ত্রিপুরায় এবার কী হতে চলেছে?

Tripura Lok Sabha Elections 2024: ‘এবার আইয়া পড়তাসি’, ১১ আসনেই কড়া নজর! লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা: যুবদের ছাড়া দেশ ও রাজ্য শক্তিশালী হবে না এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। দেশ ও রাজ্যের অন্যতম শক্তি হচ্ছে যুব সম্প্রদায়। তাদের ছাড়া দেশ ও রাজ্য এগিয়ে যাবে না। তারা শক্তিশালী হলে দেশ ও রাজ্য শক্তিশালী হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সবসময় যুব শক্তিকে অগ্রাধিকার দেন। আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী কংগ্রেস সিপিএম ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। আগরতলায় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন যুব মোর্চার উদ্যোগে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন চত্বর থেকে  মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে প্যারাডাইস চৌমুহনিতে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের খোলা ‘দরজা’ দিয়ে ঢুকে পড়লেন বিজেপি নেতা! এই কেন্দ্র ‘বড়’ সাফল্য শাসক দলের

পরে প্যারাডাইস চৌমুহনিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেন আমাদের দেশের লোকসংখ্যার ৬৫ শতাংশ হচ্ছে যুব সম্প্রদায়। পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় গেলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে যুব শক্তি। আজকেও ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবরা এসে এই বিশাল সমাবেশে জড়ো হয়েছে। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। ত্রিপুরায় আগে আমরা আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি প্রত্যক্ষ করেছি। আর নির্বাচন আসলে তো কথাই নেই। বিরোধীদের দমিয়ে রাখার জন্য খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করা হত। নির্বাচনের পর অনেকের রাজ্য ছেড়েও পালিয়ে যেতে হত। কিন্তু এখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। গত বছর ২৮টি প্রদেশের মধ্যে নীচের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে ছিল। আর এখন তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির কারণে।

আরও পড়ুন: ইডি হেফাজতেই বড় কাণ্ড ঘটালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তুমুল শোরগোল, শুনলে চমকে উঠবেন!

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, সমাজের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু করেছেন। সেই দিশায় রাজ্য সরকারও প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন সমস্ত বেনিফিসিয়ারিদের কাছে জনমুখী প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দিতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্যেও বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার প্রচার গাড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেগুলি রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের কাছে মৌলিক সুবিধাগুলি পৌঁছে দিতে কাজ করছে এই সরকার।”

মানিক সাহা বলেন, ”২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরার ইতিহাসে কখনো হয় নি। কোনরকম অঘটন বা গণ্ডগোল ছাড়া এত শান্তিপূর্ন নির্বাচন কখনো হয় নি রাজ্যে। আর সেটাই আমরা করে দেখিয়েছি। এদিন কংগ্রেস ও সিপিএমের অশুভ জোট নিয়ে আবারও তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই তারা প্রচার শুরু করে দেয় যে ‘এবার আইয়া পড়তাসি’ বলে। ২০২৩ নির্বাচনেও সেটা হয়েছে। আমাদের মধ্যেও অনেকে এতে প্রভাবিত হয়েছিলেন। কিন্তু মানুষই ভারতীয় জনতা পার্টিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। পরবর্তী সময়ে ধনপুর ও বক্সনগর উপনির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। বক্সনগরে ৩০ হাজারের অধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী। এমনকি বিরোধীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আমাদের নীতি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভারতীয় জনতা পার্টি সঠিক দিশায় চলছে। আগে আমাদের আইপিএফটির সঙ্গে জোট ছিল। আর এখন আমাদের সাথে এসেছে তিপরা মথা। কারণ সবাই বুঝে গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া দেশকে কেউ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ২০১৪’র আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ ক্রমশ উন্নতির দিশায় এগিয়ে চলছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে।