মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন…! তবুও এত অনীহা? বন দফতরের ডাকে সাড়া মাত্র ২ মন্ত্রী-সহ ৫ বিধায়কের

কলকাতা: পরিবেশ বাঁচাতে গাছের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার দলীয় নেতা কর্মী-সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছেও আবেদন করেছেন যাতে সকলেই গাছ লাগানোর বিষয়ে উৎসাহী হন। বন দফতরের পক্ষ থেকে নিয়ম করে প্রতিবছর অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়। এবারের অরণ্য সপ্তাহে বিধায়কদের কাছে দফতরের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল যাতে তাঁরা তাঁদের এলাকার জন্য গাছ নিতে চাইলে দফতর সেই গাছ সরবরাহ করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ মাত্র পাঁচ জন বিধায়ক এই গাছের জন্য দফতরের কাছে আবেদন করেছেন। যা খুবই হতাশাজনক বলেই মনে করছে বন দফতর।

এবছর ১৪ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। এবছর বন দফতরের পক্ষ থেকে বিধায়কদের কাছে বলা হয়েছিল যদি কেউ নিজেদের এলাকার জন্য গাছ চান, তাহলে চিঠি দিলেই সেই গাছ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা কিছুটা আফসোসের সঙ্গেই জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে এই গাছ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র পাঁচ জন। এরমধ্যে দুইজন মন্ত্রী রয়েছেন। বাকি তিনজন‌ই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। বিজেপির কোনও বিধায়ক এখনও এই গাছ নেওয়ার জন্য আবেদন করেননি বলেই জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি বাড়ি..! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সুবিধা’ পাবেন কারা? কী ভাবে আবেদন? কী কী নথি লাগবেই? ‘সঠিক’ নিয়ম জানুন

মন্ত্রী এটাও জানান, আপাতত এই সংখ্যা (যে কয়জন আবেদন করেছেন) তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে। হয়ত ডিএফ‌ও (District Forest Officer)-র কাছে আরও আবেদন জমা পড়েছে। সেই সংখ্যা পরে জানা যাবে। বনমন্ত্রী বলেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যে একজন শিশু জন্ম নিলে তার জন্য ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পে একটি করে গাছ দেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী গাছ লাগানোর জন্য সকলকেই উৎসাহিত করেন, সেখানে কেন এখনও আরও বেশি আবেদন এল না সেটা অজানা। যে দুই মন্ত্রী গাছের জন্য আবেদন করেছেন এবং ইতিমধ্যেই গাছ নিয়ে নিজের এলাকায় লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা হলেন পূর্ত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় ও খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্ত-পশ্চিমী ঝঞ্ঝা-নিম্নচাপ! ৬০কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা সাগরে! বৃষ্টি নিয়ে বড় পূর্বাভাস IMD-র

গাছ নিতে কেন অনীহা! এই বিষয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানালেন যে গাছ নিলাম, তার একটা সেলফি তুললাম, আর তারপর সেই গাছের বিষয় ভুলে গেলাম। এটা ঠিক নয়। গাছের পরিচর্যাও করতে হবে। সেটাই অনেকে করেন না বা গাছ লাগানোর পর আর খোঁজ খবরও রাখেন না। এইটা আটকাতে হবে। তাই এবার বন দফতর ঠিক করেছে যাঁরা গাছ নেবেন তাঁদের সেই গাছ পরিচর্যার বিষয়ে বন দফতর‌ই সাহায্য করবে। তবে এক্ষেত্রে একটি সমস্যার কথা জানা গেল। বনমন্ত্রী বলেন, আগে এই গাছ লাগানোর কাজে একশো দিনের কর্মীদের কাজে লাগানো হত। তাঁরাই গাছ লাগানো থেকে শুরু করে তার পরিচর্যার দিকে নজর দিত। কিন্তু এখন একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রাখার ফলে এই কাজে একশো দিনের কর্মীদের আর কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে সেটাও কিছুটা সমস্যায় ফেলেছে।