Tag Archives: Fishermen

Fishermen: অফ সিজনে ব্যস্ততা তুঙ্গে! মৎস্যজীবীদের হঠাৎ হলটা কী?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ ও মৎস্যজীবীদের। তা সত্ত্বেও ব্যস্ততা বেড়েছে। কারণ এই অফ সিজনেই তাঁরা ট্রলার সারানো থেকে শুরু করে জাল মেরামত করা সব কাজ করেন। নতুন জাল বোনাও এই সময়‌ই হয়।

সারাবছরের কাজ এই সময় করতে হয় তাঁদের। ফলে মাছ ধরার কাজ না থাকলেও ফিশিং হারবারগুলিতে কাজের ব্যস্ততা কিন্তু বেড়েছে। জোরকদমে মাছ ধরার কাজ বাদে চলছে অন্যান্য কাজ।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগে মাসিক ভাতার দাবি গৃহশিক্ষকদের! সঙ্গে আর যা যা র‌ইল

সারাব ছরের কাজ এখন করায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধের জোগাড় মৎস্যজীবীদের। এই নিয়ে মৎস্যজীবী আমির আলি পেয়াদা জানান, তিনি এখন নৌকায় রং করছেন। তাঁর মত আরও অন্যান্য মৎস্যজীবীরাও এই কাজ করছেন বলে জানান। এই সমস্ত কাজে অনেক শ্রমিকও কাজ করছেন। কিন্তু পারিশ্রমিক কিছুটা কম। কিন্তু ব্যস্ততা রয়েছে। এই কাজ করলে তবেই সারাবছর ভালভাবে নৌকা চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেজন্য ব্যান পিরিয়িডেও বাড়িতে বসে না থেকে ভবিষ্যতের আখের গোছাতে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা।

নবাব মল্লিক

Samudra Sathi Prakalpa: সমুদ্রসাথী প্রকল্পের কার্ড থেকেও মিলছে না টাকা! কারা পাচ্ছে? চরম কষ্টে মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ ২৪পরগনা : টানা ৬১ দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত। ফলে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।সুন্দরবন অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা নদী, সমুদ্র কেন্দ্রীক। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় তাঁরা জলে নামতে পারেন না। আর এই সময়ের জন্য সরকারি অনুদান ভাতা আছে। কিন্তু সেই অনুদান ভাতা সবার হাতে পৌঁছয় না।

কারণ তাদের অনেকেরই মৎস্যজীবীর কার্ড, সমুদ্রসাথী কার্ড নেই।অনেকের হয়ত পুরাতন কার্ড আছে। সেই জন্য অনুদান ভাতা পাচ্ছেন না। তাছাড়া বহু মহিলা আছেন যাঁরা নদীতে মাছ  ধরে সংসার চালায়, কিন্তু তাঁদের কোন কার্ড নেই। তাঁদের সরকারিভাবে কোন কার্ড দেওয়া হয় না। সেই জন্য কোন অনুদান ভাতা তাঁরা পান না। কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ পান না। মাঝেমধ্যেই লাইসেন্স কার্ড না থাকার অজুহাতে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। জলে নামতে দেওয়া হয় না।তাঁদের জীবন -জীবিকায় আঘাত পড়ে। আর এই সব মৎস্যজীবিদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন। এই সব মৎস্য জীবিদের তাদের নায্য অধিকারের দাবীতে তাদের পাশে আছে।

আরও পড়ুন: ফ্যান, এসি, কুলার কিচ্ছু লাগবে না! মাত্র ৩০০ টাকা খরচে এই কাজ করুন! গরমেও কনকনে ঠান্ডা হবে ঘর!

এ নিয়ে তারা বিডিওর কাছে কয়েকদফা দাবি রেখেছে। যা হল বিকল্প কোনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে কোন মৎস্য জীবিকে নদী থেকে উৎখাত করা যাবে না ‌। প্রত্যেক মৎস্যজীবিকে মৎস্যসাথী, সমুদ্রসাথী কার্ড দিতে হবে। যে সমস্ত মানুষ শুধু মাত্র নদী সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেককে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। যাদের নতুন কার্ড নেই তাদের পুরনো কার্ডেই ভাতা দিতে হবে।এই বিষয় গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেন বিডিও

সুমন সাহা

Viral Video: জেলেদের জালে এ কী ধরা পড়ল!যা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হবে আপনারও

বঁড়শিতে আটকালো দৈত্যাকার ভেটকি! বিশাল আকারের ভেটকি বিক্রি হল চড়া দামে, এ যেন রাতারাতি লটারি মিলল মাঝির!

Fishermen Crisis: মরশুমের শেষ ট্রিপে ক্ষতির মুখে মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাছ ধরার মরসুম একেবারে শেষ পর্যায়ে। চলছে মাছ ধরার শেষ ট্রিপ। এরপর দু’মাসের জন্য বন্ধ থাবে মাছ ধরা। ফলে শেষ টিপে সকল মৎস্যজীবী ভাল লাভের আশায় ছিলেন। কিন্তু তাঁদের হতাশ হতে হল। শেষ ট্রিপে ক্ষতির মুখে পড়লেন মৎস্যজীবীরা।

আর‌ও পড়ুন: রসুন যেন সোনা! রাত জেগে জমি পাহারায় কৃষকরা

এই ক্ষতির কারণেই প্রায় ৬০ শতাংশ ট্রলার চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সময়ের আগেই। এমনিতেই ক্ষতি হচ্ছিল। সেই ক্ষতির পরিমাণ আর যাতে না বাড়ে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাকি থাকা ট্রলারগুলিও খুব একটা লাভের মুখ দেখছে না। এই বছর ট্রালারের থেকে ট্রলি ফিশিং-এ কিছুটা লাভ হচ্ছে। ট্রলি ফিশিং-এ সামুদ্রিক একাধিক মাছ শিকার করা হয়। যাকে চলতি কথায় বলা হয় হরযাই মাছ। এই হরযাই মাছ ধরার ফলে ট্রলি ফিশিং-এ লাভ হলেও, লাভ হচ্ছে না ট্রলারে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন দু’মাসের জন্য মৎস্যজীবীদের অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হলেও অনেক মৎস্যজীবীর এখনও কার্ডই হয়নি। কিছুজনের কার্ড থাকলেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির। সব মিলিয়ে আগামী দু’মাস সংসার চালানো নিয়ে প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

নবাব মল্লিক