Tag Archives: Shiv Mandir

Ambika Kalna Shib Mandir: আসছে নীলষষ্ঠী, কলকাতার কাছেই নামমাত্র খরচে ঘুরে নিন অম্বিকা কালনার প্রাচীন ১০৮ শিবমন্দির

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে দু’টি ১০৮ শিব মন্দির। যার একটি রয়েছে বর্ধমান শহরে। অপরটি কোথায় জানেন? একটি বা দু’টি নয়, একই চত্বরে রয়েছে ১০৮টি শিব মন্দির। পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় ১০৮ শিব মন্দিরটি রয়েছে কালনা শহরে। পূর্ব বর্ধমানের এক অতি প্রাচীন জনপদ কালনা। গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক মন্দির। যে সকল মন্দিরগুলির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে নজরকাড়া সূক্ষ কাজ। যা দেখতে সারা বছর ছুটে আসেন বিভিন্ন পর্যটক।

কালনা শহরে এলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন শতাব্দী প্রাচীন এই দুই মন্দির। কালনা শহরের মধ্যে রয়েছে ১০৮ শিব মন্দির। যার অনন্য স্থাপত্য শৈলী নজর কাড়ে অনেকের। তবে শুধু ১০৮ শিব মন্দিরই নয়, কালনার ১০৮ শিব মন্দিরের বিপরীত দিকেই রয়েছে রাজবাড়ি কমপ্লেক্স। যার মধ্যে রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো লালজি মন্দির। পঁচিশ রত্ন এই মন্দিরের গা জুড়ে রয়েছে সূক্ষ্ম টেরাকোটার কাজ। মন্দিরের দেওয়ালে চোখে পড়বে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির ছবি। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ।

আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ঢাইয়া ও সাড়ে সাতির প্রভাব! শনির বিপজ্জনক কোপে ‘এই’ ৫ রাশি, ঘনিয়ে আসছে অভাব-দুর্ঘটনার মতো চরম ক্ষতির দিন

পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরে ঘুরতে এসে চাইলে পুজো দিতে পারেন অনন্য সুন্দর এই মন্দিরে। এই প্রসঙ্গে লালজি মন্দিরের এক পুরোহিত জানান, এই মন্দির সকাল ৬টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দেশবিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন। আগে এত জনপ্রিয় ছিল না এই মন্দির, তবে বর্তমানে হয়েছে। এখানে পুজো দেওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম রীতি নেই। মনস্কামনা পূরণের জন্য কেউ মূল্য দিয়ে আবার কেউ ফল-মালা দিয়ে নাম, গোত্র-সহ ঠাকুরের কাছে পুজো দিয়ে থাকেন।

কিন্তু কীভাবে পৌঁছাবেন কালনা শহরে? কীভাবেই বা যাবেন এই মন্দিরগুলিতে? হাওড়া কাটোয়া ট্রেন রুটের মধ্যেই পড়ে অম্বিকা কালনা স্টেশন। স্টেশন থেকে টোটো করেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই মন্দির চত্বরে।কালনা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস। রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন একাধিক মন্দির। কালনা শহরের এই ১০৮ শিব মন্দির, ভক্তদের কাছে নবকৈলাস নামেও পরিচিত। দু’টি বৃত্তে রয়েছে ১০৮ টি মন্দির। বাইরের বৃত্তে ৭৪ টি এবং ভিতরের বৃত্তে রয়েছে ৩৪ টি মন্দির। পাশাপাশি, কালনার এই নবকৈলাস মন্দিরের বাইরের বৃত্তের মন্দিরগুলিতে পর্যায়ক্রমে একটি কালো ও একটি সাদা শিবলিঙ্গ রয়েছে।

এই মন্দিরে প্রবেশ করতে লাগে না কোনও প্রবেশমূল্য। ইতিহাস থেকে জানা যায় এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন বর্ধমানের মহারাজ তেজ বাহাদুর। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু পর্যটক আসেন কালনা শহরের এই প্রাচীন মন্দিরগুলি দর্শন করতে। কালনার রাজবাড়ি কমপ্লেক্স এলাকার মন্দিরগুলিতে দেখা মিলল নিউজিল্যান্ড থেকে আসা একদল পর্যটকেরও। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে। শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরগুলি দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহ্য ও ইতিহাস জড়ানো পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহর থেকে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী