Tag Archives: One nation one election

One nation one election: কোন বছর থেকে একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভার ভোট চায় মোদি সরকার? জানুন এক দেশ, এক ভোটের খুঁটিনাটি

নয়াদিল্লি: বুধবরাই এক দেশ, এক ভোটের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ এর পর বিল আকারে এই প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে৷ কিন্তু কীভাবে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার?

এক দেশ, এক ভোটের পরিকল্পনা কার্যকর করতে এবার একটি কমিটি গঠন করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি যে সুপারিশগুলি করেছে, সেগুলিকেই কার্যকর করার দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির উপরে৷

আরও পড়ুন: গন্তব্য ছিল অমৃতসর, ভুল পথে চলে গেল কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন! আধ ঘণ্টা পর হুঁশ ফিরল চালকের

রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, এক দেশ, এক ভোটের নীতি কার্যকর হলে দু ভাগে ভোট হবে৷ প্রথম দফায় একসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে৷ তার একশো দিনের মধ্যে স্থানীয় স্তরে পুরসভা, পঞ্চায়েতের মতো ভোটগুলি করানোর কথা বলা হয়েছে৷

সুপারিশে আর কী কী রয়েছে?

এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা চালু হলে একটিই ভোটার লিস্ট তৈরি করা হবে৷ তারই ভিত্তিতে লোকসভা, বিধানসভা এবং স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে ভোট দেবেন ভোটাররা৷

এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা চালু করতে গোটা দেশ থেকেই মতামত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, বহু দলই এক দেশ, এক ভোটের ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে এ বিষয়ে সরকার সবদলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই এ বিষয়ে এগোতে চায়৷ এ বিষয়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করা হবে৷

কোবিন্দ কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, সংসদ শুরু হওয়ার পর একটি দিন নির্দিষ্ট করে এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ ওই দিনের পর বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে যে সরকারই গঠন হোক না কেন, তাদের মেয়াদ হবে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত৷

এর ফলে ২০২৪ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে যে রাজ্য সরকারগুলিই তৈরি হবে, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেই সরকারের মেয়াদ থাকবে৷ কারণ প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৯ সালে একসঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করানো হবে৷

এর অর্থ, ২০২৫ সালে কোনও রাজ্যের সরকার গঠন হলে তারা চার বছরই ক্ষমতায় থাকতে পারবে৷ যদিও বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণ মেয়াদই শেষ করতে পারবে৷ কারণ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন ২০২৯ সালেই৷

সংবিধানে কী কী বদল?

কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা চালু করতে গেলে সংবিধানের ১৮টি সংশোধনী প্রয়োজন৷ সংবিধান সংশোধন করে দুটি নতুন আইনও আনতে হবে৷

লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি সংশোধনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো স্থানীয় স্তরের ভোটগুলির ব্যবস্থায় আইনি সংশোধন করতে হবে রাজ্য বিধানসভাগুলিকে৷

লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এক দেশ, এক ভোট সংক্রান্ত বিল পাস এবং সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷

পাশাপাশি এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের মত জানাবে আইন কমিশনও৷ সূত্রের খবর, আইন কমিশনও ২০২৯ সাল থেকেই এক দেশ, এক ভোট ব্যবস্থা চালুর পক্ষে৷ ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার গঠনের প্রস্তাবও দিতে পারে তারা৷

One Nation, One Election: কেন্দ্রের ছাড়পত্র ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন’-এ মোদির গ্রিন সিগন্যালের পর এবার সংসদে পেশ হবে শীতকালীন অধিবেশনে

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা বুধবার ‘One Nation, One election’ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে৷  যার লক্ষ্য লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচনগুলিকে একক তফসিলের সঙ্গে সমন্বিত করা। সূত্রের খবর, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট’ বিল পেশ হতে পারে।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-স্তরের প্যানেল প্রস্তাবটি অনুমোদন করার পরে এই বিলটি নিয়ে কাজ হয়েছে। ‘এক রাষ্ট্র, এক নির্বাচন’ ধারণাটি সারা দেশে একযোগে নির্বাচন আয়োজন করা বোঝায়৷ যার অর্থ হল, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন – Phul Sojja: ফুলশয্যার রাত শেষ হতেই ভাঙল সব মোহ, শাশুড়ি জানালেন তাঁর ছেলের ‘এই’ গুণের কথা, শুনেই বউ অজ্ঞান

‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট’ ধারণাটি প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল ১৯৮০-র দশকে। বিচারপতি বিপি জীবন রেড্ডি-র নেতৃত্বাধীন আইন কমিশন ১৯৯৯ সালের মে মাসে তাঁর ১৭০ তম প্রতিবেদনে বলেছিল যে “আমাদের অবশ্যই সেই পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে হবে যেখানে লোকসভা এবং সমস্ত বিধানসভার ভোট একবারে অনুষ্ঠিত হয়”।

One nation one election: এক দেশ, এক ভোটের প্রস্তাবে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, শীতকালীন অধিবেশনেই বিল পেশ?

নয়াদিল্লি এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর জন্য তৎপর মোদি সরকার৷ সূত্রের খবর, প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার৷

এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল৷ সেই কমিটি ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্টও জমা দিয়েছে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি৷

গত মাসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েও এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ঘন ঘন নির্বাচনের কারণে দেশে অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির আরও একটি সস্তার চমক৷ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে কেন হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচন করানো হল না? কারণ জুন মাসে মহারাষ্ট্রে চালু হওয়া লড়কি বহিন প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা অগাস্ট মাসে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে৷ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে অক্টোবর মাসে৷ তিনটি রাজ্যের নির্বাচন যাঁরা একসঙ্গে করাতে পারেন না তাঁরা আবার এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা বলছেন৷ একই সঙ্গে জানানো হোক, এর জন্য সংবিধানের কতগুলি সংশোধন করতে হবে এবং কতগুলি বিধানসভার মেয়াদ কমাতে অথবা বাড়াতে হবে? মোদি-শাহের জুমলার আদর্শ উদাহরণ৷’

One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’কে কত মানুষ সমর্থন করেন? কমিটির রিপোর্টে চমকে উঠবেন

নয়াদিল্লি: ‘এক দেশ এক ভোট’ বা ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’-এর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে জমা পড়েছে ২১৫৫৮ জন মানুষের প্রতিক্রিয়া। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ বা ১৭৩৪২ জন মানুষ ভারতে একযোগে ভোট করার ধারণাকে সমর্থন করেছেন। তবে ৪২১৬ জন এই ধারণার বিরোধিতা করেছেন।

মূলত ইমেল, ওয়েবসাইট এবং পোস্টের মাধ্যমে মানুষের প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে। একযোগে ভোট করার অর্থ হল, একই সময়ে লোকসভা, বিধানসভা, নগর ও গ্রামীণ স্থানীয় সংস্থাগুলির ভোট নির্বাহ করা। বর্তমানে মেয়াদ শেষ হলে তবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বিশাল বড় রিপোর্ট জনসমক্ষে এনেছে ওই কমিটি। যেখানে একযোগে ভোট নির্বাহ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: হেরে গেল বেজিং, কোটিপতিদের সংখ্যায় এশিয়ার এক নম্বরে ভারতের এই শহর! বলুন তো, কোন শহর?

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন চ্যানেের মাধ্যমে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জনসাধারণের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল।
ওয়েবসাইটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫২৩২ জনের প্রক্রিয়া জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩৮৩৭ জন বা ৭৩ শতাংশ মানুষ এই ধারণাকে সমর্থন করেন। সেখানে ১৩৯৫ জন এর বিরোধিতা করেছিলেন। যা এক দেশ এক ভোটের জন্য যথেষ্ট সঙ্কেত দিচ্ছে।

এই প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ১৫৪টি পোস্টাল প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে কমিটির কাছে। এর মধ্যে ১০৯ জন এই ধারণাকে সমর্থন করেছেন এবং ৪৫ জন এর বিরোধিতা করেন। যা সক্রিয় সম্পৃক্ততা এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক মতামত প্রতিফলিত করে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, “রাজনৈতিক দলগুলি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বিশিষ্ট সংস্থাগুলি-সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কমিটির তরফে গভীর আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল। ভারতে একযোগে নির্বাচন সম্পন্ন করার সম্ভাব্যতা এবং প্রভাব সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি সংগ্রহ করার জন্যই মূলত এটা করা হয়েছিল।”

ওই রিপোর্টে আরও যোগ করা হয়েছে যে, “এই আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল, এই প্রস্তাবিত নির্বাচনী সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সুবিধাগুলির একটি ব্যাপক বোঝাপড়া নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞ আর বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা।”