আবীর ঘোষাল, কলকাতা: সম্প্রতি ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ট্রেন নং. ১৫৯৫৯ কামরূপ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট জে. ডি. দাস এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট উমেশ কুমার হাবাইপুর ও লামসাখাং স্টেশনের মধ্যে ১৬৬/৮-১৬৭/০ কি.মি.-এ এক দল হাতিকে রেলওয়ে ট্র্যাক টপকাতে দেখেন। ট্রেনটি হাওড়া থেকে গুয়াহাটি হয়ে লামডিং যাচ্ছিল।
ঘটনাটি ঘটেছিল রাত সাড়ে ৮টা-র পর। সতর্ক লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করেন, ফলে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটার আগেই প্রায় ৬০টি হাতির দলটি বেঁচে যায়। সেকশনটিতে কার্যকর হয়ে থাকা আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) ভিত্তিক ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম (আইডিএস)-এর দ্বারা ট্রেনটির চালকদের সতর্ক করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে বিস্তৃত থাকা অন্যান্য এলিফেন্ট করিডোরগুলিতেও পর্যায়ক্রমিকভাবে এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) ভিত্তিক ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম (আইডিএস) স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি রেলওয়ে ট্র্যাক অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কা থেকে একাধিক হাতির প্রাণ রক্ষা করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে।
আরও পড়ুন– ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা ! আগামী সপ্তাহ থেকেই ফের আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা
ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম (আইডিএস) হল হাতি রক্ষা করা ও ট্রেন পরিচালনের ক্ষেত্রে গতিশীলতা উন্নত করার জন্য একটি ইকো-সাস্টেইনেবল সলিউশন। এই সিস্টেমটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) ভিত্তিক এবং সংশ্লিষ্ট স্থানগুলিতে বন্যপ্রাণীর চলাচল শনাক্ত করতে এবং কন্ট্রোল অফিস, স্টেশন মাস্টার, গেটম্যান ও লোকো পাইলটদের সতর্ক করার জন্য সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করা হবে বিদ্যমান অপটিক্যাল ফাইবার। এটি ফাইবার অপটিক ভিত্তিক অ্যাকোস্টিক সিস্টেম ব্যবহার করে, যা ট্র্যাকে হাতির উপস্থিতি সময় মতে অনুধাবন করতে ডায়ালিসিস স্ক্যাটারিং ফেনোমেনন হিসেবে কাজ করে।