হাওড়া: মরশুমি ফুলের রাজা পিটুনিয়া! এই রাজা ফুলকেই সঠিক চিনতে পারেন না অনেকে। শীতের শুরুতে ডালিয়া, চন্দমল্লিকা, গাঁদা বা প্যাঞ্জি’র মত নানা ফুলের গাছ বসানোর রেওয়াজ। এ সব শীতকালীন ফুলের সঙ্গে দারুণ ভাবে জনপ্রিয়তা রয়েছে পিটুনিয়া ফুলের। এই ফুলের চাহিদার মূল কারণ হল এর আকর্ষণীয় রঙ।
সাধারণত শীতের সিজন ফুলের মেয়াদ ৩-৪ মাস। কিন্তু এই পিটুনিয়া ফুল এক্ষেত্রে আলাদা। সিজন ফুলের তালিকায় নাম থাকলেও, শীত থেকে শুরু করে একটানা ৬-৮ মাস ফুল দিতে পারে এই গাছ।
শীতের সিজন ফুল গাছ লাগানোর সময় দেখা যায় সাধারণত এই গাছ লাগিয়ে ফুল পাওয়া যায় ডিসেম্বর মাস থেকে সম্পূর্ণ শীতকাল ভর। তবে বহু মানুষেরই অজানা, এই পিটুনিয়া গাছ সঠিক পরিচর্যা করলে শীতকাল শেষেও ফুল পাওয়া যেতে পারে এই গাছে।
আরও পড়ুন: ৫, ১০, ২০, ৫০…! প্রতিটা টাকার নোটে এই ‘ধাতব সুতো’ থাকে কেন জানেন? আসল না নকল? গোলকধাঁধায়!
তবে তার জন্য গাছের উপযুক্ত যত্নের প্রয়োজন। শীতকাল শেষে গরমের রেশ পড়লেই গাছের পাতার রঙ হলুদ হয়ে বা পচে নষ্ট হতে শুরু করে। এই সময় অধিকাংশ মানুষ পিটুনিয়া গাছ উপড়ে ফেলে দেন। কিন্তু এই সময় গাছের প্রতি একটু যত্নশীল হলেই, গাছটি নতুন পাতা এবং ফুলে ভরে যাবে।
এ প্রসঙ্গে নার্সারি মালিক উমা প্রসাদ বোস জানান, শীতকাল থেকে পিটুনিয়া গাছে একটানা বর্ষাকাল পর্যন্ত ফুল পেতে হলে এই গাছের গোড়া সবসময় আলগা রাখতে হবে। এক টানা দীর্ঘদিন এই গাছ থাকে, তাই গাছে জল দিলে যাতে সহজে মাটি ভেদ করে জল নীচে নেমে যায়। মাটি সেই রকম তৈরি করতে হবে।
এর জন্য মাটিতে পাতা সার ও গোবর সার দিয়ে আলগা রাখতে হবে মাটি। গরমের হাওয়া পড়লেই ফাঙ্গাসাইট বা কীটনাশক দিয়ে গাছ স্নান করান। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষা করতে। মাসে একবার করে স্প্রে করা প্রয়োজন। তাতে গাছ পচনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৫০% মাটি ৫০ % গোবর এবং ৩০ % পাতা সার। এছাড়াও দেওয়া যেতে পারে ফসফেট। নতুন করে পাতা এবং কুড়ি জন্মাবে। এই ভাবে পরিচর্যা করলে পিটুনিয়া গাছে ভরা গরম এমনকি বর্ষা কালেও ফুল দেখা যাবে। তবে কোনওভাবেই খোল দেওয়া যাবে না গাছে। খোল দিলে গাছের পাতা নষ্ট হয় সহজে।
রাকেশ মাইতি