মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মুকুল সাংমা

TMC: কংগ্রেসের সমর্থনে মেঘালয়ে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেলেন তৃণমূলের মুকুল সাংমা, অভিনন্দন অভিষেকের

কলকাতা: মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেলেন তৃণমূলের মুকুল সাংমা। বৃহস্পতিবার মেঘালয় বিধানসভার সচিবালয় থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক রনি ভি লিংডোর সমর্থন নিয়ে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে নতুন যাত্রা শুরু করল বাংলার শাসকদল। খবরটি নিজেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মুকুল সাংমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, মেঘালয়ে শাসক দল ‘ন্যাশনাল পিপল্‌স পার্টি’ এনডিএ শরিক দল। যদিও এই রাজ্যে এখনও সাকুল্যে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা মাত্র দুই। অন্যদিকে মুকুল সাংমা মেঘালয়ের প্রবীণ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেসের হয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ।

অভিষেক এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর পোস্টে আশা প্রকাশ করেছেন, মেঘালয়ের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মুকুল নিশ্চিত ভাবেই তাঁর স্বর তুলবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেকের লক্ষ্য ছিল, বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের ভোটে লড়েছিল তৃণমূল। গোয়া এবং ত্রিপুরায় সাফল্য না পেলেও মেঘালয়ে পাঁচটি আসনে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস।

মেঘালয় বিধানসভায় মোট আসন ৬০টি। নিয়মানুযায়ী বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেতে গেলে ১০ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৬টি আসন পেতে হবে। এখানেই বড় ভূমিকা নেয় কংগ্রেস। তৃণমূলকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের লিংডো। জানা গিয়েছে, বুধবার মেঘালয় বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী দলনেতা নির্ধারিত করার দাবি জানিয়েছিলেন মুকুল এবং লিংডো।