কালিম্পং: দার্জিলিং সিকিম তো অনেক ঘুরেছেন। এই মরশুমে ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের এক অজানা গ্রামে। চারিদিকে মেঘে ঢাকা পাহাড় আর মন মুগ্ধ করা সবুজের সমারোহ । তার মাঝে এক কাপ দার্জিলিং চা হাতে পাহাড়ের কোলে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো জ্বলতে থাকা পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য যেন আপনার মন জয় করে নেবে নিমেষেই । এখানেই শেষ নয়, রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর তার সাথে কনকনে ঠান্ডায় বন ফায়ারের সামনে বসে বারবিকিউ খাবার মজা এক আলাদাই অনুভূতি প্রদান করে । নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে হলে অবশ্যই যেতে হবে কালিম্পংয়ের এই গ্রাম গোকুলে।
ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গোকুলে একদম নতুন একটি গ্রাম। এতদিন পর্যন্ত এই গ্রামের কথা সকলের কাছে অজানা থাকলেও ধীরে ধীরে এই গ্রাম পর্যটকদের কাছে পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার সঙ্গে পর্যটনে নয়া পালক জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। গরমে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে এই গ্রামে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই গ্রামের অবস্থান।
আরও পড়ুন: মজার টয়ট্রেনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল ১৮-র তরতাজা প্রাণ
অপরূপ এই পাহাড়ি গ্রামে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা, তার পাশাপাশি দেখতে পাবেন পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন অর্গানিক শাকসবজি। গ্রামের এক হোমস্টের মালিক গুঞ্জন তামাং বলেন, “উত্তরের পর্যটনে নয়া পালক হিসেবে জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। পর্যটকরা এখন একটু অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন। তাদের জন্য এই জায়গাটি খুব দুর্দান্ত একটি জায়গা।”
গোকুলে যেতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে। কখনও কুয়াশা, কখনও বা মেঘ আর তার মাঝে দিয়ে চলতে চলতে সোজা পৌঁছে যাবেন কালিম্পং। তারপর কালিম্পং স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এই গোকুলে গ্রামে। আর এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে অনেক হোম স্টে ।
অনির্বাণ রায়