উত্তর ২৪ পরগণা, ব্যবসা-বাণিজ্য New Business Idea: মুক্তো চাষে মিলছে সাফল্য, মহিলারা পাচ্ছেন মুঠো মুঠো টাকা! Gallery May 2, 2024 Bangla Digital Desk মীন ধরা ছেড়ে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে মুক্তো চাষে ঝুকছে সুন্দরবন এলাকার মহিলারা। মুক্তো চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখার মহিলারা। মুক্তো চাষের পুকুরে গিয়ে দেখা যায় পুকুরের জলে তিন ফুট পর-পর ভাসছে ফাঁকা প্লাস্টিকের বোতল। সেখানে জলের এক ফুট নিচে রয়েছে একটি করে বাঁশের জালি। সে সব জালির প্রতিটিতে রয়েছে ২-৩ টি করে জীবন্ত ঝিনুক। এভাবে তিনি ওই পুকুরে প্রায় কয়েক’শ ঝিনুক বিশেষ প্রক্রিয়ায় চাষ করা হচ্ছে। ঝিনুকের মধ্যে প্রতিটিতে কমপক্ষে দু’টি করে বিভিন্ন ডিজাইনে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এসব ঝিনুক থেকেই উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের মুক্তো। কোনও মুক্তোতে গণেশের আদল, কোনওটিতে স্বস্তিক চিহ্ন, আবার কোনওটিতে শিবলিঙ্গ! এমন ডিজাইনার মুক্তো দিয়ে তৈরি হচ্ছে অলঙ্কার। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হচ্ছে নকশাওয়ালা মুক্তো। পুকুরে ঝিনুক চাষ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঝিনুকের মধ্য এক ধরণের নিউক্লিয়াস প্রয়োগ করা হয় ও ঝিনুক থেকে এক ধরনের লালা বা রস ক্ষরণ হয়। তা জমাট বেঁধেই মুক্তো হয়। ঝিনুকটির মুখ ফাঁক করে তা পরিষ্কার করার পরে তার মধ্যে নকশার ছাঁচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেই নকশার উপরে রস জমাট বেঁধে নির্দিষ্ট আকার নেয়। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার মধ্যে বিভিন্ন নকশাওয়ালা মুক্তো তৈরি করা হচ্ছে। মিনাখাঁ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পুকুরে নকশাওয়লা মুক্তো চাষ করা হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকায় সাধারণত মহিলারা মীন ধরে সংসার নির্বাহ করেন। এর ফলে চর্মরোগসহ একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে মুক্তো চাষ বাড়ছে। এরফলে এলাকার মহিলারা দিন দিন মুক্তো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জ্যোতিষকাহন Astrology 2023: কাজ ভেস্তে যাচ্ছে? পড়াশোনায় গোল্লা? পরুন মুক্ত! বিশেষ ফল পাবেন কারা? জানুন Gallery November 28, 2023 Bangla Digital Desk সমুদ্রের গর্ভের ঝিনুকের বুকে মুক্তোর জন্ম। হিন্দু ধর্মে মুক্তোকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, মুক্তো এমন একটি রত্ন যা সরাসরি মানুষের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পণ্ডিত কপিল মহারাজ বলেন, ‘মুক্তো এমন একটি রত্ন, যা সমুদ্রের গভীর থেকে পাওয়া যায়। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, মুক্তো এমন একটি রত্ন যা সরাসরি মানুষের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পণ্ডিত কপিল মহারাজ বলেন, ‘মুক্তো এমন একটি রত্ন, যা সমুদ্রের গভীর থেকে পাওয়া যায়। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, যখন কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন মানসিক শান্তি ও স্থিতির সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয়। মুক্তো এমন একটি রত্ন যা মনকে শান্ত করে। জ্যোতিষী কপিল মহারাজ জানালেন কাদের মুক্তো পরা উচিত, মুক্তো ধারণের সঠিক পদ্ধতিই বা কী। চাঁদ যেমন সবসময় শীতল থাকে, তেমনি মুক্তো পরলে মনও শীতল থাকে। সোমবার একটি চন্দ্র দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। সোমবারে মুক্তো পরা উচিত। সোমবার দুধে বা গঙ্গার জলে মুক্তো ধুয়ে চন্দ্র জপ করতে হবে। চন্দ্রের মন্ত্র হল ‘ওম সোমে নমঃ’। সোমবার ডান হাতের অনামিকায় মুক্তোর আংটি পরতে হবে। বহু মানুষই অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তানরা পড়াশোনায় আগ্রহী নয়। অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করতে পারে না। শিশুদের চঞ্চল মনের কারণে এই সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে মুক্তো পরলে চঞ্চল মন শান্ত হয়। শিশুকে ডান হাতের তর্জনীতে মুক্তো পরিয়ে রাখলে তার মন শান্ত থাকবে এবং পড়াশোনায় ভাল মিলবে। রত্নশাস্ত্র অনুসারে, মেষ, কর্কট, বৃশ্চিক এবং মীন রাশির জাতক জাতিকারা মুক্তো পরতে পারেন। যাঁদের জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র দুর্বল, তাঁরা অবশ্যই জ্যোতিষীর পরামর্শে মুক্তো পরবেন।