Tag Archives: India Tour

Summer Vacation Tour Plan: গরমের ছুটিতে পাহাড়ের ঠান্ডায় বেড়াতে যেতে চান? কম বাজেটে ‘ফিট’ এই ৫ ডেস্টিনেশন! রইল ট্যুর প্ল্যান

গরমের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? বার বার একই দার্জিলিং-কালিম্পং না গিয়ে বরং ঘুরে আসুন হিমাচল প্রদেশে। বাজেট কিন্তু একই। বড় ট্রিপের নাম শুনলেই চিন্তা শুরু হয় ছুটি, বাজেট নিয়ে। কিন্তু সঠিকভাবে প্ল্যান করলে কম দিনের মধ্যে এবং অল্প খরচেই হিমাচল প্রদেশ ঘোরা সম্ভব। দেখে নিন কম বাজেটে হিমাচলের ৫ ফিট ডেস্টিনেশন।
গরমের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? বার বার একই দার্জিলিং-কালিম্পং না গিয়ে বরং ঘুরে আসুন হিমাচল প্রদেশে। বাজেট কিন্তু একই। বড় ট্রিপের নাম শুনলেই চিন্তা শুরু হয় ছুটি, বাজেট নিয়ে। কিন্তু সঠিকভাবে প্ল্যান করলে কম দিনের মধ্যে এবং অল্প খরচেই হিমাচল প্রদেশ ঘোরা সম্ভব। দেখে নিন কম বাজেটে হিমাচলের ৫ ফিট ডেস্টিনেশন।
তোশ -- গরমে আপনার ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতে পারে। জায়গার নাম তোশ। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চাইলে তোশকে বেছে নিন। এখান থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টা ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারে ক্ষীরগঙ্গা। নদীর তীরে সবুজের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন তোশ থেকে।
তোশ — গরমে আপনার ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতে পারে। জায়গার নাম তোশ। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চাইলে তোশকে বেছে নিন। এখান থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টা ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারে ক্ষীরগঙ্গা। নদীর তীরে সবুজের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন তোশ থেকে।
কাসল -- পার্বতী উপত্যকার কোলে অবস্থিত কাসল। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে কাসল। কাসল থেকে আপনি তীর্থান ভ্যালি, মণিকরণ, মালানা ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারেন। কাসল ওয়ার্ক ফ্রম ডেস্টিনেশন করার সেরা জায়গা। এখানে কম খরচে রাত্রিযাপনের জন্য জস্টেল রয়েছে।
কাসল — পার্বতী উপত্যকার কোলে অবস্থিত কাসল। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে কাসল। কাসল থেকে আপনি তীর্থান ভ্যালি, মণিকরণ, মালানা ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারেন। কাসল ওয়ার্ক ফ্রম ডেস্টিনেশন করার সেরা জায়গা। এখানে কম খরচে রাত্রিযাপনের জন্য জস্টেল রয়েছে।
ম্যাকলিয়ড গঞ্জ-- পাইন, ওক, দেবদারুর সম্ভার এই পাহাড়ি জনপদে। ধর্মশালা থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ছোট্ট জনপদ ম্যাকলিয়ড গঞ্জ। এক সময় ব্রিটিশের বাস বেশি ছিল এখানে। যদিও এখন তিব্বতের আনাগোনাই বেশি। চাইলে ধর্মশালাতেও ছুটি কাটাতে পারেন।
ম্যাকলিয়ড গঞ্জ– পাইন, ওক, দেবদারুর সম্ভার এই পাহাড়ি জনপদে। ধর্মশালা থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ছোট্ট জনপদ ম্যাকলিয়ড গঞ্জ। এক সময় ব্রিটিশের বাস বেশি ছিল এখানে। যদিও এখন তিব্বতের আনাগোনাই বেশি। চাইলে ধর্মশালাতেও ছুটি কাটাতে পারেন।
নরকান্দা-- শিমলা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নরকান্দা। শীতে এই অঞ্চল বরফে ঢাকা থাকে। বসন্তে এই জায়গা ভরে ওঠে চেরি ব্লসমে। গরমে গেলেও হাল্কা বরফ পাবেন। এই পাহাড়ি গ্রাম 'দ্য ল্যান্ড অফ অ্যাপেল অ্যান্ড চেরি ব্লসম' নামেও পরিচিত।
নরকান্দা– শিমলা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নরকান্দা। শীতে এই অঞ্চল বরফে ঢাকা থাকে। বসন্তে এই জায়গা ভরে ওঠে চেরি ব্লসমে। গরমে গেলেও হাল্কা বরফ পাবেন। এই পাহাড়ি গ্রাম ‘দ্য ল্যান্ড অফ অ্যাপেল অ্যান্ড চেরি ব্লসম’ নামেও পরিচিত।
কুলু-- হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শৈল শহর কুলু। উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিপাশা নদী। এরই উত্তরে অবস্থিত মানালি। সন্তের রূপে সেজে ওঠে এই গোটা উপত্যকা। কুলু থেকে আপনি অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন মানালি, সোলাং ভ্যালি, রোহাতাং পাস, হাম্পতা পাস। এই উপত্যকায় প্যারাগ্লাইডিং, রিভার রাফটিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও সুবিধা রয়েছে।
কুলু– হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শৈল শহর কুলু। উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিপাশা নদী। এরই উত্তরে অবস্থিত মানালি। সন্তের রূপে সেজে ওঠে এই গোটা উপত্যকা। কুলু থেকে আপনি অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন মানালি, সোলাং ভ্যালি, রোহাতাং পাস, হাম্পতা পাস। এই উপত্যকায় প্যারাগ্লাইডিং, রিভার রাফটিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও সুবিধা রয়েছে।

Tourism: ভারত ভ্রমণে মধ্যবিত্ত মানুষকে পথ দেখাচ্ছে যুগল! খরচ সমান‍্য মাত্র!

হাওড়া: ভারত ভ্রমণে মধ্যবিত্ত মানুষকে পথ দেখাচ্ছে যুগল! ভারতবর্ষ ভ্রমণ করলে সারা বিশ্ব ভ্রমণের সমান। এই কথার তাৎপর্য হল, বরফে আবৃত পাহাড় পর্বত, মরুভূমি আবার বিশাল জলরাশির সাগর, ভারতবর্ষ ভ্রমণে মেলে। ভারতবর্ষের হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত, পাহাড় থেকে সাগর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যা সারা বিশ্ব ঘোরার অভিজ্ঞতাই বটে। একজন মানুষ ভারতবর্ষ ভ্রমণ করলে প্রায় সমস্ত রকম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ গরমে গাদা গাদা পাউডার ঢালছেন গায়ে? এই ভুলের খেসারত চরম! ক‍্যানসার অবধি হতে পারে

বেড়ানো বহু মানুষের ইচ্ছে থাকলেও নানান কারণে হয়ে ওঠে না। এর মধ্যে সর্বাধিক মানুষের যে সমস্যা তা হল অর্থনৈতিক। পায়েল-অর্কর দেখানো পথেই, এই ভ্রমণ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই হতে পারে। সেই দিক থেকে যুগলের এই দেখানো পথেই বহু মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। প্রচুর টাকা খরচ না করেও, অল্প টাকাতেই দেশকে বেড়ানো সম্ভব, সেই ধারণা দিতেই প্রায় এক বছরের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে যাত্রা শুরু করে পায়েল-অর্ক নামে দু-বন্ধু।

দুজনের আগের প্রফেশান ছিল আইটি এবং সাইন্সের রিসার্চ ফিল্ড নিয়ে। বর্তমানে দুজনে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশানের উপর বিভিন্ন ইউএস বেসড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। তবে কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের এমন চিন্তাভাবনা। ঘুরতে পছন্দ করেন প্রায় সমস্ত মানুষই, কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যা অনেকাংশেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেই দিক থেকে যদি খরচ কমের বেড়ানো পথ দেখানো যায় হয়ত বহু মন্সুব সেই পথ অবলম্বন করে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। সেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ২০১৮ তে।

এ প্রসঙ্গে পায়েল এবং অর্ক জানান, আমাদের দেশে এমন জিনিস আছে যেটা দেখার পৃথিবীর আর সব দেশ ঘুরেও দেখা যায় না। আর একটা ব্যাপার ট্রাভেল মানেই যে অনেক টাকার দরকার সেটা একেবারেই নয়। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে করে আমরা প্রতি কোনায় পৌঁছাতে পারি অনেক কম খরচে। সেই পাবলিক ট্রান্সপোর্টের নেটওয়ার্ক টা তৈরি করছে এই দুই বন্ধু । কোভিডের পর ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিল প্রত্যেকেই। আর সেটাই আরওবেশি করে পায়েল ও অর্ক কে নাড়া দিয়ে ওঠে।

অনেক মানুষ অর্ক ও পায়েলের এইরকম পরিকল্পনা শুনে থাকা এবং খাওয়া দিয়েও সাহায্য করেছেন। এখনও পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে দুই বন্ধুর কোনও জায়গা নিরাপদহীন মনে হয়নি। দেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে রেকগনাইজ্ড বাস বা কোনও যানবাহন চলেনা। সেখানে শেয়ার গাড়ি খুঁজে বার করাটা চ্যালেঞ্জিং। দুই বন্ধু প্রথমে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে শিলচর পৌঁছে। সঙ্গে মিজোরামেও। আর এই ভ্রমন শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে এবং শেষ শহর হবে কলকাতা। দুই বন্ধু অর্ক ও পায়েলের ভ্রমন শেষ করে বাড়ি ফিরবে এবছরের জুলাই মাসে।

রাকেশ মাইতি