Tag Archives: Chinsurah

Hooghly News: গোটা শহরের রাস্তা ভাঙাচোরা, মাসের পর মাস চলে ‌যায় শেষ হয় না কাজ!

হুগলি: হুগলি জেলা সদর শহর চুঁচুড়ার অলিগলি থেকে বড় রাস্তা সবই ভাঙাচোরা বেহাল অবস্থা। দুর্ঘটনা ঘটছে নিত্যদিন। দীর্ঘ নয় দশ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সমস্যা বেড়েছে আরও বৃষ্টিতে, ভাঙাচোরা রাস্তার মধ্যে বৃষ্টির জল যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিয়ে এলাকার মানুষজন দ্বারস্থ বিধায়ক এর কাছে। রাস্তা না হওয়ায় স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়লেন বিধায়ক।পূর্ত দফতরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে। রাস্তায় পাথর পরে রোলার আনা হয় কাজও শুরু হয়। একদিন কাজ করার পর আবার বন্ধ হয়ে যায় কাজ। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে তোলাফটকে যান বিধায়ক অবস্থানে বসবেন বলে স্থির করেন।

আরও পড়ুন: তাঁর মাথা ফাটায় রক্তাক্ত হয়ে ডার্বি বন্ধ হয়েছিল, ফের বন্ধ হল আরেক ডার্বি, কী বললেন রহিম নবি

বিধায়ক নিজেই বলেন, “অত্যন্ত নিম্ন মানের কাজ করছে।রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। পূর্ত দফতর কেএমডিএ কারো কথা শোনে না। তোলাফটক থেকে সাঁকোমোর প্রায় ছশো মিটার রাস্তা বেহাল রয়েছে। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আমাকে বলেছে কাজ শুরু করবে। সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে, আমাদের সরকার কিন্তু আমিই বলছি পূর্ত দফতর ও কেএমডিএ এরা কোন কথা শোনে না। নিজেদের মর্জি মাফিক চলে। ওরা যদি নিজেদের মর্জিমাফিক চলে আমিও মানুষের মর্জিতে চলব।মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে ওদের দয়ায় জিতিনি।”

আরও পড়ুন: ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র মঞ্চে হুগলির জয়ন্ত, এ কী প্রতিশ্রুতি দিলেন বিগ-বি? জানুন

তিনি আরও বলেন, “গত শুক্রবারে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম ওরা কাজ শুরু করে আবার পালিয়ে গেছে। এজেন্সির সঙ্গে অফিসারদের কিসের সম্পর্ক তারা কাজ না করলে বের করে দাও। ব্ল্যাক লিস্টেড করে দাও। ব্ল্যাকলিস্টেড হচ্ছে না মানে? অফিসারদের সঙ্গে গড়া পেটা আছে।” কাজ শুরু না হচ্ছেনা বলে লোকজন নিয়ে বিধায়ক বসে পড়লেন রাস্তায়।স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল মাল বলেন, “যারা কাজ করছে তারা কিছু জানেনা।চারবার জেসিবি দিয়ে রাস্তা খুঁড়ল।আমরা সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি।খুব খারাপ কাজ যেখানে সেখানে জল জমছে।” এখন দেখার বিধায়কের এই প্রতিবাদের পর কাজের গতি বাড়ে কি না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাহী হালদার

Bangla Video: দানবীর মহসিনের’ই আজ ঠাঁই নেই! অসাধুদের আখড়ায় পরিণত সমাধিস্থল

হুগলি: দানবীর হাজী মহম্মদ মহসিনের জন্ম দিবস ১ অগস্ট। মহম্মদ মহসিন ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন তাঁর দান ধ্যানের জন্য। তাঁর সম্পত্তির উপর গড়ে উঠেছে গোটা চুঁচুড়া শহর সহ আরূ অনেক জায়গা। আজ সেই তাঁকেই পড়ে থাকতে হচ্ছে বন-জঙ্গলের মধ্যে। চুঁচুড়া শহরে রয়েছে মহসিনের সমাধিস্থল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই সমাধিস্থল কার্যত জঙ্গল ও অসাধুদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের দানের শেষ নেই। শিক্ষা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ভোলার নয়। হুগলিতেই রয়েছে ইমামবাড়া, হাসপাতাল, মহসিন কলেজ, হাই মাদ্রাসা। উত্তর ২৪ পরগনার হাজিনগর জুটমিল, কলকাতায় খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ, মানিকতলা, তালতলা, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পাটনা, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর দান। মানব কল্যাণে তাঁর বহু অবদান।

আর‌ও পড়ুন: পাউডারে মুশকিল আসান, কম বৃষ্টিতেও দিব্যি পচছে পাট

নবাব বা রাজা না হয়েও তিনি যে পরিমাণ দান করে গিয়েছেন তা ভোলার নয়। অথচ তাঁকে ভুলতে বসেছে বাঙালি। হুগলি ইমামবাড়ার পাশেই গঙ্গার পাড়ে রয়েছে মহসিনের সমাধি। সেই সমাধি লাগোয়া জমিতে শিশু উদ্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তাঁর সমাধি সংস্কার হয়েছে কয়েক বছর আগে। পার্কের কিছু কাজ হয়েছিল। গ্রানাইট বসানো বেঞ্চ তৈরি হয়েছিল, সেই গ্রানাইট চুরি হয়ে গেছে। লাইট লাগানো হয়েছিল, কিন্তু তার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ফলে লাইট আর জ্বলে না। অন্ধকারে মহসিনের সমাধিস্থলে জমে ওঠে মদ-গাঁজার আড্ডা।

স্থানীয়রা চান, শিশু উদ্যান তৈরি হোক। দেশ -বিদেশ থেকে যেসব পর্যটকরা আসেন তাঁরা মহসিনের সমাধি ক্ষেত্র দর্শন করে মনোরম পার্কে দু’দন্ড জিরিয়ে নিতে পারেন। ১ অগস্ট হাজি মহম্মদ মহসিনের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে স্মরন করে সমাধিতে ফুল দেওয়া হয়। ছোটো অনুষ্ঠানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাকি বছর জঙ্গলেই ঢাকা পড়ে থাকে এই মহামানবের সমাধিস্থল।

রাহী হালদার

Hooghly news: মুরগির পর কি এবার মাছ ! সাত সকালে স্বাস্থ্য দফতরের মাছের আড়তে অভিযান

হুগলি: রাজ্যে ইতিমধ্যেই বার্ড ফ্লু এর উপস্থিতি মিলেছে ২ নাবালকের শরীরে। তারপর থেকেই নড়ে চড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই সে কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মুরগির পর এবার  মাছ। মাছের মধ্যে কোন ভেজাল রয়েছে কিনা কিংবা ভিন রাজ্য থেকে আসা মাছ খাওয়ার জন্য কতটা উপাদেয় সেই সমস্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য শুক্রবার সাত সকালে মাছ বাজারে অভিযান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। মাছে ভাতে বাঙালির রসনা তৃপ্তি হচ্ছে সেই সব মাছ দিয়েই। আদৌ কতটা সুখাদ্য সেই মাছ তার নমুনা সংগ্রহে আজ সকালে চকবাজারের মৎস্য আড়তে অভিযান চালাল হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সুরক্ষা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল। তারা চকবাজারের প্রতিটি আড়তে গিয়ে মাছের নমুনা সংগ্রহ করেন।

আরও পড়ুন: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল! নিট পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হওয়ায় ৯ দিন ধরে নিখোঁজ মেধাবী ছাত্র 

চুঁচুড়া চক বাজার মাছের বড় পাইকারি বাজার বসে। সেখানে স্থানীয় রুই, কাতলা, ছাড়াও ভীন রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণ করে রাখা ভেটকি, ইলিশ, পাবদা, চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়। সেই মাছের গুণগত মান কি রকম ? অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মাছে ফর্মালিন মিশিয়ে মাছকে তাজা রাখা হয়! যাতে সেই মাছ টাটকা দেখায়। তাই চক বাজারের মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাছ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর। ব্যবসায়ীদের অনুমান যদি কারও মাছের মধ্যে পরীক্ষা করে কোন অশোধিত কিছু খুঁজে পাওয়া যায় যা মানব স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর সেই কারণে ই এই ধরনের অভিযান শুরু হয়েছে।। প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে মাছ নিয়ে যান। গুণগতমান পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বেলগাছিয়া রাজ্য প্রাণী ও মৎস বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে হুগলির সব মাছের আড়ত পাইকারি বাজারে এধরনের নমুনা সংগ্রহ চলবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাহী হালদার

Hooghly News: চুঁচুড়ার রূপনগরের গঙ্গার পার এখন বোলপুরের এক টুকরো সোনাঝুরি!

হুগলি: শান্তিনিকেতন ঘুরতে গেলে সোনাঝুরি হাট ঘুরতে যায় না, এরকম মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সোনাঝুরি হাটে বিক্রি হওয়া সমস্ত সামগ্রী কিনতে মানুষের ভিড় থাকে প্রায় প্রতিদিনই। এইবার ঘরের পাশেই মিলবে সোনাঝুরি হাট। হুগলির চুঁচুড়ায় ক্রিয়েটিভ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ও চুঁচুড়া পৌরসভার উদ্যোগে রূপনগর টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে বসেছে শান্তিনিকেতনের আদলে এক টুকরো সোনাঝুরির হাট । নয় দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে রূপনগর মাঠে।

আরও পড়ুন:  নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট! কলকাতার কাছে বলাগড়ে ভয়াবহ অবস্থা

মন চাইছে সোনাঝুরির হাটে গিয়ে গ্রাম বাংলার হাতের কাজের জিনিস, পছন্দের শাড়ি, অলংকার বা ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে, তাহলে আর চিন্তা নেই।আপনার শহরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগবে না। কারণ এখন সোনাঝুরি আর বীরভূমের শান্তিনিকেতনেই শুধু নয়, গোটা সোনাঝুরির হাট-ই বসছে চুঁচুড়ায়।সন্ধ্যা নামতেই উপচে পড়ছে ভিড় হবে বলছেন মেলা উদ্যোক্তা। কী নেই সেখানে! ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে হ্যান্ডলুম শাড়ি, কাঁথা স্টিচ, নকশা করা শাড়ি-শার্ট, নানা ধরনের অলংকার, মহিলাদের ব্যবহারের ব্যাগ, চাদর, এমনকি খাওয়ার নানা উপকরণের বড়িও পেয়ে যাবেন একদম হুবহু সোনাঝুরির মতোই আমেজ উপভোগ করতে পারবেন এখানে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পী বিক্রেতারা এসেছেন নিজেদের জিনিসের সম্ভার নিয়ে। চুড়িদার থেকে ঘর সাজানোর জিনিস, পাপড় থেকে শুরু করে একতারা সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে সোনাঝুরির এই হাটে।

আরও পড়ুন: বিডিও অফিস নাকি বাচ্চাদের পার্ক? গোঘাটে এলে গুলিয়ে যেতে পারে

আদিবাসী নিত্য হস্তশিল্পের ঘর সাজানোর দ্রব্য লোকসংগীত এর যন্ত্র সবই রয়েছে এই হাটে। ঠিক যেমনটা হয় সোনাঝুরি হাট তেমনি অবিকল সোনাঝুরি হাটের মতোই করে সেজে উঠেছে। মেলায় ঘুরতে আসা মহিলারা আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মিলাচ্ছেন। বেতের কুলো পটচিত্র নানান ধরনের ছবি জামা কাপড় সবই রয়েছে এই সোনাঝুরি মেলায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এ বছরে সোনাঝুরি হাটে স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রথমদিনে বহু সংখ্যক মানুষের আসছেন এই মেলায়,এই দেখে বিক্রেতারা ভালই লাভবান হবেন।

রাহী হালদার

Hooghly News: ক্যারাটে-তাইকোয়ান্ড নয় আত্মরক্ষার্থে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মার্শাল আর্ট “হ্যাপকিডো”

হুগলি: শরীর ফিট রাখতে ও আত্মরক্ষার্থে দিন দিন মার্শাল আর্ট এর একটি বিভাগ হ্যাপকিডো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভারতেও এই মার্শাল আর্টকে বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিতে সর্বত ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হ্যাপকিডো এ্যাসোশিয়সন অফ ইন্ডিয়া। বুধবার একদিনের সেমিনার হয়ে গেল চুঁচুড়ায়। ভারত সহ আষ্ট্রিয়া দক্ষিণ কোরিয়া উজবিকস্তান কিরিকিস্থান ইরান নেপালের গ্রান্ড মাষ্টারা এদিন উপস্থিত থেকে সেমিনারে আসা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন।

আরও পড়ুন:  রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘুগনির স্বাদ নেওয়া, কখনও নেমে পড়ে আলু চাষের মাঠে! প্রচারে অক্লান্ত রচনা

বেঙ্গল হ্যাপকিডো এ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে ও ভারতীয় হ্যপকিডো এ্যাসোসিয়েশন ইন্টারনেশানাল হ্যাপকিডো ডান ফেডারেশন সাউথ এশিয়ান হ্যাপকিডো ফেডারেশন গ্লোবাল হ্যপকিডো এ্যাশোসিয়শনের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশানাল স্প্যশাল মাস্টার সেমিনার ২০২৪ প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েসনের কোষাধ্যক্ষ আনন্দে শ্বর পান্ডে ।আয়জকদের পক্ষ থেকে উপস্থিতথ দেশ বিদেশের অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ডিষ্ট্রিক্ট স্পোর্টস এ্যাসোশিয়েশসনের চুঁচুড়ার ইনডোর স্টেডিয়ামে দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয় ।

আরও পড়ুন:  ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে মৃত্যু ! কোন বয়স থেকে সতর্ক হবেন?

এই কথা উল্লেখ করে আয়জক সংস্থার সম্পাদক রূপকমল নন্দী বলেন, আগামীতে এই হ্যাপকিডোতে আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের রাজ্য থেকে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা গ্র্যান্ডমাস্টাররা তারা তাদের মতন করে দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেবেন। এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে ছেলেমেয়েরা আরো বেশি করে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী দিনে দেশের হয়ে পদক জয় করবে এমনটাই আশাবাদী তিনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
চুঁচুড়া ইনডোর স্টেডিয়ামে দুই দিনব্যাপী এই সেমিনার আগামীর পথ চলা অনেক মসৃণ করবে।

রাহী হালদার

Hooghly News: গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ ঝিমুনি চালকের…! নেতার ভাইপো ও অফিসারের গাড়ির মুখোমুখি ভয়ানক সংঘর্ষ! তারপর…

হুগলি: দু’টি চারচাকা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ! দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়ার বিবেকানন্দ রোডের। সময় মতো গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলেছিল বলেই প্রাণে বাঁচলো আবগারি আধিকারিক-সহ তিন ব্যক্তি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ১২টা নাগাদ চুঁচুড়া বিবেকানন্দ রোডে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দু’টি চার চাকা গাড়ির। একটি গাড়িতে ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্তের ভাইপো রোশন দত্ত। তিনি তাঁর অসুস্থ বাবা গৌতম দত্তকে কলকাতার হাসপাতাল থেকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পিপুলপাতির দিক থেকে কারবালার দিকে যাচ্ছিল রোশনের গাড়িটি।

অন্য আরেকটি গাড়ি হুগলির মোড় থেকে চুঁচুড়ার দিকে যাচ্ছিল। যে গাড়িটিতে ছিলেন আবগারি দফতরের চন্দননগরের সুপারিনটেনডেন্ট কৌশিক মিত্র। এইচআইটি কলেজের সামনে দুটটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আবগাড়ির চালক রাজু তালুকদার ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট জানান, তাঁর চালক দোলের ছুটি কাটিয়ে আজ ভোর বেলায় দিঘা থেকে ফিরেছেন। ফিরেই তিনি ডিউটি জয়েন করেন। গাড়ি চালানোর সময় তাঁর চোখ লেগে যাচ্ছিল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি একবার চোখে জল দেন। এরপর আবার গাড়ি চালাতে শুরু করেন।

এইচআইটি কলেজের সামনে তাঁর চোখ বুজে যেতেই লেন পাল্টে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারেন। দুর্ঘটনার অভিঘাতে এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন রোশন দত্ত। আবগারি আধিকারিকের পায়ে চোট লাগে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ এবং চন্দননগর ট্রাফিক পুলিশ আহতকে হাসপাতালে পাঠায়। গাড়ি দু’টিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘দিদার হাতে ভাতে ভাত আর… আহা!’ বচ্চনদের হেঁসেলেও রাজ করছে মধ্যবিত্ত বাঙালির পদ, কী কী রাঁধেন জয়া? জানালেন নাতনি

এই বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, তাঁর ভাইপোর গাড়িতে এয়ারব্যাক থাকার কারণে আজ তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। না হলে যেভাবে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে গাড়িতে এয়ারব্যাগ না থাকলে আরও খারাপ কিছু ঘটে যেত। কাউন্সিলরের আক্ষেপ, গাড়ির চালক একদিন ছুটি নিলে এই  ঘটনাটা ঘটত না। এইভাবে জীবন বিপন্ন করে তাঁর কাজে যোগ দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি।

রাহী হালদার