Tag Archives: Sreerampore

Lok Sabha Election 2024: শ্রীরামপুর লোকসভায় এসে সন্দেশখালির মহিলাদের চোখে জল! রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত

রাহী হালদার, হুগলি: হুগলির শ্রীরামপুরে সন্দেশখালির ৫ নির্যাতিতা। নিজেদের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সন্দেশখালির এক মহিলা। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের সব ক্ষোভ, রাগ, উষ্মা সব উগরে দিলেন মহিলারা। সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি পার্টি অফিসে কান্নায় ভাসালেন তাঁরা।সোমবার দুপুরে শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বসুর সমর্থনে শ্রীরামপুরে প্রচারে আসেন সন্দেশখালির ৫ জন নির্যাতিতা।

সেখানেই ডানকুনির বিজেপি কার্যালয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদেরই মধ্যে কয়েকজন মহিলা। কীভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তাঁদের উপর নির্যাতন ঘটেছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁরা। বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের মধ্যে এক মহিলা অনিতা সর্দারকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের তিন পুরুষের ভিটেবাড়ির জমি কীভাবে শাহজাহান বাহিনী দখল করে রেখেছিল। তিনি বলেন  সন্দেশখালির সবকিছুই হয় শাহজাহানের কথায়। তাঁরা কেউ বিজেপিকে সমর্থন করেন না বলেই দাবি। তাঁরা সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ হিসেবেই তাঁরা সেখানে গিয়েছেন বলে দাবি।

এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বসু বলেন, ‘‘শুধুমাত্র শ্রীরামপুর লোকসভা নয়, গোটা বাংলায় এই মহিলাদের চোখের জলের কান্নার প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে শ্রীরামপুর লোকসভায় নিজের মেয়ের চোখের জলের কথা বলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের চোখের জলের মাহাত্ম্য নেই? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও একের পর এক সংসার ভেঙে চলেছেন। এর হিসাব মানুষ বুঝিয়ে দেবে ভোটের ফলাফলে।’’ ক্ষোভ উগরে দিলেন কবীর শঙ্কর বসু।

আরও পড়ুন : অতি প্রাচীন এই শীতলা মন্দিরে বৈশাখের শেষ সপ্তাহে ভক্ত সমাগম

অন্যদিকে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যে মিথ্যা সাজানো ঘটনা সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে ভিডিও থেকে। এখানেও যাঁদের আনা হয়েছে তাঁদেরও মনে হয় সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’’ এর পিছনে কোন আইনি পরামর্শদাতার কাজ রয়েছে বলে অনুমান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এঁদের পিছন থেকে কারা মদত দিচ্ছে তাদেরই খুঁজে বার করবেন বলে এমনটা জানিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ।

Ratha Yatra 2024: মাহেশের রথযাত্রা এখনও অনেক দেরি, অক্ষয় তৃতীয়াতে হয়ে গেল চন্দন যাত্রা, কী সেই সনাতন রীতি

হুগলি:  হুগলির মাহেশর জগন্নাথ মন্দিরে রথ যাত্রার শুভ আরম্ভ হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে চন্দন যাত্রার মাধ্যমে। কথিত আছে এই দিনেই নাকি জগন্নাথ দেব রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে স্বপ্ন দিয়েছিলেন তার সারা গায়ে চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার জন্য। সেই থেকেই প্রতি বছর এই দিনে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এর মতন হুগলির মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাকে কপালে চন্দনের পট্টি পড়ানো হয়।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে জগন্নাথ দেব স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাকে চন্দন প্রলেপ দিতে বলা হয়। এর ঠিক ৪২ দিন বাদে রাজার কাছে আবার স্বপ্ন আসে যেখানে ঠাকুর বলেন চন্দনের জন্য তার মাথা ধরে গেছে তাই তাকে স্নান করাতে হবে।

আরও পড়ুন – Tarapith Mandir: তারাপীঠে তারা মা-র মন্দিরে বড়সড় রদবদল, একাধিক মন্দির এখন নতুন জায়গায়, ভক্তরা আকূল

ঠাকুরের আদেশ অনুযায়ী রাজা ১০৮ টি কলসির জল দিয়ে জগন্নাথ দেবকে স্নান করান। সেই থেকেই চন্দন যাত্রার ৪৫ দিন বাদে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন হয়। এই স্নান এর পরে ঠাকুরের নাকি খুব জ্বর আসে। তাই জন্য স্নান যাত্রার পরে ১২ দিনের জন্য ঠাকুরকে গর্ভগৃহে নিভৃত বাসে রাখা হয়। ১২ দিনের মধ্যে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে ওঠেন তারপর তাকে নিয়ে রথযাত্রা শুরু হয়।

মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকাল থেকেই মানুষজন ভিড় করেছিলেন চন্দন উৎসব দেখার জন্য কপালে চন্দনের প্রলেপ পড়ানোর জন্য এলাকার স্থানীয় মহিলারা আগের দিন রাত থেকেই চন্দন বাটতে শুরু করে দেয়। চন্দন বাটা হয়ে গেলে সেই চন্দনকে একটি বিশেষ কাপড়ের চুবিয়ে রাখা হয়। ও সেই কাপড়ের পট্টিটি চন্দন যাত্রা দিন জগন্নাথ দেবের কপালে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠান শেষে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, উৎসব আজ থেকে শুরু হল চন্দন যাত্রা উৎসব। আজকের পর থেকে টানা ৪২ দিন ধরে চলবে চন্দনযাত্রা উৎসব। বলা হয় এই দিন থেকেই রথযাত্রা আরম্ভ হয়। তিনি আরওবলেন অবশেষে চন্দন যাত্রার মধ্যে হয় মাহেশের রথের শুভ আরম্ভ হল। আজ থেকে ঠিক ৪৭ দিন বাদে মহেশের রথের চাকা গড়াবে।

আবার ভক্তবৃন্দদের ঢল নামবে মহাপ্রভু জগন্নাথ এর রথের টান দেওয়ার জন্য। আজ থেকে শুরু হয় পুরীতে জগন্নাথ দেবের রথ তৈরির কাজ,আর মাহেশে সূচনা হয় চন্দন যাত্রা উৎসবের। আজ থেকে আগামী ৪২ দিন ধরে চলবে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লেপন। তারপর হবে স্নান যাত্রা উৎসব। বলা যায় চন্দন যাত্রা দিয়ে আজ থেকে মাহেশে রথযাত্রারও সূচনা হয়ে গেল।চন্দন যাত্রায় মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকে ভক্তদের ভীর।মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার খোলার পর শুরু হয় চন্দন যাত্রা উৎসব।

মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত জগন্নাথ মন্দির সেবা ট্রাস্টের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান,অক্ষয় তৃতীয় হল একটি অত্যন্ত শুভ দিন।বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের আবির্ভাব দিবস।অক্ষয় তৃতীয়াতেই জগন্নাথের চন্দন যাত্রা উৎসব হয়। ৬২৮ বছর ধরে দারু কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে।কোনো ক্ষয় নেই।এটাই মাহেশ জগন্নাথের মাহাত্ম্য।

Rahi Halder