দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদী ও সমুদ্র। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলা জুড়ে জারী করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত উপকূল তীরবর্তী এলাকায় জারী করা হয়েছে সতর্কতা।হুগলি নদী, এছাড়া হাতানিয়া – দোহানিয়া, চিনাই নদী ,গোসাবার বিভিন্ন নদী এছাড়াও,পাথর প্রতিমার রায়মঙ্গল থেকে শুরু করে একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় জারিকরা হয়েছে সতর্কতা ।ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যে নদী উত্তাল। নদী উত্তাল থাকার কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমনকি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তীরবর্তী এলাকার যে সকল ফেরী পরিষেবা রয়েছে সে সকল ফেরী পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাতে পড়বে না ইলিশ? ‘দানা’র দাপটে বিপদে রুপোলি শস্য! ঘূর্ণিঝড়ে বড় আশঙ্কা
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধ গুলির ওপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রান্তিক এলাকা থেকে মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।
সুমন সাহা