মংপুতে রবীন্দ্র ভবন

Travel: দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গায়, মন ভাল হবেই, নিশ্চিত!

মংপু: সামনেই বসন্ত উৎসব। আর এই ছুটিতে শান্তিনিকেতন তো অনেকেই গিয়েছেন তবে এবার সেখানে না গিয়ে ঘুরে আসুন রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গায়। মন ভাল হবে, নিশ্চিত। বেশিরভাগ বাঙালি পড়ে থাকবেন ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’। মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা এই বই পড়ে থাকলে সবার অন্তত একবার ইচ্ছে করবেই মংপুতে ঘুরে আসার।

পাহাড়ের কোলে মংপুতে এই ভবনে বিশ্বকবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম। ৩৭৫৯ ফুট উচ্চতায় মংপু এখন ছোট পাহাড়ি শহর, কবির সময় তা ছিল পাহাড়ি গণ্ডগ্রাম। সিঙ্কোনা চাষের জন্যই এর প্রথম খ্যাতি ছড়ায়। কালিম্পং থেকে এর দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার, দার্জিলিং থেকে দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন। মন্দ হবে না।

আরও পড়ুন: কালবৈশাখী সতর্কতা…! এলোপাথাড়ি দমকা হাওয়া! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি তছনছ করবে ৭ জেলা? আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

মংপুর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সিঙ্কোনা গাছ আর রবীন্দ্রনাথ। সিঙ্কোনা গাছ এই পাহাড়ে চারপাশেই। কুইনাইন তৈরির কারখানা আর রবীন্দ্রভবন একেবারে কাছাকাছি। রবীন্দ্রভবনের আকর্ষণই তো সকলকে তাড়িয়ে নিয়ে আসে মংপুতে, তাই মংপু মানেই যেন মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি। ১৯৪৪ সালের ২৮ মে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দিনের শেষে সূর্যাস্ত দেখুন এখানে, জানেন কোথায় এই সুন্দর জায়গা?

এই বাড়িতে বসেই কবি ‘ছেলেবেলা’, ‘নবজাতক’, ‘জন্মদিন’ প্রভৃতি কবিতা লেখেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে কবি চারবার আসেন মংপুতে। এই বাড়ির সামনের উন্মুক্ত সবুজ বাগান থেকে সামনের পাহাড়ে রঙ, রোদের খেলা দেখতে দেখতে পর্যটকরা উপলব্ধি করবেন, কেন কবি বারবার এসেছেন মংপুতে।

কোথায় থাকবেন-সিঙ্কোনা প্লান্টেশন বাংলোতে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও কালিম্পং, সিটং প্রভৃতি জায়গায় থেকেও ঘুরে দেখা যায় মংপু।

কীভাবে যাবেন- মংপু পৌঁছনো যায় পেশক রোড দিয়ে দার্জিলিং থেকে রাম্ভি হয়ে। আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সেবক-কালিঝোরা হয়ে মংপু যাওয়া যায়।

এই শান্ত নির্জন পাহাড়ি গ্রাম ঘুরে দেখুন নিজের মতো করে। মংপুর প্রকৃতি ছুঁয়ে দেখতে দেখতে মগ্ন মন মনে করবেই।

অনির্বাণ রায়