নারী ক্ষমতায়ন থেকে ১০০ দিনের কাজ, নানা ঘোষণা থাকতে চলেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে (File Photo)

Trinamool Congress: নারী ক্ষমতায়ন থেকে ১০০ দিনের কাজ, নানা ঘোষণা থাকতে চলেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার নিয়ে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনাকে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়ে। এ ছাড়া ১০০ দিনের কাজের প্রাপক দিন পিছু বাড়ানোর বিষয় উল্লেখ থাকবে এই ইস্তেহারে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক বিষয় উল্লেখিত হবে তৃণমূলের ইস্তেহারে।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ইস্তেহার শুধু বাংলাসর্বস্ব হবে না। বরং কেন্দ্রে সরকার গঠনে অংশ নিলে, সারা দেশে দলের নীতি এবং কর্মসূচি কী হবে, তার সবিস্তার বর্ণনাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। দেশের ছাত্র ও যুবক-যুবতীদের আরও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থান দেওয়া তাদের লক্ষ্য। SC/ST এবং OBC (সংখ্যালঘুসহ) মানুষদের জন্য সংরক্ষিত প্রতিটি আসন পূর্ণ করার উপরে তারা বিশেষ জোর দেব।

আরও পড়ুন– ‘হরি-গুরুচাঁদের নাম সংসদে নিতে পারলাম না…’ রাজ্যসভায় মমতা ঠাকুরের শপথ গ্রহণ ঘিরে চাপানউতোর

কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের সুবন্দোবস্ত করা তাদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তারা লক্ষ্য রাখব যাতে কৃষকরা কম দামে উৎপাদিত শস্য বিক্রী করতে বাধ্য না হন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা হবে। নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে স্কিম আসতে পারে জাতীয় স্তরে ৷

সমাজের দরিদ্রতম অংশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সুযোগ বাড়ানোর জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটিকে আরও বেশি দিনের কাজের প্রকল্পে রূপায়িত করা হবে। এ ছাড়াও মজুরীর পরিমাণ দ্বিগুণ করে আয়কে সুনিশ্চিত করা হবে যাতে মানুষ সম্মানের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।

আরও পড়ুন- বেলা বাড়লেই বাড়বে গরম, আজ রাজ্যের কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? জেনে নিন

উন্নত সামাজিক পরিকাঠামোর স্বার্থে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো হবে যাতে এর সুবিধা সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

২০১১ থেকে গত ১৩ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলায় কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে তার বিবরণ থাকতে পারে ইস্তাহারে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী এবং গীতাঞ্জলির মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিও সবিস্তারে তুলে ধরা হতে পারে।বাংলাকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও, গোটা দেশকে মাথায় রেখে এ বার তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বিজেপিবিরোধী শিবির যদি ক্ষমতায় আসে, তা হলে নয়া সরকারে তৃণমূলের কী ভূমিকা হবে, বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে কী ভাবে সারা দেশে রূপায়ণ করা সম্ভব হবে, ইস্তেহারে তার সবিস্তার বর্ণনা থাকতে পারে।

সেই সঙ্গে গত দশ বছরে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতাও তুলে ধরা হতে পারে। এখন আর শুধুমাত্র বাংলাতেই সীমাবদ্ধ নেই তারা। জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধী শিবিরের অগ্রগণ্য নাম তিনি। তাই বিজেপি বিরোধী জোট কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে, তাতে তৃণমূলের ভূমিকা, নীতি ও কর্মসূচি কী হবে, তার সবিস্তার বর্ণনা থাকতে পারে ইস্তেহারে। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি, সারা দেশের কথা উঠে আসতে পারে তৃণমূলের ইস্তেহারে।