Tag Archives: Shyampur

Howrah News: শ্যামপুরের এই পাঠশালায় ছোটরা শিখছে সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচার উপায়

হাওড়া: বর্তমান সময়ে কর্মসংস্থান থেকে লেখাপড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান স্মার্টফোনের। এই ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র মুঠোফোন বা কম্পিউটার ল্যাপটপে সব মুশকিল আসান। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাইজেশন। খুব সহজে অধিক জ্ঞান সঞ্চয় করতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমস্ত বয়সের মানুষ এই ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হচ্ছে। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতারকদের জালে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়েন একাংশের মানুষ। বয়স্ক বা অল্প শিক্ষার কারণে এ সমস্যার প্রবণতা বেশি থাকলেও। প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়নি ছাত্র-ছাত্রীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ছাত্র-ছাত্রী। এমন ঘটনা বহু, তাই সেইদিক গুরুত্ব রেখে বিশেষ কর্মশালা।

আরও পড়ুন: বিদেশে এক্সপোর্ট এখন আরও সহজ ভারতীয় ডাক বিভাগ চালু করল এই পরিষেবা

এই মুঠোফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বড়সড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার দুর্নীতি। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কখনও বা ভুয়ো ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নিত্যদিন ঘটে চলা এমনই বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে সাধারণ ছাত্র-যুবকে সচেতন করতে এগিয়ে এল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের শ্যামপুর থানা। শ্যামপুর থানার উদ্যোগে শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল ‘সাইবার পাঠশালা’ শীর্ষক সচেতনতা মূলক কর্মসূচি। এদিন ছাত্রছাত্রীদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সাইবার সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শ্যামপুর থানার পুলিশ কর্তারা। পাশাপাশি, পড়ুয়ারাও তাদের নানা প্রশ্ন রাখে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: নদীকে আঁকড়েই জীবন জীবিকা! এভাবেই দিন চলে শ্যামপুরের মানুষের

হাওড়া: নদীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নিবিড়, বর্ষায় নদী জলে পুষ্ট হলে আর পাঁচটা মানুষ কাছে যেতে ভয় পেলেও সে সময় নদীকে আরও আঁকড়ে ধরে ওরা। নদী ওদের মা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান যোগান দেয় নদী। দিন কিবা রাত। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে নদীর উপর ভর করেই চলে বুদ্ধদেব ঝোড়োদের সংসার। নদীর বুকে মীন ধরে দিন গুজরান গ্রামের কয়েকশ পুরুষ-মহিলা। ভরা বর্ষা আর শ্রাবণের ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দামাল রূপনারায়ণের সঙ্গে লড়াই করে দিনান্তের আহার জুগিয়ে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরের গোপীনাথপুর, আন্টিলাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশো মানুষ।

আরও পড়ুন: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়

প্রতিদিন কাক ভোরে উঠে যা নিয়ে বের হওয়া। রহস্যময় রূপনারায়ণ নদের পাড় ধরে মীন ধরা। নদের পাড় বরাবর দুই -তিন কিঃমিঃ যাতায়াত করে ৩-৪ ঘন্টা চিংড়ির মীন ধরে আবার ঘরে ফেরে। আবারও বিকেল থেকে শুরু করে রাত্রি ৮ পর্যন্ত একই ভাবে ধরে মীন। মীন কিনতে গ্রামে পাইকার আসে রাতের দিকে। আমদানি কম হলে দাম একটু বেশি হয়, তখন এক টাকা পিস। আবার বেশী ধরা হলে ২৫ পয়সা পিস। কোনও কোনও দিন আবার জালে মীন পড়েই না। সে দিন এক বেলার খাবার দু’বেলা ভাগ করে খেতে হয় তাদের। সংসার চালাতে পরিবারের স্বামী,স্ত্রী উভয়কে হাতে নিতে হয়েছে মীন ধরার জাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবারের পুরুষ মহিলা মিলে সর্ব সাকুল্যে ৩০০ – ৪০০ টাকা আয়। যা দিয়ে এই চড়া দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে দিন চালানো বড় দায়। কোনও মতে দিন এনে দিন খাওয়া। তবু মীন ধরে দিন চলে যায় হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের কয়েকশো মানুষের।

রাকেশ মাইতি