেয়ে ভাল বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা আর কেউ দিতে পারে না। সেখানে বিশ্বমানের পর্যটন তৈরি করতে আমাদের অবশ্যই ভারতীয় আতিথেয়তার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’
খরচ করে মলদ্বীপ কেন?- Edelweiss মিউচুয়াল ফান্ডের এমডি এবং সিইও রাধিকা গুপ্তাও এই একই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভারতীয় পর্যটনের সম্ভাবনা দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ। বুঝতে পারছি না কেন আমরা এত টাকা খরচ করে মলদ্বীপে যাই, আমাদের লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামান রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফর এই পর্যটন কেন্দ্রকে পাদপ্রদীপের তলায় এনেছে। আমাদের হোটেল ব্র্যান্ডগুলি সর্বদা দেখিয়েছে যে আমাদের চেয়ে ভাল বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা আর কেউ দিতে পারে না। সেখানে বিশ্বমানের পর্যটন তৈরি করতে আমাদের অবশ্যই ভারতীয় আতিথেয়তার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’
তবে শুধু ‘রি-অ্যাকশন’ নয়। রীতিমতো ‘অ্যাকশন’-ও শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্যুরিস্ট প্যাকেজ প্রদানকারী সংস্থা Easemytrip মলদ্বীপের জন্য বুকিং বন্ধ করেছে৷ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিশান্ত পিট্টি বলেছেন, ‘জাতির পাশে দাঁড়িয়ে, Easemytrip মলদ্বীপের জন্য সমস্ত ফ্লাইট বুকিং বাতিল করেছে।’ বদলে ওই সংস্থা লাক্ষাদ্বীপের জন্য নতুন প্যাকেজ নিয়ে এসেছে।
তবে শুধু ‘রি-অ্যাকশন’ নয়। রীতিমতো ‘অ্যাকশন’-ও শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্যুরিস্ট প্যাকেজ প্রদানকারী সংস্থা Easemytrip মলদ্বীপের জন্য বুকিং বন্ধ করেছে৷ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিশান্ত পিট্টি বলেছেন, ‘জাতির পাশে দাঁড়িয়ে, Easemytrip মলদ্বীপের জন্য সমস্ত ফ্লাইট বুকিং বাতিল করেছে।’ বদলে ওই সংস্থা লাক্ষাদ্বীপের জন্য নতুন প্যাকেজ নিয়ে এসেছে।

Maldives-China: আরও বেশি করে পর্যটক পাঠান, ভারতীয়রা বুকিং বাতিল করতেই চিনের কাছে আর্জি মলদ্বীপের

তিনি না কি চিনপন্থী। অতীতে এমন দাবি উঠেছে বার বার। এবার ফের চিনের দ্বারস্থ মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। ব্যাপারটা কী? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয়দের অশালীন আক্রমণ করেছেন মলদ্বীপ সরকারের ৩ মন্ত্রী। এরপরই দ্বীপরাষ্ট্রের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেন হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক। এই পরিস্থিতিতে চিনকে পর্যটক পাঠানোর আর্জি জানালেন মুইজ্জু।

পাঁচ দিনের চিন সফরে গিয়েছেন মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশে বিজনেস ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে চিনকে মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুইজ্জু বলেন, ‘চিন মলদ্বীপের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং উন্নয়নের সহযোগী’। ভাষণে জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মুইজ্জু। তাঁর কথায়, ‘এই প্রকল্পই মলদ্বীপের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি করেছে’।

এরপরই মুইজ্জু চিনকে মলদ্বীপে আরও বেশি পর্যটক পাঠানোর আর্জি জানান। তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা রিডআউট অনুযায়ী মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোভিডের আগে মলদ্বীপে সবচেয়ে বেশি আসতেন চিনা পর্যটকরাই। আমার অনুরোধ, চিন যেন আমাদের দেশে আরও বেশি করে পর্যটক পাঠায়’। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপে চিনের সঙ্গে জোট বেঁধে পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মুইজ্জু।

মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ‘আরও বেশি চিনা পর্যটক পাঠানোর আর্জি’কে কূটনীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। নতুন বছরের শুরুতে লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি পোস্ট করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভারতের দ্বীপগুলিতে ঘুরতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মলদ্বীপ মনে করে, ভারত তাদের পর্যটনের সঙ্গে টক্কর নিতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে অশালীন আক্রমণ করে বসেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। সেই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। বিপদ বুঝে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মলদ্বীপ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ট্রেন্ড শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাখ লাখ পর্যটক মলদ্বীপের বুকিং বাতিল করেন। এসবের মধ্যেই চিনের কাছে ‘আরও বেশি’ পর্যটক পাঠানোর আর্জি জানালেন মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।

২০২৩ সালে মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপরাষ্ট্রে সর্বাধিক পর্যটক গিয়েছে ভারত থেকে। সংখ্যাটা ২০৯,১৯৮। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। পর্যটক সংখ্যা ২০৯,১৪৬। ১৮৭,১১৮ পর্যটক নিয়ে তৃতীয় স্থানে চিন। তবে কোভিডের আগে প্রতি বছর প্রায় ২.৮০ লক্ষ চিনা পর্যটক ভিড় জমাতেন মলদ্বীপে। কিন্তু চার বছরের লকডাউন এবং আর্থিক মন্দার কারণে ধুঁকছে জিনপিংয়ের দেশ। দেশীয় পর্যটনকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে তারা। এই পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর আর্জি কতটা কাজে দেবে তা সময়ই বলবে।

Bollywood Couple Honeymoon in Maldives: মুখেই মলদ্বীপ না যাওয়ার কথা! বলিউড তারকারা হানিমুন কাটিয়েছেন বিদেশি এই দ্বীপেই, জানুন কে কে সেই তালিকায়

বলিউড তারকাদের পছন্দের সেরা হলিডে ডেস্টিনেশনের মধ্যে অন্যতম মলদ্বীপ৷ প্রায়সই তাঁরা ছুটি কাটাতে সপরিবারে চলে যান বিদেশি এই দ্বীপে৷ কখনও সমুদ্রে সাঁতারের ছবি তো কখনও সমুদ্র সৈকতে অলস সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করেন তাঁরা৷ যা দেখে ভক্তরাও বাহবা দেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়৷
বলিউড তারকাদের পছন্দের সেরা হলিডে ডেস্টিনেশনের মধ্যে অন্যতম মলদ্বীপ৷ প্রায়সই তাঁরা ছুটি কাটাতে সপরিবারে চলে যান বিদেশি এই দ্বীপে৷ কখনও সমুদ্রে সাঁতারের ছবি তো কখনও সমুদ্র সৈকতে অলস সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করেন তাঁরা৷ যা দেখে ভক্তরাও বাহবা দেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়৷
গত দু’দিন ধরে শুরু হয়েছে মলদ্বীপ-ভারত দ্বৈরথ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী৷ পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের৷ তারপরই মলদ্বীপের মুইজ্জু সরকারের সিনিয়র ৩ মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে থাকেন৷ ভারতের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তাঁরা৷ যদিও তাঁদের বরখাস্ত করা হয়৷ কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চির ধরে মলদ্বীপের৷
গত দু’দিন ধরে শুরু হয়েছে মলদ্বীপ-ভারত দ্বৈরথ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী৷ পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের৷ তারপরই মলদ্বীপের মুইজ্জু সরকারের সিনিয়র ৩ মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে থাকেন৷ ভারতের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তাঁরা৷ যদিও তাঁদের বরখাস্ত করা হয়৷ কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চির ধরে মলদ্বীপের৷
এরপর থেকেই বিদেশি দ্বীপ নয়, ভারতের অংশ লাক্ষাদ্বীপকেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে রাখছেন বহু বলিউড নায়ক-নায়িকারা৷  লাক্ষাদ্বীপের প্রচারেও নেমেছেন তাঁরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার প্রচার করছেন অনেকেই৷
এরপর থেকেই বিদেশি দ্বীপ নয়, ভারতের অংশ লাক্ষাদ্বীপকেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে রাখছেন বহু বলিউড নায়ক-নায়িকারা৷লাক্ষাদ্বীপের প্রচারেও নেমেছেন তাঁরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার প্রচার করছেন অনেকেই৷
তবে মজার বিষয় হল, এরাই কখনও না কখনও মলদ্বীপে ঘুরে এসেছে৷ এবং খতিয়ে দেখা গেলে জানা যাবে যে লাক্ষাদ্বীপে কোনও সময় পা-ই রাখেননি!
তবে মজার বিষয় হল, এরাই কখনও না কখনও মলদ্বীপে ঘুরে এসেছে৷ এবং খতিয়ে দেখা গেলে জানা যাবে যে লাক্ষাদ্বীপে কোনও সময় পা-ই রাখেননি!
কোন কোন তারকা তাঁদের হানিমুন কাটিয়েছেন মলদ্বীপে? প্রথমেই আসবে ক্যাটরিনা কাইফ-ভিকি কৌশলের কথা৷ বিপাশা বসু-করণ সিং গ্রোভারও তাঁদের হানিমুনে গিয়েছিলেন সেখানেই৷
কোন কোন তারকা তাঁদের হানিমুন কাটিয়েছেন মলদ্বীপে? প্রথমেই আসবে ক্যাটরিনা কাইফ-ভিকি কৌশলের কথা৷ বিপাশা বসু-করণ সিং গ্রোভারও তাঁদের হানিমুনে গিয়েছিলেন সেখানেই৷এমনকী বিপাশা বসু এখনও সেখানেই রয়েছেন তাঁর জন্মদিন পালন করতে৷ 
এরপরই আসবে নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদীর নাম৷
এরপরই আসবে নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদীর নাম৷তাঁরাও মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন মলদ্বীপে৷
এই তালিকায় করেছেন অনিল কন্যা রিয়া কাপুরও৷ রয়েছেন দিয়া মির্জা
এই তালিকায় করেছেন অনিল কন্যা রিয়া কাপুরও৷ রয়েছেন দিয়া মির্জা
সেখানে গিয়েছিলেন প্রিন্স নরুলা, রাহুল বৈদ্য৷
সেখানে গিয়েছিলেন প্রিন্স নরুলা, রাহুল বৈদ্য৷
তবে আপাতত অন্য কোথাও গেলেও মলদ্বীপে দেখা যাবে না ভারতীয় তারকাদের৷
তবে আপাতত অন্য কোথাও গেলেও মলদ্বীপে দেখা যাবে না ভারতীয় তারকাদের৷