কলকাতা : আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের জেরে অস্থির পরিবেশেই এ বার দিনদুপুরে দোকানের মালিকের হাতে ধর্ষিতা তরুণী। এই অভিযোগ উঠল ওয়াটগঞ্জ এলাকায়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানের অভিযুক্ত মালিক সুমিত আগরওয়াল হরলালকাকে। ওয়াটগঞ্জ (মহিলা) থানার তরফে জানানো হয়েছে আক্রা রোডে ‘এ ওয়ান’ মার্কেটের ভিতরে দোকানের মধ্যে নিগৃহীতা হন ওই তরুণী।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন গত ২৬ জুলাই দুপুর ১ টার সময় ওয়াটগঞ্জে আক্রা রোডে এওয়ান মার্কেটের ভিতরে সুমিত আগরওয়ালের হাতে ধর্ষিতা হন তাঁর ২৩ বছর বয়সি কন্যা। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, তরুণী ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেয় সুমিত। পুলিশে অভিযোগ জানালে তার পরিণাম ভাল হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : আজ রাধাষ্টমী! কত ক্ষণ থাকবে এই পুণ্যতিথি? কখন পুজো দিলে রাধাকৃষ্ণের আশীর্বাদে ভরবে জীবন, জানুন
হুমকিতে ভয় পেয়ে ধর্ষিতার পরিবার পুলিশের কাছে যায়নি প্রথমে। অবশেষে ধর্ষণের প্রায় দু’ সপ্তাহ পর ওয়াটগঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।
সুবীর দে,পানিহাটি: ছোট বেলার থেকে আগলে রাখা মেয়েকে এভাবে বাড়ি থেকে বিদায় দিতে হবে তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় খুন হওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মা। শুক্রবার থেকেই অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। অবশেষে, গ্রেফতার হয় সঞ্জয় রায়। সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এবার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা।
আরও পড়ুনঃ খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
তিনি বলেন, ‘মেয়ের ওপর যথেষ্ট চাপ ছিল হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে। সিনিয়ার ডাক্তাররা ঠিকমতো কাজ করতে দিত না আমার মেয়েকে হাসপাতালে।’ তিনি দাবি করেন, তাঁদের মেয়েকে কেউ খুন করার জন্য সুপারি দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘ আমি আর আমার স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। হাসপাতালের সহকারি সুপার আমাদের বলেছিল আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
প্রতিদিন ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। প্রসঙ্গত, আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
Just another WordPress site