Tag Archives: ancient temple

Bangla Video: কলেরা ঠেকিয়েছিলেন মা বুরুজ কালী!

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহাকুমার প্রসিদ্ধতম কালীমন্দিরের মধ্যে অন্যতম বাদুড়িয়ার বুরুজ কালি মন্দির। এই মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। একে ঘিরে রয়েছে নানান স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী।

বাংলায় জাগ্রত কালী মন্দিরের অভাব নেই। তবে, কোন মন্দিরগুলো জাগ্রত সেটা বোঝা ভক্তদের কাছে প্রায়শই কঠিন হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুরোনো ভক্তরা অবশ্য সেসব জানেন। অনেক ভক্তদের বিশ্বাস, এই সব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও পাওয়া যায়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়ার বুরুজ এলাকার এই কালী মন্দিরে প্রতিবছর মহা ধুমধাম করে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো হয়।

আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

বহু ভক্ত এখানে এসে মানত করেন এবং মনস্কামনা পূর্ণ হলে পরে এসে আবার পুজো দেন। কথিত আছে, বহু বছর আগে এই মন্দিরটির মূল জায়গায় একটি বেদী ছিল। সেখানেই মায়ের পুজো করা শুরু হয়। তারপর কলেরা মহামারীর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সেই সময় এক ব্যক্তি ওই মন্দিরে গিয়ে মহামারি নির্মূলের জন্য প্রার্থনা করে। তারপর থেকেই এই মন্দিরটিতে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে।

বর্তমানে মন্দিরটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। অনেক ভক্তের বিশ্বাস, কেউ বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই, এমনই ধারণা থাকে অনেক ভক্তের মধ্যে। সব মিলিয়ে বাদুড়িয়ার বুরুজের এই মন্দিরকে ঘিরে এলাকার মানুষের ভক্তি-বিশ্বাস প্রবল।

জুলফিকার মোল্যা

Ambika Kalna Shib Mandir: আসছে নীলষষ্ঠী, কলকাতার কাছেই নামমাত্র খরচে ঘুরে নিন অম্বিকা কালনার প্রাচীন ১০৮ শিবমন্দির

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে দু’টি ১০৮ শিব মন্দির। যার একটি রয়েছে বর্ধমান শহরে। অপরটি কোথায় জানেন? একটি বা দু’টি নয়, একই চত্বরে রয়েছে ১০৮টি শিব মন্দির। পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় ১০৮ শিব মন্দিরটি রয়েছে কালনা শহরে। পূর্ব বর্ধমানের এক অতি প্রাচীন জনপদ কালনা। গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক মন্দির। যে সকল মন্দিরগুলির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে নজরকাড়া সূক্ষ কাজ। যা দেখতে সারা বছর ছুটে আসেন বিভিন্ন পর্যটক।

কালনা শহরে এলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন শতাব্দী প্রাচীন এই দুই মন্দির। কালনা শহরের মধ্যে রয়েছে ১০৮ শিব মন্দির। যার অনন্য স্থাপত্য শৈলী নজর কাড়ে অনেকের। তবে শুধু ১০৮ শিব মন্দিরই নয়, কালনার ১০৮ শিব মন্দিরের বিপরীত দিকেই রয়েছে রাজবাড়ি কমপ্লেক্স। যার মধ্যে রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো লালজি মন্দির। পঁচিশ রত্ন এই মন্দিরের গা জুড়ে রয়েছে সূক্ষ্ম টেরাকোটার কাজ। মন্দিরের দেওয়ালে চোখে পড়বে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির ছবি। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ।

আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ঢাইয়া ও সাড়ে সাতির প্রভাব! শনির বিপজ্জনক কোপে ‘এই’ ৫ রাশি, ঘনিয়ে আসছে অভাব-দুর্ঘটনার মতো চরম ক্ষতির দিন

পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরে ঘুরতে এসে চাইলে পুজো দিতে পারেন অনন্য সুন্দর এই মন্দিরে। এই প্রসঙ্গে লালজি মন্দিরের এক পুরোহিত জানান, এই মন্দির সকাল ৬টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দেশবিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন। আগে এত জনপ্রিয় ছিল না এই মন্দির, তবে বর্তমানে হয়েছে। এখানে পুজো দেওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম রীতি নেই। মনস্কামনা পূরণের জন্য কেউ মূল্য দিয়ে আবার কেউ ফল-মালা দিয়ে নাম, গোত্র-সহ ঠাকুরের কাছে পুজো দিয়ে থাকেন।

কিন্তু কীভাবে পৌঁছাবেন কালনা শহরে? কীভাবেই বা যাবেন এই মন্দিরগুলিতে? হাওড়া কাটোয়া ট্রেন রুটের মধ্যেই পড়ে অম্বিকা কালনা স্টেশন। স্টেশন থেকে টোটো করেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই মন্দির চত্বরে।কালনা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস। রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন একাধিক মন্দির। কালনা শহরের এই ১০৮ শিব মন্দির, ভক্তদের কাছে নবকৈলাস নামেও পরিচিত। দু’টি বৃত্তে রয়েছে ১০৮ টি মন্দির। বাইরের বৃত্তে ৭৪ টি এবং ভিতরের বৃত্তে রয়েছে ৩৪ টি মন্দির। পাশাপাশি, কালনার এই নবকৈলাস মন্দিরের বাইরের বৃত্তের মন্দিরগুলিতে পর্যায়ক্রমে একটি কালো ও একটি সাদা শিবলিঙ্গ রয়েছে।

এই মন্দিরে প্রবেশ করতে লাগে না কোনও প্রবেশমূল্য। ইতিহাস থেকে জানা যায় এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন বর্ধমানের মহারাজ তেজ বাহাদুর। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু পর্যটক আসেন কালনা শহরের এই প্রাচীন মন্দিরগুলি দর্শন করতে। কালনার রাজবাড়ি কমপ্লেক্স এলাকার মন্দিরগুলিতে দেখা মিলল নিউজিল্যান্ড থেকে আসা একদল পর্যটকেরও। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে। শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরগুলি দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহ্য ও ইতিহাস জড়ানো পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহর থেকে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

500 Years Old Chaitra Kali Puja: ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো শুরুর আগে ওড়ানো হয় নিশান

নদিয়া: হরিপুর দাসপাড়ার চৈত্র কালীপুজোর ইতিহাস অতি প্রাচীন। আনুমানিক ৫০০ বছরেরও বেশি। এটি শান্তিপুরের সবথেকে প্রাচীনতম পুজোগুলোর মধ্যে একটি। এই পুজোর রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। পুজোর এক মাস আগে মা কালীর নামে করা হয় বিশেষ পালনি। পাড়ার যত মহিলা আছেন তাঁরা যে যেখানেই থাকুক না কেন ওই সময় এখানে এসে উপোস করেন। এরপরে চিরে, খই, মুড়ি খেয়ে উপোবাস ভাঙেন। মন্দিরের পাশেই বাঁশের মাথায় লাল কাপড় দিয়ে একটি নিশান পোঁতা হয়। সেই নিশানটি একমাস রেখে দেওয়া হয়। পুজোর শেষে যখন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় সেই সময় ওই নিশানটি খোলা হয়।

আর‌ও পড়ুন: কুমোরের চাকা ছাড়াই বাড়িতে সহজে তৈরি করুন মালসা, হবে উপরি রোজগার

এই অতি প্রাচীন কালীপুজোর অন্যতম ঐতিহ্য হল অধিবাস। প্রত্যেক বছরে চৈত্র মাসে করা হয় এই চৈত্র কালীপুজো। তার আগে সোমবারে হয় অধিবাস। সেই অধিবাস নিয়ে পরিক্রমা করা হয় সারা হরিপুর এলাকা জুড়ে। অধিবাসের কুলোটি দেওয়া হয় একটি অবিবাহিত মেয়ের মাথায়।

এখানে মা কালীর পুজোর আগে করা হয় মনসা পুজো। মনসা পুজো সম্পন্ন হলে রাত বারোটা থেকে শুরু হয় কালীপুজো। চলে একেবারে ভোর পর্যন্ত। মন্দিরটি অনেক প্রাচীন হওয়ার কারণে সেটিকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। সারা হরিপুর অঞ্চলজুড়ে এই পুজো নিয়ে থাকে মানুষের মধ্যে ভক্তি এবং উচ্ছ্বাস। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এই মন্দিরে।

মৈনাক দেবনাথ

Ancient Temple: হিঙ্গলগঞ্জের ২০০ বছরের প্রাচীন শাস্ত্রী বাড়ির কালীমন্দির ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের কাছে জাগ্রত

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: সুন্দরবন এলাকার জেলার প্রসিদ্ধতম প্রাচীন কালীমন্দিরের মধ্যে অন্যতম হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির কালীমন্দির। শোনা যায়, মন্দিরটির কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই কালীমন্দিরকে ধীরে রয়েছে নানান স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী। বাংলায় জাগ্রত মন্দিরের অভাব নেই।

অনেক ভক্তের বিশ্বাস, এই সব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও পাওয়া যায়। হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির এই মন্দিরে প্রতিবছর উপলক্ষে মহা ধুমধাম করে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো করা হয়। বহু ভক্ত মানত করেন এবং মানত পূর্ণ করার উদ্দেশে বহু দূর থেকে মন্দির চত্বরে পুজো দেওয়ার জন্য সমবেত হন। দেবী দর্শনে ও পুজো দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তরা আসেন।

আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি ঝিঙে খাওয়া যায়? গরমের এই সবজি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন

জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে নবীনচন্দ্র পাণ্ডা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি একসময় পোড়ামাটির থাকলেও বর্তমানে তা সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। অনেক ভক্তের বিশ্বাস, কেউ বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই–এমনই ধারণা অনেক ভক্তের মধ্যে। সব মিলিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির এই মন্দির স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত।