অল্প খরচেই ভারত ভ্রমণে পথ দেখাচ্ছে যুগল 

Tourism: ভারত ভ্রমণে মধ্যবিত্ত মানুষকে পথ দেখাচ্ছে যুগল! খরচ সমান‍্য মাত্র!

হাওড়া: ভারত ভ্রমণে মধ্যবিত্ত মানুষকে পথ দেখাচ্ছে যুগল! ভারতবর্ষ ভ্রমণ করলে সারা বিশ্ব ভ্রমণের সমান। এই কথার তাৎপর্য হল, বরফে আবৃত পাহাড় পর্বত, মরুভূমি আবার বিশাল জলরাশির সাগর, ভারতবর্ষ ভ্রমণে মেলে। ভারতবর্ষের হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত, পাহাড় থেকে সাগর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যা সারা বিশ্ব ঘোরার অভিজ্ঞতাই বটে। একজন মানুষ ভারতবর্ষ ভ্রমণ করলে প্রায় সমস্ত রকম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ গরমে গাদা গাদা পাউডার ঢালছেন গায়ে? এই ভুলের খেসারত চরম! ক‍্যানসার অবধি হতে পারে

বেড়ানো বহু মানুষের ইচ্ছে থাকলেও নানান কারণে হয়ে ওঠে না। এর মধ্যে সর্বাধিক মানুষের যে সমস্যা তা হল অর্থনৈতিক। পায়েল-অর্কর দেখানো পথেই, এই ভ্রমণ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই হতে পারে। সেই দিক থেকে যুগলের এই দেখানো পথেই বহু মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। প্রচুর টাকা খরচ না করেও, অল্প টাকাতেই দেশকে বেড়ানো সম্ভব, সেই ধারণা দিতেই প্রায় এক বছরের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে যাত্রা শুরু করে পায়েল-অর্ক নামে দু-বন্ধু।

দুজনের আগের প্রফেশান ছিল আইটি এবং সাইন্সের রিসার্চ ফিল্ড নিয়ে। বর্তমানে দুজনে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশানের উপর বিভিন্ন ইউএস বেসড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। তবে কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের এমন চিন্তাভাবনা। ঘুরতে পছন্দ করেন প্রায় সমস্ত মানুষই, কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যা অনেকাংশেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেই দিক থেকে যদি খরচ কমের বেড়ানো পথ দেখানো যায় হয়ত বহু মন্সুব সেই পথ অবলম্বন করে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। সেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ২০১৮ তে।

এ প্রসঙ্গে পায়েল এবং অর্ক জানান, আমাদের দেশে এমন জিনিস আছে যেটা দেখার পৃথিবীর আর সব দেশ ঘুরেও দেখা যায় না। আর একটা ব্যাপার ট্রাভেল মানেই যে অনেক টাকার দরকার সেটা একেবারেই নয়। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে করে আমরা প্রতি কোনায় পৌঁছাতে পারি অনেক কম খরচে। সেই পাবলিক ট্রান্সপোর্টের নেটওয়ার্ক টা তৈরি করছে এই দুই বন্ধু । কোভিডের পর ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিল প্রত্যেকেই। আর সেটাই আরওবেশি করে পায়েল ও অর্ক কে নাড়া দিয়ে ওঠে।

অনেক মানুষ অর্ক ও পায়েলের এইরকম পরিকল্পনা শুনে থাকা এবং খাওয়া দিয়েও সাহায্য করেছেন। এখনও পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে দুই বন্ধুর কোনও জায়গা নিরাপদহীন মনে হয়নি। দেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে রেকগনাইজ্ড বাস বা কোনও যানবাহন চলেনা। সেখানে শেয়ার গাড়ি খুঁজে বার করাটা চ্যালেঞ্জিং। দুই বন্ধু প্রথমে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে শিলচর পৌঁছে। সঙ্গে মিজোরামেও। আর এই ভ্রমন শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে এবং শেষ শহর হবে কলকাতা। দুই বন্ধু অর্ক ও পায়েলের ভ্রমন শেষ করে বাড়ি ফিরবে এবছরের জুলাই মাসে।

রাকেশ মাইতি