ব্রিটেনের এই 'ভিকি ডোনার' সামনে আনলেন কঠোর সত্য (ছবি- ফেসবুক)

Vicky Donor: প্রায় ১৩ বছরে ১৮০ সন্তানের পিতা, ব্রিটেনের এই ‘ভিকি ডোনার’ সামনে আনলেন কঠোর সত্য

ব্রিটেন: এ যেন অবিকল ‘ভিকি ডোনার’-এর গল্প! আসলে ব্রিটেনের এক ব্যক্তি এখন ১৮০ সন্তানের জনক। তবে এই বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের চরম সত্যটা সকলের সামনে খোলসা করেছেন ব্রিটেনের ওই বিখ্যাত স্পার্ম ডোনার।একটি সাক্ষাৎকারে ওই ডোনার বলেন যে, “আমি এই নিঃস্বার্থ ভাবে অন্যদের সাহায্য করার জন্য আমার নিজের ভালবাসাকেও বিসর্জন দিয়েছি। আবার বিরল কিছু ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ইন্টারকোর্সে আমি একটু চুম্বন কিংবা একটু আদর-ভালবাসা পর্যন্ত পাই না।”

ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড মেট্রো-র তরফে বলা হয়েছে যে, জো ব্রিটেনের সবথেকে প্রসিদ্ধ বাবার তকমা পেয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে যে নৃশংস নিষ্ঠুর মন্তব্য তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। আসলে অনেকেরই দাবি, “জো শুধুমাত্র সেক্স-এর সঙ্গেই যুক্ত।” ব্যাখ্যা করে জো বলেন, “আমি নিশ্চিত, যাঁরাই আমার প্রসঙ্গে পড়বেন, তিনি ভাববেন যে, আমার জীবনটা অনেকটা বড় আইসক্রিম খাওয়ার মতো। বিশেষ করে তখন আমার মনে আঘাত লাগে, যখন আমার নিন্দুকরা ভাবেন যে, আমি শুধুমাত্র সেক্সের জন্য ডোনেট করি। আপনারা হয়তো ভাববেন যে, একজন স্বাভাবিক দাতা হিসেবে আমার উপরে অনেক দায় থাকে।”

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

জো ডোনার নিজের পদবী প্রকাশ্যে আনতে চাননি। প্রায় ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি শুক্রাণু দান করে আসছেন। ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এই কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল ন্যাচারাল ইনসেমিনেশন (সেক্স), পার্শিয়াল ইনসেমিনেশন এবং আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন।

জো-এর ব্যাখ্যা, “কিন্তু আমাকে সব সময় বলা হয় যে, তোমার যখন এতই সেক্স করার ইচ্ছা, তখন একজন প্রেমিকা নিয়ে এসো। অথবা বিয়ে করে নাও। আসলে আমি সাধারণত মাসে একবার অথবা দু’বার শুধুমাত্র মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। কারণ আমার শুক্রাণু অত্যন্ত কার্যকর। ফলে একবার কিংবা দু’বার কোনও মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই তিনি তার মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান। এরপর ১ অথবা ২ বছরে তাঁর সঙ্গে আর দেখাই হয় না। তবে যদি তিনি দ্বিতীয় সন্তান চান, তবেই তাঁর সঙ্গে আবার দেখা হতে পারে।”

নিউক্যাসেলের বাসিন্দা জো এই সমালোচকদের ‘কিবোর্ড ওয়ারিয়র্স’ বলে বিশ্লেষণ করেছেন। সেই সঙ্গে এ-ও ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইন্টারনেটের সাধারণত মানুষকে টেনে নিচে নামানোর জন্য একটা পন্থা রয়েছে। জো-এর কথায়, “মানুষের পক্ষে অনলাইনে ক্ষতিকর মন্তব্য করা খুবই সহজ। কারণ আমি তো তাঁদের কাছে প্রকৃত মানুষই নই। যেটা তাঁরা আমার মুখের উপর কখনওই এটা বলতে পারবেন না।”