ইয়েস ব্যাঙ্ক বা ICICI ব্যাঙ্কে কি আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে ? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বড় খবর ৷ দুই ব্যাঙ্ক সম্প্রতি তাদের সার্ভিস চার্জে বেশ কিছু বদল করেছে যা ১ মে থেকে লাগু করা হবে ৷ এই বদলের পাশাপাশি দুই ব্যাঙ্ক বেশ কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ঘোষণা করেছে ৷
ইয়েস ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক তাদের বিভিন্ন সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম অ্যাভারেজ ব্যালেন্স (AMB) রিভাইজ করতে চলেছে ৷ সেভিংস অ্যাকাউন্ট প্রি ম্যাক্সের জন্য ৫০ হাজার টাকার AMB-র দরকার পড়বে, অধিকতম চার্জ ১০০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে ৷ সেভিংস অ্যাকাউন্ট প্রি প্লাস, Yes Essence সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ও Yes Respect সেভিংস অ্যাকাউন্টের জন্য ২৫০০০ টাকা AMB-র দরকার পড়বে এবং অধিকতম চার্জ ৭৫০ টাকা রাখা হয়েছে ৷
সেভিংস অ্যাকাউন্ট প্রি-র জন্য ১০ হাজার টাকার AMB বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে , অধিকতম চার্জ ৭৫০ টাকা হবে ৷ সেভিংস ভ্যালু ও কিষান সেভিংস অ্যাকাউন্টের জন্য ৫০০০ টাকার AMB-র দরকার পড়বে ৷
এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে সেভিংস এক্সক্লুসিভ, ইয়েস সেভিংস সিলেক্ট ও স্পেশ্যাল কাস্টোমার সেগমেন্টের জন্য একাধিক অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সামিল রয়েছে ৷
ICICI Bank- ICICI Bank তাদের একাধিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় বদল করেছে ৷ এর মধ্যে মিনিমান মান্থলি অ্যাভারেজ ব্যালেন্স (MAB), ক্যাশ ট্রানজাকশন চার্জ, এটিএম ইন্টারচেঞ্জ ফি সামিল রয়েছে ৷
এছাড়া বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ এর মধ্যে রয়েছে Advantage Woman Savings Account, Asset Linked Savings Account, NRO Savings Account ৷
ICICI ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ডের বার্ষিক ফি ২০০ টাকা (গ্রামীণ এলাকায় ৯৯ টাকা ) । এক বছরে বিনামূল্যে ২৫টি চেক পাওয়া যায় ৷ ২৫ এর বেশি চেকের জন্য প্রত্যেক চেকে ৪ টাকা লাগবে ৷
ট্রানজাকশন ভ্যালুর উপর নির্ভর করে প্রতি লেনদেনে ২.৫০ থেকে ১৫ টাকা চার্জ নেওয়া হবে ৷
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক মঙ্গলবার বলেছে যে আরবিআই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক-সহ ছয়টি ঋণদাতার প্রতিটিতে ৯.৫ শতাংশ পর্যন্ত অংশীদারিত্ব অর্জনের জন্য গ্রুপকে অনুমোদন দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ এই অনুমোদন দিয়েছে।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক গ্রুপের অধীনে থাকা সংস্থাগুলি হল এইচডিএফসি মিউচুয়াল ফান্ড, এইচডিএফসি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, এইচডিএফসি ইআরজিও জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং অন্যান্য। HDFC ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ HDFC ব্যাঙ্কের RBI-এর কাছে করা আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক যে ছয়টি ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব অর্জন করতে চলেছে তা হল – অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, সূর্যোদয় স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, বন্ধন ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক। RBI-এর অনুমোদন ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরের জন্য বৈধ।
RBI নির্দেশ অনুসারে, HDFC ব্যাঙ্ককে নিশ্চিত করতে হবে যে ৬টি ব্যাঙ্কে মোট হোল্ডিং সমস্ত সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বা ভোটাধিকারের ৯.৫০ শতাংশের বেশি না হয়।
একই পরিপ্রেক্ষিতে, যখন HDFC ব্যাঙ্ক এই ব্যাঙ্কগুলিতে বিনিয়োগ করতে চায় না, যেহেতু এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক গ্রুপের “সমষ্টি হোল্ডিং” নির্ধারিত সীমা ৫ শতাংশ অতিক্রম করার সম্ভাবনা ছিল, এই বৃদ্ধির জন্য RBI-এর অনুমোদন চেয়ে একটি আবেদন বিনিয়োগ সীমা তৈরি করা হয়েছিল।
যেহেতু আরবিআই নির্দেশাবলী HDFC ব্যাঙ্কের উপর প্রযোজ্য, তাই ব্যাঙ্কটি গ্রুপের পক্ষে আরবিআই-এর কাছে আবেদন করেছে। RBI এও বাধ্যতামূলক করেছে যে গ্রুপটি অনুমোদনের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে সমস্ত ব্যাঙ্কে বড় শেয়ারহোল্ডিং অর্জন করবে, যা ছাড়া এটি বাতিল হয়ে যাবে।
ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন অনুসারে, ১০০ শতাংশ শেয়ার জনগণের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে এলআইসি ঋণদাতার ৪.৩৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে এবং এসবিআই-এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম (অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক ব্যাঙ্ক সহ) ৩৭.২৩ শতাংশ শেয়ার রাখে।
অন্য দিকে সূর্যোদয় স্মল ফিনান্সে গ্রুপটির কোনও অংশীদারিত্ব নেই।
RBI অনুমোদন ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯ অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখের ব্যাঙ্কিং কোম্পানিগুলিতে শেয়ার বা ভোটিং অধিকার অধিগ্রহণ এবং ধারণ করার বিষয়ে RBI-এর মূল নির্দেশিকা FEMA, Sebi প্রবিধান এবং অন্যান্য প্রবিধানের প্রাসঙ্গিক বিধানগুলির সঙ্গে সম্মতি সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকে।
অর্থনৈতিক সঙ্কটে ইয়েস ব্যাঙ্ক ৷ সঙ্কটের মুখে ব্যাঙ্কের আমানতকারীরাও ৷ আরবিআইয়ের নির্দেশে সীমিত হয়ে গিয়েছে লেনদেন ৷ টাকা তোলার ক্ষেত্রে রীতিমতো হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলা যেতে পারে ৷ আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না গ্রাহকেরা ৷ উদ্বিগ্ন কোটি কোটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক ৷ ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের উদ্বেগ ছুঁয়ে গিয়েছে এই তিন বছরের শিশু মনও ৷
ভিডিও থেকে জানা যায়, বাচ্চাটির নাম যুবান ৷ কোটি কোটি গ্রাহকদের মতো ইয়েস ব্যাঙ্কে আটকে রয়েছে যুবান ও তাঁর অভিভাবকেরও আমানত ৷ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না তুলতে পারলে কিভাবে চলবে মাস ৷ বাবা মায়ের চিন্তিত আলোচনা শুনে সমস্যা কোথায় বুঝতে দেরি হয়নি তিন বছরের খুদের ৷ সরল মনে সেই বাতলে দিয়েছে সমাধান ৷ খুদে ‘অ্যানালিস্ট’-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গ্রাহকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ আসলে ইয়েস ব্যাঙ্কের ভিতর টাকা আটকে গিয়েছে ৷ গুন্ডারা গ্রাহকদের পয়সা ডুবিয়ে দিয়েছে ৷ তাই ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ সমস্যার সমাধান করতে এসে গিয়েছে বস ব্যাঙ্ক ৷ একমাস বাদে সবার টাকা ফেরত চলে আসবে ৷
এমনকী এই এক মাস চলবে কি করে? বাবার সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুদের জিভের ডগায় ৷ ব্যাঙ্কের এতবড় অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠে কিভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে সেই পরামর্শও দিয়েছে ছোট্ট যুবান ৷ ট্যুইটারে পোস্ট হতেই মুহূর্তে ভাইরাল খুদে বিশ্লেষকের ইয়েস ব্যাঙ্ক ও তাঁর গ্রাহকদের জন্য পরামর্শ ৷
Just another WordPress site