উত্তর ২৪ পরগণা: চাল পোড়া খাওয়ানোর ভয় দেখাতেই অভিযুক্ত স্বীকার করে নিল নিজের দোষের কথা। আর তার সেই দোষের কথা স্বীকার করতেই রীতিমতো মাথায় হাত পাড়াপড়শি সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। দোষী নিজেই স্বীকার করলেন শিশু হত্যার ঘটনার কথা। আর এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল হাবরার বয়রাগাছি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বছর তিনেকের শিশুটির জন্মের পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে একরত্তি শিশুটির দায়িত্ব নেয় তার পিসির পরিবার৷ বাড়ির পাশেই পিসি- পিসেমশাই এবং তার ছেলে রঞ্জিত সরদারের সঙ্গে থাকতে শুরু করে শিশুটি৷
এদিন শিশুটিকে চা বিস্কুট খাইয়ে রঞ্জিত সহ পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজে যায়। সেই সময় শিশুটির সঙ্গে বাড়িতে ছিল রঞ্জিতের স্ত্রী৷ কয়েক মাস আগেই তাদের বিয়ে হয়৷ হঠাৎ ওই গৃহবধূ সবাইকে জানায়, পড়ে গিয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দারা তাকে দ্রুত হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গ্রামে যেতে নারাজ, সরকারি চাকরি পেয়েও নিলেন না বহু হবু শিক্ষক
চিকিৎসকরা তখনই সন্দেহ করেন, শিশুটি কোনও ভাবে বিষ খেয়েছে। সে কথা শুনেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের৷ শিশুর সঙ্গে তখন বাড়িতে থাকা গৃহবধূকে চেপে ধরেন পরিবারের সদস্য এবং পাড়া প্রতিবেশীরা। প্রথমে ওই অভিযুক্ত কিছু স্বীকার করতে চায়নি৷ তখনই এলাকার এক ব্যক্তি সত্যি কথা বের করার জন্য কিছুটা চাল নিয়ে এসে ওই তরুণীকে ভয় দেখায়৷ বলা হয়, শিশুকে খুন করেছে যে এই চাল খেলে সে রক্ত বমি হয়ে মারা যাবে৷ তখনই ঘাবড়ে গিয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় ওই তরুণী৷ সে জানায়, দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে সে নিজেই শিশুটিকে খুন করেছে৷
কিন্তু কেন এতটা নৃশংস হল ওই তরুণী? ওই গৃহবধূ জানায়, তার থেকেও শিশুটিকে বাড়ির সদস্যরা বেশি ভালবাসতেন। তাই এই বিষয়টিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না বছর ওই গৃহবধূ। ঘটনার কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান প্রতিবেশী থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। খবর দেওয়া হয় হাবরা থানায়। আর তারপরেই পুলিশ এসে অভিযুক্ত ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
Rudra Nrayan Roy