*উত্তরে জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। রোদের দেখা তো খুব সহজে মিলছেও না। তাতে আর যাই হোক স্নানের ক্ষেত্রে বেজায় সমস্যায় পড়েছে সকলে। গায়ে জল লাগলেই ছ্যাক করে উঠছে বলে এ সময় অনেকেই রোজ স্নানের বালাই রাখেন না। প্রতিবেদনঃ সুরজিৎ দে। ফাইল ছবি।*সপ্তাহে দু-এক দিনেই সারেন সেই পালা। তবে বিশেষজ্ঞরা শীতে রোজ স্নানের ব্যাপারে বিশেষ জোর দিচ্ছেন। কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক। ফাইল ছবি।*জলপাইগুড়ি শহরের বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ান ড: শিলাদিত্য ভাদুড়ি জানান, ’হার্ট, হাড়, ফুসফুস, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, অনিদ্রার সমস্যায় আরাম দেয় শীতকালীন উষ্ণ জলের স্নান। শীতে রাতের স্নান এড়িয়ে সকালে ভাল করে গরম জলে স্নান সেরে নিলে সারাদিনটা থাকবে তরতাজা। ফাইল ছবি।*শীতে আবহাওয়া এমনিতেই রুক্ষ, শুষ্ক থাকে। মানবদেহেও সেই রুক্ষতা টের পাওয়া যায় হাড়ে হাড়ে। যদি এই ঠান্ডায় কেউ অনিয়মিত স্নান করেন বা জল কম খান, তখন শরীর আরও শুকিয়ে যায়। তা থেকে শুরু হয় নানান শারীরিক গোলযোগ। ফাইল ছবি।*শুষ্কতার কারণে নানারকম ত্বকের সংক্রমণ দেখা যায় এই শীতকালেই। পেট গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চোখের সমস্যাও দেখা দেয়। চোখ চুলকানি, চোখ থেকে জল পড়া ইত্যাদি। তাই রোজ স্নান করে, পরিমিত জল পান করে ত্বককে আর্দ্র রাখা জরুরি। ফাইল ছবি।*শীত থেকে বাঁচতে আমরা শীতের গরম পোশাক ব্যবহার করি। কেউ কেউ আবার একটু বেশিই চাপিয়ে ফেলেন গায়ে। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ করতে পারে। তাই শরীরের ভেতরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার জন্য রোজ স্নান করাটা অত্যন্ত জরুরি। ফাইল ছবি।
*শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা কয়েকদিন পাননি সূর্যের দেখা। এমন সময় গরম জলে স্নানে হতে পারে ক্ষতি।*শীত কাতুরে আর ঠান্ডাজনিত কারণে স্নান বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে স্নানের কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম জলে আস্থা অনেকেরই। তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই।*গরম জলে নিয়মিত স্নান ত্বকের ফলিকল নষ্ট করে দেয়। জল উষ্ণ গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম জলের ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।*যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের গরম জল দিয়ে স্নান করা ঝুঁকিপূর্ণ। গরম জল কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম জল দিয়ে স্নান করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।*মাথায় অতিরিক্ত গরম জলের ব্যবহারের ফলে মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়। রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।*অতিরিক্ত গরমও নয়, আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে হালকা উষ্ণ গরম জলে স্নান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশির উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
হঠাৎ করেই তেড়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে! আর পারদ যত কমছে তত বাড়ছে কাঁপুনি! এই অবস্থায় অনেকেই রোজ স্নান করতে চান না! সেক্ষেত্রে বলা হয় রোজ স্নান না করলে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে! কিন্তু চিকিৎসকরা কী বলছেন? তাদের মতেও কী রোজ স্নান করা উচিত? জানুন photo source collected বিভিন্ন গবেষণায় গবেষকরা দাবি করেছেন যে শীতকালে ঠান্ডা পড়বেই! তাই বলে স্নান বন্ধ করে দেওয়াটা কিন্তু সঠিক কাজ নয়! বরং পাল্টে ফেলা যায় স্নানের নিয়ম! রোজ কী স্নান করতেই হবে? photo source collectedসে বিষয়ে গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন স্নান করতেই হবে না হলে নানা অসুখ হতে পারে! এ যুক্তি ঠিক নয়! শীতকালে রোজ স্নান না করলে শরীরের তেমন ক্ষতি হয় না! এই যেমন পেট গরম, হজমে সমস্যা এসব কিন্তু হয় না! বরং আপনি শীতে একদিন অন্তর স্নান করতেই পারেন! photo source collectedতাই বলে টানা সাতদিন স্নান না করে বসে থাকবেন না! এতে ত্বকে নানা ব্যাকটেরিয়া আংক্রমণ হতে পারে! একদিন বা দুদিন ছাড়া স্নান করলেও শরীর সুস্থ থাকবে! খুব শীতে দু’দিন স্নান করার বদলে গা হাতপা মুছে নিলেও কোনও সমস্যা হবে না! photo source collectedগবেষকদের মত অনুযায়ী খুব শীতে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন স্নান করলেই যথেষ্ট। রোজ স্নান না করলেও চলবে! তবে চেষ্টা করবেন হাত মুখ ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার! সেই সঙ্গে ঠান্ডা জল বা একদম গরম জলে স্নান করবেন না! photo source collectedঠান্ডা জলে স্নান করলে নানা রকম কষ্ট হতে পারে! তাই সব সময় ঠান্ডা গরম জল মিশিয়ে স্নান করুন! এই সময় বয়স্কদের দুপুরে স্নান করান। বাচ্চাদেরও! ভাল করে গা মুছে দেবেন। দুপুরে সামান্য হলেও তাপমাত্রা বেশি থাকে। এই সময়ে স্নান করলে শরীর সুস্থ থাকবে। photo source collected শীতে তেল মাখতেই পারেন! স্নান করার আগেই মাখবেন! সরষের তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন! তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের তেল মাখার দরকার নেই! নয়ত ব্রণ হতে পারে! তেলও একদিন ছাড়া একদিন মাখুন! photo source collected