বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৮ এপ্রিল চৈত্র অমাবস্যায় দেখা গেছে৷ তবে এই গ্রহণ ভারতে দেখা যায় নি৷ এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ অত্যন্ত বিরল ছিল৷ মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গ্রহণের সাক্ষী হয়েছে। এবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার পালা ইউরোপের।
মাঝে যদিও দু’বছরের প্রতীক্ষা৷ ২০২৬ সালে ইউরোপ থেকে দেখা যাবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চাঁদ আবারও পুরোপুরি ঢেকে দেবে সূর্যকে। ফলে ইউরোপের বুকে দিনের বেলাতেই অন্ধকার নেমে আসবে। এখন থেকেই ওই বিশেষ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০২৬ সালের ১২ অগাস্ট আবারও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। চাঁদের সামনে পুরোপুরি ঢেকে যাবে সূর্য। শুধুমাত্র পাতলা বলয়ের আকারে সূর্যালোক দেখা যাবে। গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন এবং রাশিয়ার কিছু জায়গা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ওই দিন। তবে কখন, কোন সময় দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, তা কোথা থেকে দেখা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করছে।
সূত্র বলছে, ২০২৬ সালের ১২ অগাস্ট ৯৬ মিনিটে পৃথিবীর বুকে ২৯৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে চাঁদের ছায়া। রাশিয়ার উত্তর ভাগ হয়ে গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং স্পেনের দিকে এগোবে। ওই সময়ের মধ্যে ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড স্থায়ী হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
এ বছরের শুরুতেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর কিছু দেশ। গত ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, আমেরিকা, কানাডা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। প্রায় ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সেই বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে। পাশাপাশি, গ্রহণের সময় বায়ুমণ্ডলে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে ওই সময়ে মহাকাশ থেকে নজরদারিও চালায় নাসা৷
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাজাগতিক ঘটনা। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে সেই বিশেষ মুহূর্তকে বোঝায়, যখন চাঁদ কার্যতই ঢেকে দেয় সূর্যকে। এমনিতে আকারে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড় সূর্য। কিন্তু পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যত, তার চেয়ে সূর্যের দূরত্ব ঢের বেশি। তাই চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে অবস্থান করে, সূর্য কার্যত ঢেকে যায়। শুধু বলয়াকারে তার বাইরের আলোকমণ্ডলের পাতলা স্তরই চোখে পড়ে পৃথিবী থেকে।
Post navigation
Just another WordPress site