Tag Archives: Medical Student

Medical College: ফের গাফিলতি! অল্পের জন‍্য বড় বিপদ থেকে বাঁচল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের মেয়েরা

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে সোমবার রাতের অন্ধকারে মুখে রুমাল বেঁধে, পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিল দুস্কৃতি। এই খবর প্রকাশ্যে এনেছিলাম আমরা নিউজ 18 বাংলার পর্দায়। আর তাতেই নড়েচড়ে বসল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি হস্টেলে গিয়ে নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকর খতিয়ে দেখলেন জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নেওয়া হল বিভিন্ন পদক্ষেপও।

আরও পড়ুনঃ আচমকা নামতে পারে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি! দক্ষিণে আজ হড়পা বানের সতর্কতা, অ্যালার্ট জারি আলিপুরের

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলের নিরাপত্তার গাফিলাতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব আবাসিকরা। কিন্তু সেই দাবী কানে তোলেনি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর আবহের মাঝেই সোমবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হোস্টেলে পেছেনের পাঁচিল টপকে এক দুস্কৃতি ঢুকে পড়ে হস্টেল চত্বরে। বিষয়টি এক আবাসিক ছাত্রীর নজরে পড়ে যাওয়ায় এযাত্রায় দুস্কৃতি পালিয়ে যায়।

এই ঘটনার পর নতুন করে মঙ্গলবার লেডিজ হস্টেলের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবীতে সোচ্চার হন আবাসিক চিকিৎসক পড়ুয়ারা। এরপরই নড়েচড়ে বসে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু নিজে হস্টেলে হাজির হয়ে হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।

হোস্টেল চত্বরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। তড়িঘড়ি লেডিজ হস্টেল চত্বরে শুরু হয় আলো মেরামতির কাজ। নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। ২৪ ঘন্টার জন্যই লেডিস হস্টেল চত্বরে দুই জন সশস্ত্র মহিলা পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হবে। লেডিজ হস্টেলের সীমানা পাঁচিলের উপর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। লেডিজ হস্টেল চত্বর এবং লেডিজ হস্টেল থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তায় রাতে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। খবরের জেরে দেরিতে হলেও মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলের নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকর পূরণ করতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এগিয়ে আসায় খুশি আবাসিকরা।

প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া

R G Kar Murder: ঘণীভূত হচ্ছে রহস‍্য, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা!

সুবীর দে,পানিহাটি: ছোট বেলার থেকে আগলে রাখা মেয়েকে এভাবে বাড়ি থেকে বিদায় দিতে হবে তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় খুন হওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মা। শুক্রবার থেকেই অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। অবশেষে, গ্রেফতার হয় সঞ্জয় রায়। সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এবার মেয়ের মৃত‍্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা।

আরও পড়ুনঃ খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

তিনি বলেন, ‘মেয়ের ওপর যথেষ্ট চাপ ছিল হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে। সিনিয়ার ডাক্তাররা ঠিকমতো কাজ করতে দিত না আমার মেয়েকে হাসপাতালে।’ তিনি দাবি করেন, তাঁদের মেয়েকে কেউ খুন করার জন্য সুপারি দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘ আমি আর আমার স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। হাসপাতালের সহকারি সুপার আমাদের বলেছিল আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

প্রতিদিন ঘণীভূত হচ্ছে রহস‍্য। প্রসঙ্গত, আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

Medical Students: পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত পড়ুয়া মেডিক্যাল পড়তে কেন যান বাংলাদেশ? জানা গেল আসল কারণ

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে আটকে পড়েন এই রাজ্যের বহু পড়ুয়া। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতেই দেখা যাচ্ছে বাংলাতে ফিরছে বহু বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল পড়ুয়া। কিন্তু কেন যায় বাংলাদেশে? মেডিক্যাল কলেজ ভারতে থাকা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে কেন ছুটতে হয়! আছে বেশ কিছু অজানা কারণ।
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে আটকে পড়েন এই রাজ্যের বহু পড়ুয়া। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতেই দেখা যাচ্ছে বাংলাতে ফিরছে বহু বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল পড়ুয়া। কিন্তু কেন যায় বাংলাদেশে? মেডিক্যাল কলেজ ভারতে থাকা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে কেন ছুটতে হয়! আছে বেশ কিছু অজানা কারণ। (কৌশিক অধিকারী)
ভারতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার জন্য খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কিছু মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচ অবশ্য এর থেকে কিছুটা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচ কত? এক কথায় বলা যায়, ভারতে মেডিক্যাল নিয়ে পড়তে যা খরচ হয়, তার প্রায় অর্ধেক টাকাতেই বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়া যায়। যদিও, এই খরচ সেখানের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার তুলনায় প্রায় ১৫০গুণ বেশি।
ভারতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার জন্য খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কিছু মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচ অবশ্য এর থেকে কিছুটা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচ কত? এক কথায় বলা যায়, ভারতে মেডিক্যাল নিয়ে পড়তে যা খরচ হয়, তার প্রায় অর্ধেক টাকাতেই বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়া যায়। যদিও, এই খরচ সেখানের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার তুলনায় প্রায় ১৫০গুণ বেশি।
বাংলাদেশে মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী সেখানের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন রয়েছে ৪৩৫০ টি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে ৭২টি। সেখানে আসন সংখ্যা ৬৪৮৯টি। এছাড়াও বাংলাদেশেও রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।অনেক মেডিক্যাল পড়ুয়া পাশ করে এলেও নামের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এমবিবিএস ডিগ্রি থাকলেই এ দেশে ডাক্তারি করা যায় না। তার জন্য দিতে হয় একটি পরীক্ষা, যার নাম ‘এগ্‌জিট টেস্ট’। আর সেই পরীক্ষাতেই হোঁচট খেয়ে পড়ছেন বিদেশি ডিগ্রিধারf অধিকাংশ পড়ুয়া।
বাংলাদেশে মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী সেখানের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন রয়েছে ৪৩৫০ টি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে ৭২টি। সেখানে আসন সংখ্যা ৬৪৮৯টি। এছাড়াও বাংলাদেশেও রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।অনেক মেডিক্যাল পড়ুয়া পাশ করে এলেও নামের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এমবিবিএস ডিগ্রি থাকলেই এ দেশে ডাক্তারি করা যায় না। তার জন্য দিতে হয় একটি পরীক্ষা, যার নাম ‘এগ্‌জিট টেস্ট’। আর সেই পরীক্ষাতেই হোঁচট খেয়ে পড়ছেন বিদেশি ডিগ্রিধারf অধিকাংশ পড়ুয়া।
কোনও বছরেই পাশের হার ২৫% পেরোচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে ডাক্তারি পড়ে সরাসরি এ দেশে চিকিৎসা করতে পারবেন না। এর আগে আপনাকে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। তারপর আপনি এদেশে চিকিৎসা করার ছাড়পত্র পাবেন।
কোনও বছরেই পাশের হার ২৫% পেরোচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে ডাক্তারি পড়ে সরাসরি এ দেশে চিকিৎসা করতে পারবেন না। এর আগে আপনাকে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। তারপর আপনি এদেশে চিকিৎসা করার ছাড়পত্র পাবেন।
ইতি মধ্যেই রাজ্যে ফিরছেন বহু পড়ুয়া। অন্যদিকে উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরে এসেছেন এক পড়ুয়া। বাংলাদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে হরিহরপাড়ার ১ পড়ুয়া ঘরে ফিরলেন। স্বভাবতই স্বস্তিতে পড়ুয়া ও তার পরিবারের লোকেরা।জানাল ওই পড়ুয়ার বাবা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়েন। অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।
ইতি মধ্যেই রাজ্যে ফিরছেন বহু পড়ুয়া। অন্যদিকে উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরে এসেছেন এক পড়ুয়া। বাংলাদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে হরিহরপাড়ার ১ পড়ুয়া ঘরে ফিরলেন। স্বভাবতই স্বস্তিতে পড়ুয়া ও তার পরিবারের লোকেরা।জানাল ওই পড়ুয়ার বাবা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়েন। অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।
কোটা নীতির বিরোধীতায় বেশ কিছু দিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। নানা রকম সূত্রে নিহতের সংখ্যা নানা রকম শোনা যাচ্ছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন দেশের অনেক পড়ুয়া। বাড়ি ফিরতে না পারায় উৎকণ্ঠায় ছিলেন পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। হরিহরপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার মিরপুরে ডেল্টা মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ডাক্তারি পড়ুয়া।
কোটা নীতির বিরোধীতায় বেশ কিছু দিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। নানা রকম সূত্রে নিহতের সংখ্যা নানা রকম শোনা যাচ্ছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন দেশের অনেক পড়ুয়া। বাড়ি ফিরতে না পারায় উৎকণ্ঠায় ছিলেন পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। হরিহরপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার মিরপুরে ডেল্টা মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ডাক্তারি পড়ুয়া।