গরমের মরশুমে মানুষ ঠান্ডা বাতাসে আরামে ঘুমানোর জন্য ঘরে এসি কিংবা কুলার চালায়। এগুলি ছাড়া কিছু লোক কোনভাবেই ঘুমানো যেন সম্ভব নয়। ফ্যানের গরম হাওয়ায় ঘুমাতে কষ্ট হয় সকলেরই। এমনকি সারারাত ঘুমও সম্পূর্ণ হয় না।কীভাবে ফ্যান ও কুলার থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসতে পারে সেজন্য মানুষ নানা ধরনের ব্যবস্থা করে। প্রবল গরমে কষ্ট হলেও সব বাড়িতে কিন্তু এসিও নেই তাই গরমে এসির মতো ঠান্ডা হাওয়া পেতে একমাত্র উপায় হল কিছু কৌশল অনুসরণ করা যাতে ঠান্ডা হাওয়া কুলার এবং ফ্যান থেকেই আসতে শুরু করে।গরমে ফ্যান থেকে গরম হাওয়া আসে, তবে গরমকালে এসি ছাড়া কাটাতে গেলে টেবিল ফ্যানে কিছু মেশিন লাগিয়ে এটি তৈরি করতে পারেন। আজকাল অনলাইনে অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়, সেই গ্যাজেটের সাহায্য নিয়ে আপনি টেবিল ফ্যানের হাওয়া অনায়াসেই ঠান্ডা করতে পারেন।কখনও কখনও কুলার বা ফ্যানের কনডেন্সারও ঠিকমতো কাজ করে না, যার কারণে বাতাস দ্রুত বের হয় না। কুলার বা ফ্যান থেকে ধীরে ধীরে বাতাস বের হলে প্রথমে কনডেন্সার চেক করুন। ফ্যানের গতি তখনই ধীর হয়ে যায় যখন তা ঠিকমতো কাজ না করে। এটি বাজারে কম দামে পাওয়া যায়। আপনি নিজেও এটি পরিবর্তন করতে পারেন।অনেক সময় কুলার বা ফ্যানের ব্লেডে এত ময়লা ও ধুলোবালি আটকে যায় যে ফ্যানের গতি ধীর হয়ে যায়। কেউ কেউ ঘর পরিষ্কার করলেও কুলার ও ফ্যান নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। এমনকি এখান থেকেও গরম হাওয়া আসতে শুরু করে। তাই কুলার এবং ফ্যান নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন যাতে হাওয়া ঠিকমতো আসে।কিছু লোক ঘরের ভিতরে কুলার রাখে, যার কারণে বাতাস ঠান্ডা হয় কিন্তু আঠালো ভাব অনুভব করতে শুরু করে। আপনার ঘরের জানালা, দরজা বা বারান্দায় সর্বদা কুলার রাখা উচিত। এতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে আসবে এবং কোনও আঠালো ভাব থাকবে না। এতে ঘর থেকে গরম বাতাস বের হয়ে যাবে এবং কুলারের ঠান্ডা বাতাস ভিতরে আসবে।আপনি কুলারে বরফের টুকরো রাখতে পারেন। এই কারণে, বরফ গলে যখন কুলারে পৌঁছাবে, আপনি ঠান্ডা বাতাস পাবেন। আপনি দিনে এবং রাতে এই প্রতিকার অবশ্যই চেষ্টা করুন৷কখনও কখনও ফ্যান গরম বাতাস দেয় কারণ এটি অবিরাম চলতে থাকে। এর কারণে ফ্যানের মোটর গরম হয়ে যায়। মাঝে ফ্যানের সুইচ অফ করুন। এতে মোটর ঠান্ডা থাকবে এবং বাতাসও ঠান্ডা বেরবে।
প্রবল গরমে সাধারণ মানুষের নাকাল হওয়ার জোগাড়৷ এর মধ্যে কোনও না কোনও পদ্ধতিতে ঘর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের সকলের হয়ত এসি কেনার ক্ষমতা নেই, সেক্ষেত্রে টেবিল ফ্যানকেই বিশেষ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়৷হ্যাঁ, টেবিল ফ্যানকেই এমন করে ব্যবহার করা সম্ভব যাতে হুহু করে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ায় অনুভূতি হবে এসির মতোই৷ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমের ব্যবস্থাও হবে৷ ফলে, খরচ বাঁচবে এবং কম আয়োজনে ঘরকে ঠান্ডা করতে পারবেন যে কেউ৷গরম কালে সিলিং ফ্যানের হাওয়া অনেক সময়েই গরম লাগে বলে অনেকে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তাতেও ঘরের ভিতরের গরম হাওয়া ঘুরতে থাকে বলে হাওয়া তেমন একটা ঠান্ডা হয় না৷ ফলে গরম হাওয়াই আরও একটু গতিতে শরীরে এসে লাগে৷টেবিল ফ্যান ব্যবহারের নিয়মের আগে জেনে নিতে হবে, সাধারণত ঘরের দেওয়ালে যদি সরাসরি সূর্যের তাপ লাগে, তা হলে সেই ঘর বেশি উষ্ণ হয়, আর যে খানে অপেক্ষাকৃত কম তাপ লাগে সেই ঘর ঠান্ডা হয়৷ সেই কারণে একতলার ঘর হয় ঠাণ্ডা আর সবচেয়ে উপরের তলার ঘর হয় সবচেয়ে গরম৷বলা হচ্ছে, যাদের বাড়িতে সূর্যের আলো সরাসরি আসে, তারা যেন টেবিল ফ্যানটিকে জানলার দিকে মুখ করে রাখেন৷ এতে ঘরের গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাবে ও বাইরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা হাওয়া ঘরের মধ্যে আসবে৷ এটি রাতের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য৷ আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি গাছপালা থাকে, তা হলে তো কথাই নেই, আরও বেশি করে ঠান্ডা বাতাস ঘরে টেনে নিয়ে আসবে আপনার টেবিল ফ্যান৷ তাতে আপনার ঘর খুবই ঠান্ডা থাকবে৷ বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস টেনে আনার জন্য অবশ্য ফ্যানটিকে আপনার দিকে ঘুরিয়ে রাখতে পারেন৷
