*বর্তমানের বায়ুদূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ফুসফুসের নানা সমস্যা। তবে এই বায়ুদূষণের মধ্যে ফুসফুস ভাল রাখা অনেকটাই কঠিন। তবে সামান্য কিছু খাবার কিন্তু ভাল রাখতে পারে ফুসফুস।*অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, ফুসফুস ভাল রাখতে নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা উচিত। এ ছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা শরীরে মধ্যে বেশ কিছু উপাদান সরবরাহ করে ফুসফুসকে ভাল রাখে।*আপেলের খোসায় কোয়েরসিন নামের এক ভাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে পারে খুব সহজে। তাই যাদের ক্রনিক অ্যাজমা বা সিওপিডি রয়েছে, তাদের খোস-সহ আপেল খাওয়া উচিত।*লঙ্কায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এ ছাড়া সমস্যা কমাতেও এটি দারুণ কার্যকর। কাশি কমাতে লঙ্কার ক্যাপসাইসিন দারুণ কাজ করে।*গাঢ় লাল রঙের সবজি বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। বিট খেলে শরীর এই নাইট্রেট থেকে নাইট্রিক অক্সাইড বানায়। এই উপাদান রক্তনালিকে প্রসারিত করে, অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায় এবং রক্তচাপ কমায়।*ব্রকলি সবজি হিসেবে অনেক বাড়িতেই খাওয়া হয়। তবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী এই সবজি। ঘন সবুজ এই সবজিতে ক্যারোটিনয়েড থাকে। ক্যারোটিনয়েড প্রদাহের বিরুদ্ধে দারুণ ভাল কাজ করে।*সাধারণ সবজি টমেটোর মধ্যে ভিটামিন সি-র পাশাপাশি লাইকোপিন পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এটি একধরনের ক্যারোটিনয়েড গোত্রের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা বায়ুনালির প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর।*বিভিন্ন ডালের মধ্যেই রয়েছে প্রচুর খাদ্যআঁশ। সিওপিডি প্রতিরোধ করতে এমন আঁশযুক্ত খাবার দারুণ উপকারী। ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেকটাই বাড়িয়ে তুলতে পারে এই ধরনের দ্রবীভূত হতে পারে এমন আঁশ।*গ্রিন টি-র নিয়মিত পান করলে অনেকগুলো উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। এই উপকারিতা গুলির মধ্যে অন্যতম ফুসফুসের সুস্থতা। গ্রিন টি-তে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়।*সাধারণত ঠান্ডা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা সারানোর ক্ষেত্রে এটি বেশি পান করা হয়। তবে আদা-চা নিয়মিত পান করলে তা ফুসফুসের সুস্থতায় কাজ করে দারুণ ভাবে। তাই এই পানীয় রাখতেই পারেন রোজের তালিকায়।
