হুগলি: যাঁর নামে পালন হয় চিকিৎসক দিবস তাঁরই ছবি বদল মান পত্রে। চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকদের মানপত্র দিয়েছিল বৈদ্যবাটি পুরসভা সম্মান জ্ঞাপনের জন্য। কিন্তু তাতেই ঘটল বিপত্তি! চিকিৎসক বিধান রায়ের ছবির বদলে সেখানে বসেছে ডক্টর বি আর আম্বেদকরের ছবি ! আর এতেই শোরগোল শুরু হয়েছে হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভা এলাকায়। যদিও পুরসভার দাবি প্রিন্টিং মিসটেক!
চিকিৎসক দিবসে সম্মান জানিয়েছিল বৈদ্যবাটি পুরসভা,ফ্রেমে বাঁধানো মান পত্রে বিধান চন্দ্র রায়ের ছবির বদলে বি আর আম্বেদকরের ছবি দেওয়ায় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও দারুণ প্রতিবাদ। বৈদ্যবাটি পুরসভা গত ১ লা জুলাই চিকিৎসক দিবস পালন করে। সেদিন শহরের চিকিৎসকদের বাড়িতে গিয়ে সম্মান জানানো হয় পুরসভার পক্ষ থেকে।কাউন্সিলররা চিকিৎসকদের হাতে সেই সম্মান তুলে দিয়ে ছবিও তোলেন। ফ্রেমে বাঁধানো মানপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা বার্তার পাশে বি আর আম্বেদকরের ছবির নীচে চিকিৎসকদের সিম্বল।
বিষয়টি নজরে আসতেই ফেসবুকে প্রতিবাদ জানান চিকিৎসক দীপ্তেন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চিকিৎসক দিবস সারা দেশেই পালিত হয়। বৈদ্যবাটি পুরসভাও পালন করেছে ভালকথা। কিন্তু চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে গিয়ে মস্তবড় ভুল করেছে তারা। অথবা কে বিধান রায় আর কে আম্বেদকর তা চিনতে পারেনি। আম্বেদকর হলেন সংবিধান প্রণেতা আর বিধান রায় পশ্চিমবঙ্গের রূপকার কিংবদন্তি একজন চিকিৎসক ছিলেন। তার জন্মদিনেই সম্মান আর তার ছবিই নেই।
এতজন কাউন্সিলর পুরসভার কর্মী চেয়ারম্যান কারোর নজরে পড়ল না? বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, আমরা প্রতিবছরই চিকিৎসকদের সম্মান জানায় ১লা জুলাই চিকিৎসক দিবসে। শহরের ১১০ জন চিকিৎসককে এবার সম্মান দেওয়া হয়।একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই মানপত্র করার জন্য সে কলকাতা থেকে করিয়ে নিয়ে আসে।বিধানচন্দ্র রায়ের বদলে ছবি বসিয়ে দিয়েছে এটা প্রিন্টিং মিসটেক। কারোর নজরেই পড়েনি। যে চিকিৎসক ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে আমি ক্ষমা চেয়েছি । আরও কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।আমি বলেছি ছবি বদলে দেওয়া হবে।
রাহী হালদার