গ্রামীণ হাসপাতাল

Hospital: রোগীর হাতে হাতপাখা? যখন তখন অন্ধকার, এ কী অবস্থা হাসপাতালের? বড় অভিযোগ

দক্ষিণ দিনাজপুর: মোবাইলের আলোই ভরসা, চিকিৎসক থেকে হাসপাতাল কর্মী কিংবা রোগীর পরিজনদের। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাঁসফাঁস গরমে তালপাতার পাখাই ভরসা। এমনকি অনেক রোগীকেই হাসপাতালের বারান্দায় বসে সময় কাটাতে দেখা যায়।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এই ধরনের চিত্র মাঝেমধ্যেই উঠে আসে। রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন এমন ছবি সামনে আসতেই জেলার মন্ত্রী থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এতদিন তাহলে সমস্যার সমাধান হয়নি কেন?

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, তিন দিক সীমান্ত বেষ্টিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত আপতকালীন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। মোবাইলের আলোতেই ভরসা রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের ভরসা এই রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। কিন্তু, হাসপাতালের বেহাল অবস্থার কারণে ভুগতে হচ্ছে রোগী, চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের কর্মীদের।

এ বিষয়ে বালুরঘাট এর সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, “আপদকালীন পরিস্থিতিতে তিনি রশিদপুর হাসপাতালে জেনারেটর দিতে চেয়েছিলেন। রাজনীতি করে তা নেওয়া হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন যদি আবারও তাঁর কাছে আবেদন করা হয় তিনি তৎক্ষণাৎ একটি জেনারেটর ওখানে দিতে পারেন “।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দফতরে তিনি জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।” গ্রীষ্মকালে মাঝে মাঝেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগী থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক। এমনকি এই গরমে নাজেহাল রোগীর আত্মীয় থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্মীরা। আদৌ হাসপাতালের জেনারেটরের স্থায়ী সমাধান কবে মিটবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

সুস্মিতা গোস্বামী