প্রযুক্তি মধ্যবিত্তের স্বপ্নের গাড়ি, সেই টাটা ন্যানো এখন পাওয়া যায়? দাম কত? বহু মানুষ জানেন না Gallery October 19, 2024 Bangla Digital Desk দিন কয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা। টেটলি টি থেকে শুরু করে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং এয়ার ইন্ডিয়া পর্যন্ত নিজের বাকেট লিস্টে থাকা প্রত্যেকটি স্বপ্নই পূরণ করেছেন তিনি। যদিও তাঁর একটা স্বপ্ন একপ্রকার অসম্পূর্ণই থেকে গেল। আর সেটা হল – তাঁর প্রিয় ছোট গাড়ি Tata Nano-র ইলেকট্রিক ভার্সন। আসলে মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বাজারে আনা হয়েছিল Tata Nano। আর গ্রাহকদের মধ্যে তা জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিল রতন টাটার অত্যন্ত পছন্দের এই গাড়িটি। এর অন্যতম কারণ হল – Tata Nano-র কম্প্যাক্ট সাইজ এবং এর ফুয়েল এফিশিয়েন্সি। যদিও এই গাড়ির উৎপাদন অবশ্য বর্তমানে বন্ধ। তবে চাইলে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বাজার থেকে কেনা যেতে পারে এই গাড়িটি। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই গাড়িটির নাম আর Tata Nano নেই। বরং তা পাল্টে গিয়েছে। Tata Nano-র ফিচারে এসেছে বড়সড় পরিবর্তন। আসলে এই গাড়িতে এখন আর নেই ইঞ্জিন। বরং তা এখন চলে ব্যাটারিতে। অর্থাৎ বৈদ্যুতিক হয়েছে Tata Nano। আর এখন তাই এর নাম বদলে হয়েছে Jayem Neo (Tata Nano EV)। আসলে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরের Jayem Automotives (Jayem Auto)-র এই গাড়ি তৈরি করার কথা ছিল। প্রায় ৪০০টি গাড়ি বাজারেও এসেছিল। তবে প্রাথমিক ভাবে কোভিড অতিমারী এবং নতুন ক্র্যাশ নিয়মের জেরে তা আটকে গিয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, Ola-র জন্য ২০১৮ সাল নাগাদ ৪০০টি Jayem Neo (Tata Nano EV) বানিয়ে দিয়েছিল ওই সংস্থা। Jayem Neo (Tata Nano EV)-র কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার?ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, Jayem Neo (Tata Nano EV) গাড়িতে রয়েছে ঘণ্টা প্রতি ১৭ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি প্যাক। সেই সঙ্গে এমন একটি বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, যেটি সব মিলিয়ে ২৭ অশ্বশক্তি এবং ৬৮ এনএম টর্ক তৈরি করতে সক্ষম। ফুল চার্জ থাকা অবস্থায় এই গাড়িটি দিতে পারে ১৩০ কিলোমিটার রেঞ্জ। কিন্তু এই গাড়িটির দাম কত রাখা হয়েছে? সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বাজারে Tata Nano EV-র দাম ধার্য করা হয়েছে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে এই সেগমেন্টে অন্যান্য যে ইলেকট্রিক ভেহিকেল রয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, Jayem Neo (Tata Nano EV)-র দাম অনেকটাই কম। তবে হ্যাঁ, বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কিছু জরুরি বিষয় মাথায় রাখাও আবশ্যক। আসলে এই ধরনের গাড়ি কেনার আগে গাড়ির ব্যাটারি, ফ্লুইড, ব্রেক, সাসপেনশন এবং বৈদ্যুতিক মোটরের মতো যন্ত্রাংশগুলি পরখ করে নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে গ্যারান্টির মেয়াদের মতো বিষয়ও দেখে নিতে হবে।
দেশ দিদার হাতেই মানুষ…, মধ্যবিত্তের জন্য একটি ‘চারচাকার গাড়ি’! এক ‘অধরা’ স্বপ্ন পূরণ! আর…? চমকে দেবে রতন টাটার অজানা গল্প Gallery October 10, 2024 Bangla Digital Desk ভারতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পপতি রতন টাটা বুধবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এমেরিটাস রতন টাটা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক জগতে তাঁর বিপুল বিশাল অবদানের জন্যই যে পরিচিত ছিলেন রতন টাটা, তা নয়, তাঁর জনহিতকর কাজের জন্যও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন বার বার। রতন নেভাল টাটা ছিলেন টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজি টাটার প্রপৌত্র। ১৯৩৭ এর ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইতে নেভাল টাটা এবং সুনি টাটার পরিবারে তাঁর জীবন শুরু। ১৯৪৮ সালে বাবা-মা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর দিদা নওয়াজবাই টাটাই বড় করেছিলেন রতন টাটাকে। রতন টাটার জীবনে ঘটেছে এমন কিছু ঘটনা যা নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতোই। জানলে অবাক হবেন বিয়ের প্রায় সব ঠিক হয়ে থাকা সত্ত্বেও সাত পাকে বাঁধা পড়েননি রতন টাটা। রতন টাটা একবার স্বীকার করেছিলেন তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময়ই এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ পরিণতি পায়নি সেই প্রেম। কিন্তু সেইসময় ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে, মেয়েটির বাবা-মা সেইসময় মেয়েকে ভারতে আসতে দেয়নি। রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা স্টিলের দোকানে কাজের মধ্যে দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সেদিনের সেই অভিজ্ঞতাই পরবর্তী জীবনে তাঁর ভবিষ্যত নেতৃত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এরপর রতন টাটা ১৯৯১ সালে অটো-টু-স্টিল কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রপিতামহ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি দেখাশোনা করেন। রতন টাটা এমন সময়ে টাটা গ্রুপের পুনর্গঠন শুরু করেছিলেন যখন ভারতীয় অর্থনীতি উদারীকরণ প্রক্রিয়া চলছিল। টাটা ন্যানো এবং টাটা ইন্ডিকার মতো জনপ্রিয় গাড়িগুলির ব্যবসা সম্প্রসারণে সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রতন টাটা। ২০০৪ সালে রতন টাটা টাটা টি-কে টেটলি, টাটা মোটরস জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং টাটা স্টিল কোরাস অধিগ্রহণে সহায়তা করেছিলেন। ২০০৯ সালে, রতন টাটা তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন এবং মধ্যবিত্তের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা গাড়িটি অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলেন এই বিশিষ্ট শিল্পপতি। বাজারে আসে টাটা ন্যানো, যার দাম ছিল মাত্র ₹১ লক্ষ টাকা। উদ্ভাবন এবং ক্রয়ক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে এই গাড়ি। অবসর গ্রহণের পর, রতন টাটাকে টাটা সন্স, টাটা ইন্ডাস্ট্রিজ, টাটা মোটরস, টাটা স্টিল এবং টাটা কেমিক্যালসের চেয়ারম্যান হিসেবে ইমেরিটাস উপাধি দেওয়া হয়। আজ তাঁর প্রয়াণে শিল্প ও বাণিজ্য জগতে এক স্বপ্নদ্রষ্টার জীবনাবসান যাঁর কথা বার বার জড়িয়ে থাকবে ভারতবর্ষের উৎকর্ষতার অগ্রগতির ইতিহাসে।