মহা লক্ষ্মীর মূর্তি

কোচবিহারের রাজ আমলের মহালক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন এই মন্দিরে

কোচবিহার: জেলা কোচবিহারে রাজ আমলে স্থাপিত মদনমোহন বাড়ি। আজও এখানে রাজ আমলের প্রাচীন রীতি ও প্রথা মেনে মহা লক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন করা হয়।

একটা সময় রাজ আমলে এই মহালক্ষ্মী পুজো করা হত কোচবিহার রাজবাড়িতে। পরবর্তী সময়ে মদনমোহন মন্দির স্থাপন করার পর এই পুজো স্থানান্তরিত করা হয় মদনমোহন বাড়িতে।

কোচবিহারের রাজারা এই মহলক্ষ্মীর পুজো করতেন ধন-ধান্যে ঐশ্বর্যপূর্ণ হওয়ার জন্য। তবে রাজ আমলের প্রথা মেনে আজও কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে করা হয় এই পুজো।

আরও পড়ুন- রকেট গতিতে কমল দাম! তুখোড় স্বাদ-গন্ধ, লক্ষ্মী পুজোয় আরও সস্তা ইলিশ! দাম জানুন

প্রতিমা শিল্পী প্রভাত চিত্রকর বলেন, “আনুমানিক প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে তিনি এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন। আগে তাঁর পূর্বপুরুষেরা এই মূর্তি তৈরি করতেন। পরবর্তী সময়ে এই মূর্তি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড এই পুজোর সমস্ত কিছু পরিচালনা করে। তবে রাজ আমলের প্রাচীন রীতি প্রথা ও ঐতিহ্য মেনে এখনও পর্যন্ত একই রকমভাবে এই মূর্তি তৈরি করা হয়। মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরেই আয়োজন করা হয় এই পুজোর।

মদনমোহন বাড়ির পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী জানান, একটা সময় কোচবিহার রাজারা এই পুজোর তত্ত্বাবধানে থাকতেন। বর্তমান সময়ে রাজারা আর নেই। তাই এই পুজোর সবকিছু পরিচালনা করে কোচবিহার দেবতার ট্রাস্ট বোর্ড।

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর দিনই ভয়ঙ্কর ঘটনা, মুহূর্তে শেষ দুই বন্ধুর জীবন! চারিদিকে শুধুই রক্ত

কোচবিহার মহারাজাদের সূচনা করা এই মহালক্ষ্মীর পুজোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন এখানে লক্ষ্মী দেবীর পাশে থাকেন না তার বাহন প্যাঁচা। তার বদলে থাকে এখানে চারটি হাতি।

এছাড়া এই মহালক্ষ্মীর পুজোর সময় এখানে পুজো করা হয় ইন্দ্র দেবেরও। দেবীর চার হাতে এখানে থাকে পদ্ম, ধানের ছড়া, একটিতে তিনি দেন সকলকে আশীর্বাদ এবং অন্য আরেকটিতে তিনি ধরে রাখেন মঙ্গল কৌটো।

মদনমোহন মন্দির স্থাপনের পর থেকে এই মহালক্ষ্মীর মূর্তি মদনমোহন মন্দিরের কাঠামো মন্দিরে তৈরি হয়ে আসছে। বংশ পরম্পরায় এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন প্রতিমা শিল্পী।

পূর্ণিমার পুণ্য লগ্নে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে আয়োজন করা হয় এই পুজোর। দীর্ঘ সময়ের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই পুজোয় বহু মানুষ ভিড় জমান। পুজোর দিনে পুজো দেখতে এবং পুজোয় অংশ নিতে বহু হওয়া মানুষ আসেন এখানে।

Sarthak Pandit