বাড়ির কাছেই ঘোরার সেরা জায়গা! পর্যটকদের জন্য বিরাট খুশির খবর, নতুন সাজে সাজছে এই পিকনিক স্পট

Travel: বাড়ির কাছেই ঘোরার সেরা জায়গা! পর্যটকদের জন্য বিরাট খুশির খবর, নতুন সাজে সাজছে এই পিকনিক স্পট

উত্তর দিনাজপুর: সবুজের পরিমাণ শহরের বুকে ক্রমেই কমছে। ফলে সবুজের সংখ্যা বাড়াতে এবার পিকনিক স্পটে তৈরি হচ্ছে বায়োডাইভার্সিটি উদ্যান। কালিয়াগঞ্জের একমাত্র পিকনিক স্পট রাধিকাপুর পর্যটন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে বায়ো ডাইভার্সিটি উদ্যানের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ।

রাধিকাপুরে টাঙন নদীর পাড়ে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়াতে রাজ্য পরিবেশ দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় বায়ো ডাইভার্সিটি উদ্যান গড়ার উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে বায়ো ডাইভার্সিটি উদ্যানের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:  আপনার বাড়ির টিভিও কি দেওয়ালে লাগানো? তলে তলে বারোটা বাজছে না তো? এখনই সাবধান হন, ছোট্ট ভুলে খোয়াবেন হাজার হাজার টাকা

পাশাপাশি নতুন টয়লেট এবং সৌর বিদ্যুত চালিত পরিশ্রুত পানীয়জল প্রকল্পের জন্য ১০ লক্ষ টাকার টেন্ডার নেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের তরফে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাধিকাপুর পর্যটন কেন্দ্র ময়দানের বাকি অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ হবে।

কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় সরকার জানান, টাঙন নদীর পাড়ে পর্যটন কেন্দ্রের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে বর্তমানে প্রতিদিনই বহু মানুষ যাচ্ছেন। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শীতের মরসুমে পর্যটন কেন্দ্রের ময়দানে পিকনিক করতে ভীড় উপচে পড়ে। সবদিক বিবেচনা করেই রাধিকাপুর পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তার সঙ্গেই পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়াতে বায়ো ডাইভার্সিটি উদ্যান গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য পরিবেশ দফতর রাধিকাপুরের বায়ো ডাইভার্সিটি উদ্যানের জন্য ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রের যাতায়াতের রাস্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কিছু কাজ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, মুঠো মুঠো খাচ্ছেন কালোজাম! কাদের একেবারে বারণ? খাওয়ার পর ভুলেও মুখে তুলবেন না এই দুই জিনিস, তাহলেই সর্বনাশ

জানা গিয়েছে এই পার্কে জীববৈচিত্র্য তুলে ধরতে নানারকমের গাছগাছালি পাশে গাছগাছালির নাম এবং গুণাগুণ উল্লেখ করা থাকবে। এই গাছগাছালিতে যাতে বিভিন্ন ধরনের পাখি আসতে পারে, সেই বিষয়টিও ভাবা হয়েছে। পিকনিক স্পটে আসা স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পার্কে এসে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারবেন।

পিয়া গুপ্তা