বোতল বন্দি জল মাটি খুঁড়ছেন এক বিজ্ঞানী

Howrah News: কেন বদলে যায় নদীর জলের রঙ? সত‍্য খুঁজতে এ কী করছেন বিজ্ঞানী!

হাওড়া: নদীর জলে দূষণ খুঁজতে নমুনা সংগ্রহে নামল খোদ বিজ্ঞানী! এমনই চিত্র দেখা গেল হাওড়ায়।  ঋতু পরিবর্তনের মত পরিবর্তন হয় কানা দামোদর বা কৌশিকী নদের জলের রঙ। এ নিয়ে নদীর জলে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় মানুষ আতঙ্ক।

গত কয়েক বছর ধরেই এমনই চিত্র। এই জল ব্যবহার করলে মানুষের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয় বলেই অভিযোগ স্থানীয় একাংশের মানুষের। স্থানীয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দাবি জানান হয়েছিল, নদীর জলে যে নোংরা আবর্জনা মিশছে তা কতটা ক্ষতিকর সেটা খতিয়ে দেখার।

আরও পড়ুন: ঘন জঙ্গল বা দূরের জলাশয়ে আর ছুটতে হবে না! সাইবেরিয়ার পাখির ঝাঁক ঘুরছে শহরের খুব কাছেই

স্থানীয় মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়ে মাস কয়েক আগে সবুজ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় কৌশিকী নদীর দূষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করেছিল ও জলের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এবার সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কৌশিকী নদীর জলে সত্যিই দূষণ ঘটছে কিনা তা দেখতে এগিয়ে এলেন গ্রামের ছেলে প্রবাসী মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ডঃ দেবাশীষ গোলুই।

কৌশিকী বা কানা দামোদরের দূষণের সম্ভবনা মারাত্মক ভাবে ভাবিয়েছে। দেবাশীষ গোলুই দেশে ফিরে আই.এস.আই-এর রিসার্চ স্কলার গৌরব মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ৭৪ টি জায়গার নমুনা সংগ্রহ করেন। এদিন সকালে মাজু আর.এন বসু হাইস্কুলের সামনে থেকে কৌশিকী নদীর জল ও মাটির নমুনা সংগ্রহ শুরু করে ডঃ.দেবাশীষ গোলুইয়ের টিম।

নদী পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহে সহযোগিতা করেন মাজু ওয়াইল্ড লাইফের সম্পাদক ও ফিউচার ফর নেচার সংগঠনের সদস্য সৌরভ দত্ত। সঠিক তথ্য পেতে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ চলে।
জলে পারদ,সিসা,আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম,মলিবডেনাম,নাইট্রেট প্রভৃতি ক্ষতিকর যৌগ মিশছে কিনা তা দেখার জন্য ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর গিরিডি সেন্টার এর পক্ষ থেকে কৌশিকীর প্রবাহ থেকে এই জলের নমুনা সংগ্রহ করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ডঃ দেবাশীষ গোলুই ও গৌরব মণ্ডল।

এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী দেবাশীষ গোলুই জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে জল এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। জলে কোনও রকম ক্ষতি কর পদার্থ জলে মিশে থাকলে। উৎস স্থল চিহ্নিত করে ব্যবসা গ্রহণ করা যেতে পারে।
রাকেশ মাইতি