Tag Archives: pithepuli

Pithe Recipe: এই পিঠেপুলির মরশুমে কোনও ঝামেলা ছাড়া বাড়িতে এই পিঠে বানান, স্বাদ ভুলতে পারবেন না! রইল চটজলদি রেসিপি

চুটকিতে বানিয়ে ফেলুন চাল গুঁড়োর পিঠে। পূর ছাড়া এই পিঠে আর খেঁজুরের গুড় এর জুড়ি নেই। (রিপোর্টার-- রাকেশ মাইতি)
চুটকিতে বানিয়ে ফেলুন চাল গুঁড়োর পিঠে। পূর ছাড়া এই পিঠে আর খেঁজুরের গুড় এর জুড়ি নেই। (রিপোর্টার– রাকেশ মাইতি)
পিঠেপুলি পাটিসাপটা ভাপা বা ভাজা পিঠের মতোই জনপ্রিয়তায় এই পিঠে। অন্যান্য পিঠের থেকে ঝামেলা কম এই পিঠে তৈরিতে।
পিঠেপুলি পাটিসাপটা ভাপা বা ভাজা পিঠের মতোই জনপ্রিয়তায় এই পিঠে। অন্যান্য পিঠের থেকে ঝামেলা কম এই পিঠে তৈরিতে।
চালের গুঁড়ো নারকেল এবং চিনি অথবা খেজুরের গুড় আর পরিমাণ মতো লবন।
চালের গুঁড়ো নারকেল এবং চিনি অথবা খেজুরের গুড় আর পরিমাণ মতো লবন।
চাল গুঁড়ো ৫০০ গ্রাম, একটা নারকেল, খেঁজুরের গুড় এক কাপ/ চিনি স্বাদ মত, পরিমাণ মতো নুন।
চাল গুঁড়ো ৫০০ গ্রাম, একটা নারকেল, খেঁজুরের গুড় এক কাপ/ চিনি স্বাদ মত, পরিমাণ মতো নুন।
ডো থেকে লুচির মতো গুছি কেটে দু হাতের আঙুলের মাঝে চাপ দিলেই পিঠে তৈরি।
ডো থেকে লুচির মতো গুছি কেটে দু হাতের আঙুলের মাঝে চাপ দিলেই পিঠে তৈরি।
পাত্রে ফুটন্ত জল তার ওপর ঝাঁঝরি বসিয়ে দিন। এবার ঝাঁঝরিতে পরিমাণ মতো পিঠে দিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলেই পিঠে তৈরি।
পাত্রে ফুটন্ত জল তার ওপর ঝাঁঝরি বসিয়ে দিন। এবার ঝাঁঝরিতে পরিমাণ মতো পিঠে দিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলেই পিঠে তৈরি।
খেঁজুরের গুড়ের সঙ্গে এই ভাপা পিঠে স্বাদে অতুলনীয়। ঘন করে দুধ তাতে কয়েকটা এলাচ ও খেঁজুরের গুড় দিয়ে কয়েক ঘন্টা ডুবিয়ে রাখলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়। (রিপোর্টার-- রাকেশ মাইতি)
খেঁজুরের গুড়ের সঙ্গে এই ভাপা পিঠে স্বাদে অতুলনীয়। ঘন করে দুধ তাতে কয়েকটা এলাচ ও খেঁজুরের গুড় দিয়ে কয়েক ঘন্টা ডুবিয়ে রাখলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়। (রিপোর্টার– রাকেশ মাইতি)

Pithe Recipe: বিউলি ডালে নারকেল, নলেন গুড়, কাজু, কিশমিশ…হাসিমুখে খান জঙ্গলমহলের হাঁড়িমুখ পিঠে

রঞ্জন চন্দ, ঝাড়গ্রাম: শীতকাল মানেই পিঠে পুলির সময়। নানা রকমেরপিঠের সম্ভার নিয়ে হাজির হন জঙ্গলমহলের মানুষ। সুবর্ণরৈখিক এলাকার মানুষজন বা জঙ্গলমহল এলাকার মানুষের কাছে প্রধান উৎসব পৌষ পার্বণ। তাই শীতের সময় থেকেই বাড়িতে বাড়িতে প্রতিদিনই লেগে থাকে পিঠে পুলির আয়োজন। হাঁড়িমুয়া পিঠে, আরসা পিঠে, মন্ডা পিঠে, পুর পিঠে ছাড়াও একাধিক পিঠে প্রায় প্রতিদিনই প্রত্যেক বাড়িতে তৈরি হয়। এভাবেই শীতের সময় এবং পিঠেপুলির পার্বণ বা পৌষ পার্বণ আনন্দের সঙ্গে পালন করেন জঙ্গলমহলবাসী। বাড়ির মহিলারাই তৈরি করেন এই পিঠে। তবে সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের প্রধান পিঠে হাঁড়িমুয়া। চালের গুঁড়ো, নলেন গুড়, কাজু, কিশমিশ-সহ একাধিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিশেষ পিঠে। খেতেও লাগে দুর্দান্ত।

ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় এই পিঠে। ঝাড়গ্রাম, রোহিনী, রগড়া জুনশোলা-সহ একাধিক গ্রামে বাড়িতে বাড়িতেই তৈরি হচ্ছে হাঁড়িমুয়া পিঠে। এছাড়াও তৈরি হচ্ছে একাধিক পিঠে। কীভাবে তৈরি হয় এই হাঁড়িমুয়া পিঠে, জানেন? প্রথমে ঘন্টা তিনেক বিউলির ডাল জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ভেজা বিউলিকে মিক্সার গ্রাইন্ডার বা শিলনোড়ায় ভালভাবে পেষাই করতে হয়। এরপর পিষে রাখা সেই বিউলিতে আদা, নারকেল কোরা, পরিমাণ মতো নলেন গুড় দিয়ে ভাল ভাবে মাখাতে হয়। এর পর একটি হাঁড়িতে সামান্য জল নিয়ে উনুনে বসিয়ে দিতে হয়। তার পর হাঁড়ির মুখে একটি কাপড় বেঁধে দিয়ে তার উপরে মাখানো এই বিউলিকে দিয়ে তার উপরে কাজু, কিশমিশ, চেরি এলাচ সহ একাধিক উপাদান দিয়ে বড় কিছু ঢাকনা চাপিয়ে দিতে হয়। জলের গরম ভাপে তৈরি হবে এই পিঠে।

দেখতে লাগে একদম কেকের মতো, স্বাদে অতুলনীয়। প্রসঙ্গত সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের প্রধান পিঠের মধ্যে অন্যতম এই হাঁড়িমুয়া পিঠে। হাঁড়ির মুখেই তৈরি হয় বলে এই পিঠের নাম হাঁড়িমুয়া বা হাঁড়িমুখ পিঠে।

আরও পড়ুন : কমলালেবুকে ইংরেজিতে কিন্তু মোটেও ‘Orange’ বলে না! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক জবাব

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম পৌষ পার্বণ। অন্যান্য জায়গায় যতটা না আনন্দের সঙ্গেপালিত হয়, ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ আনন্দ সহকারেই পালন করা হয় পৌষ পার্বণ। সারা বছরের পাশাপাশি শীতের সময় পিঠে পুলির আয়োজন থাকে বেশ। আনন্দের সঙ্গেপিঠেপুলির স্বাদ নেন প্রত্যেকে।