রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীরা হতাশ। বাজেটে সম্পত্তি বিক্রির উপর ইনডেক্সেশন সুবিধা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ফলে এখন থেকে ফ্ল্যাট বা বাড়ি বিক্রি থেকে আয়ের উপর অনেক বেশি কর দিতে হবে।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে ইনডেক্সেশন সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। ফলে যাঁরা পুরনো বাড়ি বা সম্পত্তি বিক্রি করেন, তাঁরা আর কেনা দাম বাড়িয়ে বলতে পারবেন না। সোজা কথায়, ক্রয়মূল্য বাড়ানোর সুযোগ থাকছে না। ফলে মূলধন লাভ কমানোর উপায় থাকল না।
আরও পড়ুন: আপনার কাছে কী কী স্টক আছে? বাজেট ঘোষণায় সবচেয়ে লাভবান হতে চলেছে এই কোম্পানিগুলো
উল্লেখ্য,সম্পত্তি বিক্রয় থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভের উপর ২০ শতাংশ কর ধার্য ছিল। বাজেট ঘোষণায় এলটিসিজি করের হার ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এই ইনডেক্সশন সুবিধা ছাড়াই প্রযোজ্য হবে।
বিষয়টা বোঝার জন্য একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক, এক ব্যক্তি ২০০৪ সালে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। এখন ২০২৪ সালে সেই ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে হয়েছে ১ কোটি টাকা। তিনি এই সম্পত্তি ১ কোটি টাকায় বিক্রি করলেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আয়কর বিভাগের সিআইআই সূচক সংখ্যার সঙ্গে ২৫ লাখ টাকার ক্রয়মূল্য বাড়াতে হবে।
বিক্রেতার ৭৫ লাখ টাকার মূল্ধন লাভ হয়েছে। এই মূলধন লাভের উপর লং টার্ম ক্যাপিটান গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হবে। ইনডেক্সেশন সুবিধার জন্যই কেনা দাম বা ক্রয়মূল্য বাড়ানো যেত। অর্থাৎ ২৫ লাখ টাকা যদি বার্ষিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে হিসেব করা হয়, তাহলে দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক কমতেই সোনা-রুপোর দামে পতন; মধ্যবিত্তের মুখে হাসি, দেখে নিন আজকের দাম
এর সঙ্গে সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের খরচের জন্য ইনডেক্সেশনের আওতায় ছাড় পাওয়া যেত। সেটাও উঠে গেল। এই পরিস্থিতিতে ৭৫ লাখ টাকা লাভে ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি এবং মেরামতি খরচ সহ মূলধন লাভ কমে যায়। এই কারণে কম কর দিতে হচ্ছে।
সম্পত্তি বিক্রি থেকে মূলধন লাভের উপর কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে, তবে ইনডেক্সেশন সুবিধা তুলে দিয়ে। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের উপর করের বোঝা বাড়বে। সম্পত্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা বড় ধাক্কা।