আগরতলা: শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে সরকার। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ বছর পর দেশে চালু হয়েছে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা জাতীয় শিক্ষা নীতি। এই পলিসি চালু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা প্রভূত উপকৃত হবেন। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বীর বিক্রম মেমোরিয়াল কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসবের সূচনা করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় সেই রাজ্যকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। মডেল গুজরাত করে দেখিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দেশকে উন্নতির দিশায় নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নেও অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশাত্মবোধের ভাবনা জাগিয়ে তুলতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। জানার আগ্রহ বাড়াতে হবে। এখনও বইয়ের মধ্যে যে বিষয় রয়েছে সেটা কোথাও পাওয়া যায় না। তাই আরও পড়তে হবে। সমস্যার উত্তরণ থেকেই মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদান মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষকরা ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন, সেটা অনুধাবন করতে হবে তাঁদের। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাঁদের উপরই নির্ভর করছে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন।

আরও পড়ুন, বেনজির ছবি! সংসদের দুই কক্ষের ৯২ জন বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড

আরও পড়ুন, মহুয়া মৈত্রকে কি আর প্রার্থী করবে না তৃণমূল? সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা! বড় বার্তা

মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বলছেন পৃথিবীটা আগামীতে তাদের হাতে থাকবে যাদের জ্ঞান আছে। কারণ জ্ঞান ছাড়া কিছুই হবে না। তাই যত বেশি পড়াশুনা করা যায় ততোই মানুষের মনের গভীরে অন্তর্নিহিত প্রতিভার বিকাশ সম্ভব। শুধুমাত্র প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলেই জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে। এক্ষেত্রে মহাবিদ্যালয় বা কলেজ সেই শিক্ষার পূর্ণতা লাভ করার সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যের কোন না কোন প্রতিভা রয়েছে। সেই প্রতিভার বিকাশ একমাত্র সঠিক শিক্ষা লাভ করতে পারলেই সক্ষম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমিই সেরা- এই ভাবনা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

পড়াশোনা থেকে শুরু করে খেলাধুলা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এই ভাবনা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান রাজ্য সরকার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশে চালু হয়েছে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি। আর এতে ছাত্র সমাজ উপকৃত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে পাঠদানের ক্ষেত্রে গতানুতিকতা থেকে বেরিয়ে সময়ের সাথে সাযুজ্য রেখে পাঠদান করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান তিনি।

আগরতলা: শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার।  এমবিবি কলেজে বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ ও গন্ডাতুইসা কলেজে মহিলা হোস্টেল নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুমোদন। রাজ্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে অন্যতম অগ্রাধিকার দেওয়ার এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এই দুই ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এমবিবি কলেজের বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ ও গন্ডাতুইসা সরকারি ডিগ্রি কলেজে মহিলা হোস্টেল নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুমোদন পাওয়া গেল। এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানিয়েছেন, রাজ্যের অন্যতম প্রধান ডিগ্রি কলেজ এমবিবি কলেজে জি+ ৪ তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় সহায়তার অধীনে ৭৭.১৫  কোটি টাকার আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই উদ্যোগের কারণে এমবিবি কলেজে পাঠরত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: শিবরাজ নন, মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহন যাদব… মধ্যপ্রদেশে বিরাট চমক বিজেপির!

আরও পড়ুন: ‘৩৭০ একটি কলঙ্ক ছিল…’ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গন্ডাতুইসা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৫০ আসন বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিল(NEC) অনুমোদিত ধলাই জেলার গন্ডাতুইসা ডিগ্রি কলেজে একটি ৫০ আসনের মহিলা হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৪.৬০ কোটি টাকার আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার আগরতলার মাস্টার পাড়ায় একটি নতুন স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষা এবং চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তুলতে আগরতলার সায়েন্স সিটিতে একটি সায়েন্স পার্ক, থিম-ভিত্তিক গ্যালারি এবং প্ল্যানেটোরিয়াম স্থাপনের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে৷পাশা পাশি ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা। বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পর্ষদের ৩৭তম কার্যকরি কমিটির সভায় এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। যেখানে নতুন উদ্যোগসমূহ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, সাধারণ জনগণের প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনা করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। রাজ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে আরও কী কী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, সেই বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং পরিবেশ দফতর বিভিন্ন কাজকর্ম পরিকল্পনা তৈরি করার পাশাপাশি উন্নয়ন কাজের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনেও উদ্যোগ নিতে হবে। এর ফলে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ তরান্বিত হওয়ার পাশাপশি কাঙ্খিত সাফল্যের হারও বাড়বে।

সভায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং পরিবেশ দফতরের অধিকর্তা অনিমেষ দাস আগরতলার সায়েন্স সিটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সভায় অবহিত করেন। তিনি জানান, নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের অর্থনাকুল্যে আগরতলার সায়েন্স সিটিতে সায়েন্স পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ১০.২৯ কোটি টাকা মঞ্জুরী পাওয়া গেছে। সায়েন্স সিটিতে থিম ভিত্তিক গ্যালারী এবং প্ল্যানেটরিয়ামও গড়ে তোলা হবে। এরজন্য ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক ৪০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। সুকান্ত একাডেমীর আধুনিকীকরণ ও উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া ইনোভেশন হাব এবং উদয়পুরে সায়েন্স সেন্টার খোলা হয়েছে বলে অধিকর্তা সভায় জানান।

আরও পড়ুন: উদ্ধার হওয়া শ্রমিক, উদ্ধারকারীদের ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার!ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

আরও পড়ুন: প্রথমে গ্রাহকের জুতো চুরি, তারপর গভীর রাতে ফ্ল্যাটে হানা, খোদ রাজধানীতেই কাঠগড়ায় ডেলিভারি এজেন্ট

তিনি আরও জানান, জলের ফিল্টারের ক্যান্ডেল উৎপাদনের জন্য চড়িলাম ব্লকের চেসরিমাইতে কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। চড়িলাম ও কিল্লা ব্লকে কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টারের মাধ্যমে মহিলাদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ ও ক্ষমতায়ণের লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরা স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারকে শক্তিশালী করে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও সভায় অধিকর্তা উল্লেখ করেন।

সভায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের অধিকর্তা অনিমেষ দাস ত্রিপুরা রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পর্ষদের চলতি কর্মসূচি সমূহের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি পর্ষদের গত কার্যকরী কমিটির সভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সভাকে অবহিত করেন। তিনি জানান, রাজ্যে গতবছর ‘মিট দ্যা সায়েন্টিস্ট’ কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। আগরতলার সায়েন্স সিটির প্রবেশ মুখের সৌন্দর্য্যায়নের কাজ চলছে। চড়িলাম ব্লকের চেসরিমাই-এর কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টারে ৫টি প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। সুবিধাভোগীদের মধ্যে জলের ফিল্টার বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া সভায় ত্রিপুরা রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পর্ষদের প্রধান প্রকল্পগুলি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আগরতলা: নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে রাজ্যে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে। সমাজকে ধ্বংসের পথে নেওয়া এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নেশা বা মাদক দ্রব্যের উৎস বা সাপ্লাই চেন পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই দিশা নিয়েই কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া বিকেআই দ্বাদশ স্কুলের মাঠে আয়োজিত নেশামুক্ত সুপার লিগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, নেশার বিরুদ্ধে অভিযান জারি রেখেছে আরক্ষা দফরত। রাজ্যের চুরাইবাড়ি, ধর্মনগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত পুলিশের অভিযানে প্রচুর পরিমাণ নেশাদ্রব্য ধরা পড়ছে। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭০ সালে এই মাঠে স্কুল গেমসে প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। আবার অনেক বছর পর এই মাঠে এসেছি। খেলা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। তাই খেলতে হবে। খেলার মাধ্যমেই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল থাকা যায়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও খেলার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বলেন, নেশা আমাদের সর্বনাশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সবসময় নেশামুক্ত ভারত গড়ে তুলতে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নেশার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করার উপর জোর দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফে নেশার বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে যা যা কাজ করার সেটা করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা হিসেবে দক্ষিণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেশামুক্ত সুপার লিগ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। এই জন্য জেলাশাসককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই টুর্নামেন্টে ৮টি ব্লক, ২টি পুর পরিষদ ও ১টি নগর পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন দল অংশ গ্রহণ করেছে। প্রায় ২৮টি লিগ ম্যাচ এই টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত হবে। যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দু’টি সেমি ফাইন্যাল ও একটি ফাইন্যাল ম্যাচ হবে। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টে বেশকিছু নিয়ম রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “নেশার দরুণ নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি-সহ পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। দু’থেকে তিন প্রজন্ম নেশার কবলে পরে শেষ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের ছেলেমেয়েদের নেশা থেকে বাঁচাতে অভিভাবকরা ছুটে আসেন।”

আরও পড়ুন, অসুস্থ শয়ে শয়ে শিশু, করোনার মতোই বিপদ ডেকে আনবে চিনের নতুন ভাইরাস?

আরও পড়ুন, পাইপে আটকে অগার মেশিন, আনা হল প্লাজমা কাটার! জটিল হচ্ছে উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ?

মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানুষকে নেশা থেকে বিরত রাখতে এ বারের বাজেটে রাজ্যের ৮টি জেলায় নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আর্থিক সংস্থান রাখা হয়েছে। নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা এবং ধ্বংস করার দিক থেকে ত্রিপুরা অন্যতম স্থানে রয়েছে। ত্রিপুরাকে করিডোর বানিয়ে মায়ানমার, মিজোরাম হয়ে আসা নেশাদ্রব্য বাংলাদেশে যায়। কিন্তু মাঝপথে ত্রিপুরার ছেলেমেয়েরা নেশায় আসক্ত হয়ে যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মানব শরীরের শিরাপথে ইনজেকশন দিয়ে নেশাদ্রব্য গ্রহণের বিষয়ে ব্যাপক উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, শিরাপথে ইনজেকশন দিয়ে নেশাদ্রব্য নেওয়ার ফলে এইডস রোগী এবং হেপাটাইটিসের মতো রোগ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।