দক্ষিণ ২৪পরগনা : টানা ৬১ দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত। ফলে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।সুন্দরবন অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা নদী, সমুদ্র কেন্দ্রীক। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় তাঁরা জলে নামতে পারেন না। আর এই সময়ের জন্য সরকারি অনুদান ভাতা আছে। কিন্তু সেই অনুদান ভাতা সবার হাতে পৌঁছয় না।
কারণ তাদের অনেকেরই মৎস্যজীবীর কার্ড, সমুদ্রসাথী কার্ড নেই।অনেকের হয়ত পুরাতন কার্ড আছে। সেই জন্য অনুদান ভাতা পাচ্ছেন না। তাছাড়া বহু মহিলা আছেন যাঁরা নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়, কিন্তু তাঁদের কোন কার্ড নেই। তাঁদের সরকারিভাবে কোন কার্ড দেওয়া হয় না। সেই জন্য কোন অনুদান ভাতা তাঁরা পান না। কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ পান না। মাঝেমধ্যেই লাইসেন্স কার্ড না থাকার অজুহাতে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। জলে নামতে দেওয়া হয় না।তাঁদের জীবন -জীবিকায় আঘাত পড়ে। আর এই সব মৎস্যজীবিদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন। এই সব মৎস্য জীবিদের তাদের নায্য অধিকারের দাবীতে তাদের পাশে আছে।
আরও পড়ুন: ফ্যান, এসি, কুলার কিচ্ছু লাগবে না! মাত্র ৩০০ টাকা খরচে এই কাজ করুন! গরমেও কনকনে ঠান্ডা হবে ঘর!
এ নিয়ে তারা বিডিওর কাছে কয়েকদফা দাবি রেখেছে। যা হল বিকল্প কোনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে কোন মৎস্য জীবিকে নদী থেকে উৎখাত করা যাবে না । প্রত্যেক মৎস্যজীবিকে মৎস্যসাথী, সমুদ্রসাথী কার্ড দিতে হবে। যে সমস্ত মানুষ শুধু মাত্র নদী সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেককে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। যাদের নতুন কার্ড নেই তাদের পুরনো কার্ডেই ভাতা দিতে হবে।এই বিষয় গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেন বিডিও ।
সুমন সাহা